মা-বাবাদেরও কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়,যেমনটা নিয়ম মানে সন্তানেরা। কী কথাসন্তানকে বলবেন, কী বলবেন না, তাবুঝতে হবে। আপনার একটা ছোট কথাইহয়তো সন্তানের মনটা খারাপ করেদেবে। কিছু কথা আছে, যা বলা উচিত নয়।পড়ুন সেগুলোই। কান্না করা যাবে না ধরাযাক,ক্লাসে একটা পেনসিল বা খাতা হারিয়েফেলেছে সন্তান। আর অমনি কাঁদতে শুরুকরল। মা-বাবা হিসেবে হয়তো আপনারবিরক্ত লাগতে পারে। একে তোহারিয়েছে, তার ওপর আবার কান্না করছে।কান্না বন্ধ করার জন্য ধমক দিলেন। এটি করাযাবে না। সন্তানের মনের ওপর ব্যাপকপ্রভাব ফেলে বিষয়টি। তার আবেগ-অনুভূতিপ্রকাশের ধরন অন্য রকম হবে, সেটাইস্বাভাবিক ধরে নিতে হবে।ওর মতো কেন হতে পারছ না?মা-বাবাদের মধ্যে সন্তানকে অন্যেরসঙ্গে তুলনা করার একটা স্বাভাবিক প্রবণতাথাকে। এ কারণে অনেক সন্তানআত্মবিশ্বাসহীনতায় ভোগে। নিজেরওপর আস্থা পায় না। তাই বাইরের কারও সঙ্গেতো নয়ই, এমনকি নিজের বাকি সন্তানদেরসঙ্গেও তুলনা করবেন না। সন্তানকেউৎসাহ দিতে হবে। ইতিবাচক কথা বলতেহবে।তুমি তো এমনইএকেক শিশু একেক রকম হবে, এটামেনে নিন। কোনো শিশু লাজুক, কেউচঞ্চল। কেউ কেউ শুধু মা-বাবার কথামতোচলবে। আপনার সন্তান কোন ধরনের,সেটি আপনাকে বুঝতে হবে। আপনারআচরণও হতে হবে সে অনুযায়ী। ‘তুমিএমন কেন?’—সন্তানকে এটা না বলেতাকে বোঝার চেষ্টা করুন।ভয় দেখানো যাবে না‘আসুক আগে বাবা, তখন বুঝবে মজা!’—সন্তানেরা দুষ্টুমি করলে সাধারণত ভয়দেখানোর চেষ্টা করেন মায়েরা। এরফলে বাবা বা মাকেই সন্তানের সামনেনেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়। এতে মা-বাবাকে নিয়ে সন্তানের মনে বিরূপ প্রভাবপড়তে পারে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ভালোকিছু হয় না।হতাশ হবেন নাসন্তান যদি আপনার মতো সব পারত, সববুঝত, তাহলে তো হয়েই যেত।কোনো সমস্যাই হতো না। বড়রাই কত ভুলকরে ফেলি, সেখানে সন্তানের ছোটছোট ভুল মা-বাবারা মেনে নিতে পারেননা। হতাশ হয়ে যান। এই হতাশা সন্তানেরমধ্যে সংক্রমিত হয়। নিজেদেরও বোঝান,এবার ও পারেনি, পরেরবার নিশ্চয় পারবে।সন্তানকেও তা-ই বোঝান। ভুল করলেএমন ভুল যেন আর কখনো না হয়,এদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Thursday, June 22, 2017
এ কথা গুলো সন্তানকে কখনোই বলা যাবেনা
Tags
Fun amp; Lifestyle Menu#
Share This
About Raihanul Haque
Fun amp; Lifestyle Menu
Labels:
Fun amp; Lifestyle Menu
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----