Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Friday, October 20, 2017

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইভা + আরো আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইভা + আরো আনুষঙ্গিক কিছু বিষয় সম্পর্কিত বিস্তারিত পোষ্ট ▓▓▓▓
.
[ পুরোটা পড়ার জন্য বলা হলো। কারন পুরোটা পড়লে আপনাদের মনে ভাইবা নিয়ে আর কোনো কনফিউশন থাকবে না আশা করি। পোষ্টটি যে কোনো সময় কাজে লাগবে। তাই শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রাখুন। এবং মেনশন করে আপনার পরিচিত দের জানিয়ে দিন। ]
.
**** **** **** **** **** **** **** **** **** **** ****
:
প্রশ্নঃ ভাইবা কবে??
:
** উত্তরঃ সাধারণত ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবার প্রায় ২০-২৫ দিন পর ভাইবা হয়ে থাকে। সুতরাং, আপনাদের ভাইবা নভেম্বরের মাঝামাঝি / শেষের দিকে হতে পারে। এখনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি। সবকিছুর নোটিশ/আপডেট জাবির ওয়েবসাইটে পাবেন। এছাড়া ইউনিট + রোল/পজিশন ভিত্তিক ভাইভার ডেট দিলে আমাদের গ্রুপে & পেজে জানিয়ে দেয়া হবে।
.
.
প্রশ্নঃ ভাইবায় সাধারণত কাদের ডাকে? জাস্ট কাছাকাছি পজিশনের ছাত্র-ছাত্রীদের নাকি সবাইকে??
:
** উত্তরঃ গতবছরের আগের বছরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষার পর যাদের পজিশন আসতো সেটা যত দুরেই হোক না কেন তাদের সবাইকে ভাইবার জন্য ডাকা হতো।
.
বাট গতবছর-ই প্রথমবারের মত জাস্ট আসন সংখ্যার ৩ গুন সিরিয়াল পর্যন্ত ভাইবায় ডেকেছিলো। কারন গতবার জাবির পরীক্ষা সবার শেষে হওয়ার কারনে খুব বেশিদূর পর্যন্ত ওয়েটিং যেতো না তাই কতৃপক্ষ পরীক্ষার্থী + অভিভাবকের কথা মাথায় রেখে মানে যেহেতু গতবার এতদুর পর্যন্ত ওয়েটিং যাইতো না So শুধু শুধু এত দুরের সিরিয়ালের সবাইকে ভাইবায় ডেকে তাদের কষ্ট দেয়ার কি দরকার তাই জাস্ট আসন সংখ্যার ৩ গুন সিরিয়াল পর্যন্ত ডেকেছিলো। বাট গতবারের আগের বছরগুলোতে লিস্টের সবাইকেই ভাইবায় ডাকতো। সুতরাং এবার দেখা যাক সবাইকে ডাকে নাকি জাস্ট আসন সংখ্যার ৩/৪ গুণ শিক্ষার্থী ডাকে। তবে এবার যেহেতু জাবির পরীক্ষা সবার আগে হইলো তাই ধারণা করতেছি যে এবার হয়তো সবাইকে / আসন সংখ্যার কয়েকগুণ পর্যন্ত শিক্ষার্থী ডাকতে পারে। So দেখা যাক কি হয় শেষ পর্যন্ত।
.
.
প্রশ্নঃ ভাইয়া, ধরেন লিস্টের সবাইকেই ডাকলো। বাট D ইউনিটে আমার পজিশন তো ১৫০০+. ছেলেদের সিট মাত্র ১৮৪ টি। So D ইউনিটে তো এতদুর পর্যন্ত কখনোই যাবে না। সুতরাং আমি কি ভাইভা দিতে যাবো? এতদুর মেরিট থেকে তো চান্স হবে না। So গিয়ে কি লাভ??
:
** উত্তরঃ আপনার পজিশন যতদুরেই হোক না কেন যদি আপনাকে ভাইবায় ডাকে এবং আপনি যদি এখন পর্যন্ত কোথাও চান্স পেয়ে না থাকেন এবং জাবি-ই যদি আপনার শেষ ভরসা হয় তাহলে অবশ্যই ভাইবা দিতে আসবেন। আমার নিজের উদাহরণ দিয়েই বলি শোনেন।
.
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ডি ইউনিটে আমার মেরিট পজিশন ছিলো ➟→ ১৮০৮ এবং আমার কয়েকটা ফ্রেন্ডের পজিশন ছিলো ১০০০-১২০০ এর মধ্যে। অথচ আজকে আমি জাবির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ৩য় বর্ষে পড়তেছি। বাট আমার ঐ ফ্রেন্ডরা প্রাইভেটে পড়তেছে। কারন, ওরা অবহেলা করে ভাইবা দিতে আসেনি। কারন ওরা হয়তো ভেবেছিলো ডি ইউনিটে এতদুর যায় নাকি। আর আমি ভাইবা দিয়েছিলাম বলে ক্লাস শুরুর প্রায় ১ মাস পর মানে ২০১৫ এর এপ্রিল মাসে আসন ফাঁকা হবার জন্য চান্স পেয়েছিলাম। পরে ওদের আফসোসের শেষ ছিলো না।
.
এখন হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাইয়া ক্লাস শুরুর ১ মাস পরে সিট ফাঁকা হবার পর আপনার ফ্রেন্ডদের না ডেকে আপনাকে ডাকলো কেন??
উত্তর বলতেছি শোনেন। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের নিয়ম হলো যারা ভাইবা দিতে আসবে না তাদের মেরিট পজিশন ১ হলেও তারা ওখান থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যাবে।
যেমন, ধরুন রহিমের মেরিট পজিশন এক। করিমের পজিশন দুই। আরিফুলের পজিশন তিন। আর জলিলের পজিশন চার। তো ২ & ৩ নং পজিশনে থাকা করিম & আরিফুল ভাইবা দিলো না। শুধু রহিম আর জলিল দিলো। So, ভাইবার পরে নতুন যেই লিস্ট দিবে সেখানে জলিলের পজিশন হবে দুই। ঐ ভাইবা পজিশন থেকেই পরবর্তীতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। মানে যদি রহিম কোনো কারনে ভর্তি না হয় তাহলে জলিলকে ডাকা হবে। করিম & আরিফুলকে না। কারন তারা ভাইবা না দেয়ার জন্য ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যাবে। আশা করি ভাইবা দেয়ার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। So, ভর্তি হন আর না হন অন্তত ভাইবা দিতে আইসেন। কারন পরে কি হয় বলা যায়না।
.
.
প্রশ্নঃ ভাইবায় কি কাউকে বাদ দেয়া হয়? ভাইভায় কি কোনো মার্ক আছে? ভাইভার জন্য কি কোনো পড়াশুনা করতে হবে??
::
** উত্তরঃ G ইউনিট (IBA) এবং C1ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাট্যকলা + চারুকলা বিভাগের ভাইভা ব্যতীত অন্যান্য ইউনিটের মানে A, B, C, D, E, F, H, I ইউনিটের ভাইভায় কোনো মার্ক নাই। যেহেতু মার্ক নাই সেহেতু ভাইভা থেকে বাদ দেয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। জাস্ট attend করতে হবে। যারা attend করবে তাদের মধ্য থেকে ভর্তি পরীক্ষার মেরিট অনুযায়ী নতুন একটা মেরিট দিবে।
.
.
প্রশ্নঃ যদি ভাইবায় কাউকে বাদ-ই দেয়া না হয় তাহলে এই কয়েকটা সিটের বিপরীতে কেনো এতদুর মেরিট পজিশন পর্যন্ত ভাইবায় ডাকে??
:
** উত্তরঃ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ কারন নিম্নরূপঃ
.
A) জাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রায় ১ মাস পর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। এই মাঝখানের ১ মাসে অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়। মানে জাবিতে সে ভর্তি হবেনা। আবার অনেকে ঘুরতে এসে পরীক্ষা দেয় & চান্সও পায়। So, এখন যদি ভাইভা না নিয়ে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষার মেরিট অনুযায়ী সাবজেক্ট দিয়ে ভর্তির ডেট দেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে মেরিটের ৫০%+ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আসেনি। তাই জাবিতে ভাইবা নেয়া হয় যাতে কতৃপক্ষ বুঝতে পারে কারা কারা ভর্তি হতে ইচ্ছুক। কারন তারাই ভাইবা দিতে আসবে যাদের জাবিতে পড়ার ইচ্ছা + এখনো যাদের কোথাও চান্স হয়নি তারা।
.
B) ভাইভায় শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা + সিগনাচার + ছবি মিলিয়ে দেখা হয়। আপনাদের মনে আছে কি না জানিনা যে, ভর্তি পরীক্ষার সময় একটা বাংলা & ইংরেজি বাক্য লিখতে হয়েছিলো। এবং এডমিট কার্ডে একটা সিগনাচার দেয়া ছিলো। ভাইভায় ঐ ইংরেজি & বাংলা বাক্যটি লিখতে বলা হবে এবং সিগনাচার দিতে বলা হবে। কারন তারা চেক করবে যে, আসলেই কি আপনি ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন নাকি অন্য কেউ আপনার প্রক্সি দিয়েছে। আর ছবি মিলানোর জন্য আপনি তো আছেনি। ভয় নেই হুবহু ঐ বাংলা & ইংরেজি বাক্যটাই লিখতে হবে না। যে কোনো কিছু লিখলেই হলো। ওরা জাস্ট আপনার হাতের লেখা মিলাবে। আর সত্যি কথা বলতে কি কখনো কখনো এইসব কিছুই দেখে না। জাস্ট রুমে ঢুকবেন আর পজিশন বলে বের করে দিবে। So, ভয় পাওয়ার কিছুই নাই।
.
C) এছাড়াও ভাইবার সময় সাবজেক্ট চয়েস ফর্ম জমা দিতে হয়। এটাও ভাইবা নেয়ার একটা মুখ্য উদ্দেশ্য।
.
.
প্রশ্নঃ ভাইবায় কি ফরমাল ড্রেস পড়তে হয়??
:
** উত্তরঃ ভাইয়া এটা চাকরীর ভাইবা না যে ফরমাল ড্রেস পড়তে হবে। যেহেতু ভাইবায় কোনো মার্ক নাই সেহেতু যে কোনো কিছু পড়ে আসতে পারেন। বাট G (IBA) ইউনিটের ভাইবায় যেহেতু ৫ মার্ক আছে সেহেতু জাস্ট G ইউনিটের ভাইবায় ফরমাল ড্রেস পড়ে আসতে হবে।
.
.
প্রশ্নঃ ভাইবায় কি কি সাথে নিয়ে আসতে হবে??
:
** উত্তরঃ SSC এবং HSC অথবা সমমান পরীক্ষার মেইন পেপারস গুলো (admit, registration, marksheet) এবং জাবির এডমিট কার্ড অবশ্যই সাথে নিয়ে আসতে হবে।
.
.
প্রশ্নঃ আমার সব মেইন কাগজপত্র তো অন্য/অমুক জায়গায় জমা আছে। তাহলে আমি কি ভাইবা দিতে পারবো না??
:
** উত্তরঃ যাদের মেইন কাগজপত্র অন্য জায়গায় জমা আছে তারা যেই জায়গায় ভর্তি আছেন ওখানকার ভর্তির প্রমানপত্র এবং ভর্তির ব্যাংক রশিদ নিয়ে আসবেন। প্রমানপত্র বলতে একটা জিনিস প্রমাণ করার জন্য মানে আপনি যে অন্য জায়গায় ভর্তি আছেন সেটা প্রুভ করার মত যত documents আপনার কাছে আছে সব নিয়ে আসবেন। আর যাদের পজিশন খুব কাছাকাছি & জাবিতেই ভর্তি হবেন তারা এখনি মেইন কাগজপত্র তুলে ফেলুন। কারন ভাইবা হবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই ১ম মেরিটের ভর্তি শুরু হবে। আর ভর্তির সময় মাস্ট মেইন পেপারস লাগবেই। আর যারা দুরের পজিশনে আছেন মানে জাবিতে হতেও পারে আবার নাও পারে তারা তো রিস্ক নিয়ে মেইন তুললে যদি শেষে জাবিতেও না হয় তাহলে ২ কুলই হারাবেন। So, দুরের পজিশনে যারা আছেন তাদের মধ্যে যদি কেউ অন্য জায়গায় ভর্তি থাকেন তবে সেখানে ভর্তির প্রমানপত্র + ব্যাংক রশিদ নিয়ে আসবেন।
.
