Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, October 24, 2017

কোন দিন রোজা রাখলে পূর্ববর্তীএক বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে?

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এবংপ্রতিদিন ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর,দিন শেষে আবার ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বপর্যন্ত একটি জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণকামনাই ধর্মের মূল দর্শন।ইসলাম মানুষকে যেমন ভালো কাজ ও আমলকরার তাগিদ দিয়েছে, তেমন খারাপ কাজও মন্দ আমল থেকে বিরত থাকার কথাবলেছে। ইসলামের মতো এমন ভারসাম্যপূর্ণআর কোনো ধর্ম বা জীবন ব্যবস্থারআর্বিভাব এ ধরাতে ঘটেনি।আরবী বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী ১২ মাসের প্রায়প্রতি মাসেরই কোনো না কোনো বিশেষদিবস বা দিন রয়েছে এবং সেসব বিশেষদিবস বা দিনে বিশেষ আমল-ইবাদতেরদিক-নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া আরবী ১২মাসের মাঝে কিছু মাসকে অন্য মাসেরতুলনায় সম্মানিত বা বিশেষ বলা হয়েছে।রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আরবী একবছরে ১২ মাস।আর এই ১২ মাসের মধ্যে চার মাস বিশেষতাৎপর্যের অধিকারী। এই চারটি মাসেরতিনটি মাস ধারাবাহিকভাবে (অর্থাৎজিলকদ, জিলহজ ও মহররম) এবং চতুর্থ মাসহলো রজব মাস। (বুখারি, হাদিস নং-৪৬৬২,মুসলিম, হাদিস নং-১৬৭৯)আরবী ১২ মাসের প্রথম মাস মুহাররম। এইমাসের ১০ তারিখ একটি ঐতিহাসিক দিন।এই দিনটিকে আশুরার দিন বা দিবস বলাহয়। এই দিনে বিশেষ যেসব আমলের কথাইসলামে বর্ণিত হয়েছে তার মাঝে অন্যতমএকটি আমল হলো রোজা রাখা। এই দিনরোজা রাখার ফজিলত ব্যাপক এবং এদিনেরোজা রাখার ব্যাপারে রাসুল (সা.)উৎসাহিত করেছেন।প্রসিদ্ধ সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন,‘রমজান মাসের রোজা বা সাওমের পরসর্বোত্তম রোজা বা সাওম হলো মহররমমাসের রোজা। (মুসলিম, হাদিসনং-১/৩৬৮)হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আশুরারদিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহরকাছে আশাবাদী যে তিনি এর ফলেপূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করেদেবেন। (মুসলিম, হাদিস নং-১১৬১,তিরমিজি, হাদিস নং- ৭৪৯)এই বর্ণনাটি সুনানু ইবনে মাজাহ গ্রন্থের১৭৩৮ নং হাদিসে এভাবে এসেছে, হজরতআবু কাতাদাহ (রা) থেকে বর্ণিত। নবীকরীম (স) ইরশাদ করেন, আমি আশা করি,আশুরা রোজার উসিলায় আল্লাহ তায়ালাঅতীতের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করেদেবেন।রাসূলের (সা.) আদেশের কারণে আশুরারদিন রোজা পালন করা সবার জন্য ওয়াজিবহিসেবে গণ্য হতো। এরপর যখন রমজানমাসের রোজার হুকুম নাজিল হলো, তখনআশুরার রোজার হুকুম ওয়াজিব থেকেসুন্নাতের পর্যায়ে নেমে এলো। এ বিষয়টিসম্পর্কে রাসূল (সা.) বলেছেন, যে চায় সে(আশুরার দিন) রোজা রাখতে পারে এবং(আশুরার দিন রোজা) না রাখলেও ক্ষতিনেই। (সহিহ বোখারি ও মুসলিম)এছাড়া সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারীপ্রসিদ্ধ সাহাবি হজরত আবু হোরায়রা (রা)থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.)বলেছেন, ‘যদিআমি আগামী বছর বেঁচে থাকি তাহলেআশুরার দিনের সাথে নবম দিনেও অবশ্যইরোজা রাখব। (মুসলিম, হাদীস নং- ২১৫৪)রাসুলের (সা.) এই বর্ণনাটির দ্বারা একথাবোঝা যায় যে, আশুরার দিন শুধু একটিরোজা না রেখে আশুরার দিনের আগে বাপরে আরো একটি রোজা রাখা উচিত।-প্রিয় ইসলাম

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages