বলা হয়ে থাকে মৃত্যু ব্যাতীত সকল রোগের মহোঔষধ হলো মধু! এটি হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। আয়ূর্বেদ এবং ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। চাষেরমধু দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইদানীং বিদেশে রপ্তানিও হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে মধুতে ১৮১টি রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। এই প্রাকৃতিক নির্যাসটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সম্ভব নয়। মধু কখনো পচে না। কারণ, এটি নিজেই একটি পচনরোধক। ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ওষুধের একটি প্রধান উপাদান মধুকৃষিবিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের যেমন প্রসার ঘটেছে, তেমনি মধুর বিপণনপদ্ধতিতেও এসেছে বিস্তর আধুনিকতার ছোঁয়া। মৌমাছিকে পোষ মানিয়ে সারা দেশেই এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মৌমাছির চাষ হচ্ছে। এদিকে আধুনিক নাগরিক জনসাধারণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মধুর চাহিদাও বেড়েছে। যৌন অক্ষমতা দূর করে এবং অটুট যৌবন ধরে রাখে। যৌন অক্ষমতা দূর করার জন্য বিশ্বের প্রখ্যাত মধু বিজ্ঞানীদের মতে দৈনিক লিঙ্গে মধু মাখলে লিঙ্গ শক্ত ও মোটা হয় এবং সহবাসেদীর্ঘসময় পাওয়া যায়।নিয়মিত মধু সেবন করলে ধাতু দুর্বল ধ্বজভঙ্গ রোগ হয় না। প্রাচীন গ্রিসেরখেলোয়াড়েরা মধু খেযে মাঠে নামতো । কারণ মধুতে রয়েছে উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ যা যকৃতে গ্রাইকোজেনের রিজার্ভ গড়ে তোলে। রাতে ঘুমানোর আগে মধু খেলে মস্তিষ্কেরক্রিয়াক্ষমতা ভালো থাকে। নিয়মিত মধু পানে রোগ-বালাই হ্রাস পায় কেননা মধু মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঠাণ্ডায় মধু ভালো কাজ করে।পেনসিলভেনিয়া স্টেট কলেজের পরীক্ষায় দেখা গেছে বাজারে যত ঔষধ পাওয়া যায় তার চেয়ে অনেক বেশী কার্যকর এক চামচ মধু। মধুর ভাইরাস প্রতিরোধী ক্ষমতা উচ্চ। মধু হজমে সাহায্য করে। পেটরোগা মানুষদের জন্য মধু বিশেষ উপকারী। প্রাচীন কাল তেকে গ্রিস ও মিশরে ক্ষত সারাইয়ে মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২০০৭-এ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে অধিকাংশ ক্ষত ও জখমের উপশমে মধু ডাক্তারী ড্রেসিং-এর চেয়েও বেশী কার্যকর। অগ্নিদগ্ধ ত্বকের জন্যও মধু খুব উপকারী।মধু হল এক প্রকারের মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ, যা মৌমাছি ও অন্যান্য পতঙ্গ ফুলের নির্যাস হতে তৈরি করেএবং মৌচাকেসংরক্ষণ করে। এটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল ; এটি সুপেয়। বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতিতে এর ব্যবহারে চিনির চেয়ে এর অনেক সুবিধা রয়েছে। এর বিশিষ্ট গন্ধের জন্য অনেকেচিনির চাইতে মধুকেই পছন্দ করে থাকেন। বাংলাদেশের সুন্দরবনের মধু স্বাদ, রং, হালকা সুগন্ধ এবং ঔষধিগুণাবলীর জন্য প্রসিদ্ধ। সুন্দরবনের বেশীরভাগ মধু কেওড়া গাছের ফুল থেকে উৎপন্ন। সুন্দরবনের মাওয়ালী সম্প্রদায়ের লোকেরা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে এবং তা বিক্রয় করে জীবন নির্বাহ করে।প্রতিদিন এক চামচ মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, নানা রোগের উপসমসহ জীবনীশক্তি বাড়িয়ে দেবে। নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Monday, July 31, 2017
মধু ব্যবহারে পুরুষের লিঙ্গের যে পরির্বতন আসে
Tags
যৌন বিষয়ক টিপস#
Share This
About Raihanul Haque
যৌন বিষয়ক টিপস
Labels:
যৌন বিষয়ক টিপস
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----