.
প্রশ্নঃ সাবজেক্ট চয়েস কবে এবংকিভাবে দিতে হয়? এটা কি ঢাবির মত অনলাইনে দিতে হয়??
:
** উত্তরঃ জাবির সাবজেক্ট চয়েস ভাইবার দিনে নিজের হাতে সাবজেক্ট চয়েস ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হয়।
.
.
প্রশ্নঃ সব ইউনিটেরি কি সাবজেক্ট চয়েস দিতে হয়? সাবজেক্ট চয়েস ফর্ম কই পাবো??
:
** উত্তরঃ ভাইভার ২-৩ দিন আগে জাহাঙ্গীরনগরের ওয়েবসাইটে সাবজেক্ট চয়েস ফর্ম আপলোড করা হবে। যেইসব ইউনিটে একাধিক সাবজেক্ট আছে মানে জাস্ট A, B, C, C1, D, E ইউনিটের বেলায় চয়েস দিতে হয়। বাকি ইউনিট গুলোতে মানে F, G, H, I ইউনিটের সাবজেক্ট চয়েস দিতে হয় না।
কারন F, G, H, I ইউনিটে তো একটা করেই সাবজেক্ট। So, F, G, H, I ইউনিটে সাবজেক্ট চয়েস দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। জাস্ট A, B, C, C1, D, E ইউনিটের সাবজেক্ট চয়েস দিতে হয়।
.
আপনারা যেভাবে অনলাইনের দোকান থেকে এডমিট কার্ড প্রিন্ট করেছিলেন ঠিক সেভাবেই অনলাইনের দোকান থেকে চয়েস ফর্ম প্রিন্ট করে সেটা নিজের হাতে পূরণ করে ভাইবার দিন সাথে নিয়ে আসবেন।
আর যাদের বাসা গ্রামে মানে আশেপাশে কোনো অনলাইনের দোকান নাই তারা ভাইবার দিন এসেও চয়েস ফর্ম পূরণ করে জমা দেয়ার অনেক টাইম পাবেন। কারন আপনি যেই ভবনে ভাইবা দিবেন সেখানে হাজারো চয়েস ফর্ম পড়ে থাকে। অফিসের লোকদের বললেই ওরা দিয়ে দিবে। then সেটা পূরণ করে জমা দেয়ার অনেক টাইম পাবেন। So, চয়েস ফর্ম নিয়ে এত টেনশনের কিছুই নাই।
.
চয়েস ফর্মে সাবজেক্ট গুলোর নামের পাশে গোল বৃত্ত থাকবে। আপনাদের পছন্দ + সাবজেক্টের ডিমান্ড অনুসারে চয়েস দিবেন। কোন ইউনিটের কোন সাবজেক্টের ডিমান্ড বেশি মানে কেমনে আপনাদের চয়েস দিতে হবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত পোষ্ট সময়মত দিবো।
.
.
প্রশ্নঃ সবার কি একসাথে ভাইবা হবে? আর ভাইবা কোন বিল্ডিংয়ে/ভবনে হবে জানবো কেমনে ??
:
** উত্তরঃ ইউনিট + রোল ভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এবং বিল্ডিং যেমন আলাদা আলাদা ছিলো ঠিক সেইরকম ভাইবাও হবে ইউনিট + রোল/পজিশন ভিত্তিক আলাদা আলাদা ভবনে এবং আলাদা আলাদা তারিখে।
.
কোন ইউনিটের কত নং রোল/পজিশন থেকে কত নং রোলের/পজিশনের ভাইবা কোন তারিখে হবে সেটা ভাইবা শুরুর ২ দিন আগেই ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেয়া হবে। আমরাও গ্রুপে & পেজে পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিবো। don't worry.
.
কোন ইউনিটের ভাইবা কোন ভবনে হবে চলুন দেখে নেয়া যাকঃ
** Unit A, H = Math & Statictics Building.
.
** Unit B, F, G = Social Science Building.
.
** Unit C = New Arts Building.
.
** Unit C1 = Old Arts Building
.
** Unit D = Old Arts Building. ( জীববিজ্ঞান অনুষদে )
.
** Unit I = পরে জানিয়ে দিবো।
.
.
প্রশ্নঃ ভর্তি হতে কি কি লাগবে? কত টাকা লাগবে??
:
** উত্তরঃ ভর্তি হতে যা যা লাগবেঃ
.
১) এসএসসি এবং এইচএসসি এর ট্রান্সক্রিপ্ট , প্রসংশা পত্র , সার্টিফিকেট।
( সার্টিফিকেট লাগবে শুধু এসএসসি এর )
.
২) ১৫ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি ( সত্যায়িত ছাড়া )
.
৩) ভর্তি বাবদ ১২,০০০ - ১৫,০০০/- টাকা লাগবে।
(একেক ডিপার্টমেন্ট একেক রকম ভর্তি ফি। গতবছর সর্বনিন্ম ১০,৮০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৪,৮০০ টাকা লেগেছিলো। )
.
৪) অভিভাবকের আয়ের সনদপত্র ( প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত )
.
[ এটা মেইন গেইট { ডেইরি গেইট } এর যেকোনো ফটোকপির দোকান থেকেই এটা সংগ্রহ করা যাবে। ]
.
৫) মেডিকেল সনদপত্র ( জাবি চিকিৎসা কেন্দ্র হতে )
.
[ যেদিন ভর্তি হবেন সেদিনি এটা সংগ্রহ করতে হবে। ]
.
৬) সকল কাগজপত্রের ফটোকপি ( সত্যায়িত )
.
[ সকল কাগজপত্রের ২ কপি করে ফটোকপি করে প্রথম শ্রেনীর গেজেটেড অফিসার কর্তৃক সত্যায়িত করে ভর্তির সময় নিয়ে আসতে হবে ]
.
.
প্রশ্নঃ জাহাঙ্গীরনগরের ভর্তি process টা কি রকম? অনেকে বলতেছে ২০১৮ সালের এপ্রিলেও নাকি ভর্তি নিবে? কেমনে কি একটু বিস্তারিত বলবেন??
:
** উত্তরঃ হাম জাহাঙ্গীরনগরের ভর্তি প্রক্রিয়া ২০১৮ সালের মার্চ / এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। কিভাবে কি হবে বিস্তারিত বলি শোনেন।
.
প্রথমে ভাইবা হবে। ভাইবা সাধারণত ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবার ২০-২৫ দিন পর হয়। So, এবার ভাইবা হতে পারে নভেম্বরের মাঝামাঝি / শেষের দিকে। তো ধরুন ভাইবা হবে ১৫ থেকে ২০ নভেম্বর। আর আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের নিয়ম হলো যারা ভাইবা দিবেনা তাদের বাদ দিয়ে জাস্ট যারা ভাইবা দিবে তাদের ভর্তি পরীক্ষার মেরিট অনুযায়ী নতুন একটা ভাইবা লিস্ট দিবে। ঐ ভাইবা লিস্ট থেকেই ভর্তি কার্যক্রম চলবে।
.
যেমন, D ইউনিটে এবার ছেলেদের ১৮৪০ জনের মেরিট দিয়েছে। তো ধরুন ভাইবা দিলো ১০০০ জন। যেই ১০০০ জন ভাইবা দিলো তাদের মেরিটের ভিত্তিতে পুনরায় একটা ভাইবা লিস্ট দিবে। মানে ধরুন, D ইউনিটে যে ১ম হয়েছিলো সে ভাইবা দিলো। কিন্তু ২য় আর ৩য় হয়েছিলো যে দুইজন তারা ভাইবা দিলো না। আর ৪র্থ যে হয়েছে সে ভাইবা দিলো। তাহলে ভাইবার পর ৪র্থ জনের পজিশন হবে ২। খেয়াল করো, এটা কিন্তু মেরিট পজিশন না। ভাইবার পজিশন। ভর্তির সময়ে এই ভাইবার পজিশন কাউন্ট করা হবে।
.
তো ভাইবার পর যেই পজিশন দিবে সেখান থেকে ভর্তি শুরু হবে ভাইবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই। D ইউনিটে ছেলেদের সিট ১৮৪ টি। তো ভাইবা লিস্ট থেকে ১ম ১৮৪ জনকে মেরিট + সাবজেক্ট চয়েস + HSC রেজাল্টের ভিত্তিতে সাবজেক্ট দেয়া হবে। তো ১ম মেরিটের ভর্তি ডেট সাধারণত ভাইবার ১ সপ্তাহের মধ্যেই দেয়। মানে ভাইবা যদি ১৫ থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে হয় তাহলে দেখা যাবে যে ১ম মেরিটের ভর্তি ডেট হবে ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর। ঐ নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে যারা ভর্তি হবেনা তারা বাদ।
.
ধরুন, D ইউনিটে যেই ১৮৪ জনের ১ম মেরিটের ভর্তির ডেট দিয়েছিলো তাদের মধ্যে ৪১ জন ভর্তি হলো না। মানে জাস্ট ১৫০ জন ভর্তি হলো। তার মানে ১৮৫+৪১=২২৬ ভাইভা পজিশন পর্যন্ত হলো ২য় মেরিটের। তো ২য় মেধাতালিকার ভর্তির তারিখ সাধারণত ১ম মেরিটের ভর্তি শেষের প্রায় ১-২ সপ্তাহ পর দেয়। তার মানে ২য় মেরিটের ভর্তির ডেট হচ্ছে ডিসেম্বরের মাঝের দিকে। লক্ষ করুন যে, ১ম মেরিটের যতজন ভর্তি হবে না জাস্ট ততজনকেই ২য় মেরিটে ডাকবে। এমন না যে সবাইকে ডাকবে এবং যারা আসবে তাদের মধ্যে থেকে সিরিয়ালি ভর্তি করাবে। ৩য় মেরিট পর্যন্ত এইরকমই চলে মানে আগের মেরিটে যতজন ভর্তি হবে না জাস্ট ততজনকেই পরের মেরিটে ডাকবে। আর সবাইকে কখন ডাকবে সেটা একটু পরে বলতেছি।
.
তো ধরুন ডি ইউনিটে ২য় মেধাতালিকা থেকে ৪১ জনের মধ্যে ৩০ জন ভর্তি হলো আর ১১ জন হলো না। এই ১১ জনই হলো ৩য় মেরিটের। মানে ২২৭+১১=২৩৮ পর্যন্ত হলো ৩য় মেধাতালিকার।
.
৩য় মেধাতালিকার ভর্তি সাধারণত ২য় মেরিটের ভর্তি শেষের প্রায় ১-২ সপ্তাহ পর দেয়।
.
৩য় মেধাতালিকায় ভর্তি শেষেও যদি সিট খালি থাকে তাহলে ৪র্থ মেরিট দিতেও পারে নাও পারে। যদি ৪র্থ মেরিট দেয় তাহলে তো হইলোই। বাট যদি না দেয় তাহলে এরপর যেভাবে ভর্তি নিবে সেটা হলো ফেব্রুয়ারির মাঝের / শেষের দিকে একটা নোটিশ দিবে। নোটিশে ফাকা আসনের লিস্ট দেয়া থাকবে এবং একটা তারিখ দেয়া থাকবে। ঐ তারিখে ভাইবা লিস্টের সবাইকে আসতে বলবে। যারা আসবে তাদের মধ্য থেকে মেরিট অনুযায়ী ফাকা আসন পূরন করা হবে।
.
ধরুন, ডি ইউনিটে ৩য় মেরিট পর্যন্ত ২৩৮ পর্যন্ত ভর্তি হতে পারলো। So, ৩য় মেরিটের পর যেই নোটিশে সবাইকে আসতে বলা হবে সেটার মানে হলো ২৩৯ থেকে যতজন ভাইবা দিয়েছিলো সবাই আসবে। যারা যারা আসবে তাদের মধ্যে থেকে ভাইবা পজিশন অনুযায়ী ভর্তি করাবে। তো ধরুন ডি ইউনিটে ৫০০ পর্যন্ত লাস্ট জন ভর্তি হলো।
.
তো সেদিনি সাধারণত প্রতিটা সিট ফিল আপ হয়ে যায়। কারন বুঝতেই পারতেছেন যে সবাইকেই ডাকা হয়। তো এরপর আর কোনো ভর্তি নেয়া হয়না। তারপর ক্লাস শুরু হয়।
.
জাহাঙ্গীরনগরের নিয়ম হলো যেই ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস শুরুর ১ম ১০ দিনের মধ্যে ৪/৫ দিন অনুপস্থিত থাকবে তার ভর্তি অটোমেটিক বাতিল হয়ে যাবে। অনেকেই অন্য জায়গায় ভাল সাবজেক্টে চান্স পাওয়ার জন্য ভর্তি হয়েও ক্লাস করেনা। তো তাদের ভর্তি বাতিলের জন্য কিছু সিট ফাকা হয়। ঐ ফাকা আসনের ভর্তি সাধারণত এপ্রিলের দিকে হয়।
আর তখন মানে এপ্রিলের দিকে এতটা কেউ যোগাযোগ রাখেনা তাই দেখা যায় অনেকে অনেক দুরে থেকেও ভর্তি হতে পারে।
.
So, আবারো বলতেছি আপনাদের যাদের কোথাও চান্স হয়নি & জাবি শেষ ভরসা তারা এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ রাখবেন। এপ্রিলে একটা তারিখ দিবে। সেই তারিখে সবাইকে আসতে বলবে। মনে আছে ডি ইউনিটে লাস্ট কত পর্যন্ত ভর্তি হতে পেরেছিলো? আমি বলি। ৫০০ পর্যন্ত। তো এপ্রিলের ঐ তারিখে ৫০১ থেকে বাকি সবাইকে (যারা ভাইবা দিয়েছিলো তাদের সবাইকে) ডাকবে। যারা আসবে তাদের মধ্য থেকে সিরিয়ালি ভর্তি করাবে।
.
.
.
.
প্রশ্নঃ জাবিতে কি 2nd Time থাকবে? আগামীবার পরীক্ষা দিতে পারবো??
:
** উত্তরঃ এই বিষয়ে এখনো কোনো সিন্ধান্ত হয়নি। যদিও 2nd time off হওয়ার possibility কম তারপরেও by chance যদি বন্ধও করে তবে সেটার বিষয়ে সিন্ধান্ত হবে এবারের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে মানে সামনের বছরের মার্চ / এপ্রিলের দিকে। বাট এখন পর্যন্ত যেহেতু 2nd time বন্ধের ব্যাপারে কোনো নোটিশ হয়নি So জাবিতে 2nd time আছে। So, আপনারা যারা ২য় বার ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তারা এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দেন।
.
.
প্রশ্নঃ ভাইয়া, জাহাঙ্গীরনগরের পরীক্ষা তো এবার সবার আগে হয়েছে। সিটও তো অনেক কম। অমুক ইউনিটে আমার আমার অমুক পজিশন। আমি সাবজেক্ট পাবো? আর যদি পাই তাহলে কোন সাবজেক্ট পাবো? গতবার কত পর্যন্ত গিয়েছিলো?

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages