Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Tuesday, May 23, 2017

[লাইফ স্টাইল] বিয়ের পর স্বামীকেনিয়ে মেয়েদের কিছুজটিল সমস্যা ও সমাধান

স্বামী-স্ত্রী সুখে দিন কাটাবেএটাই স্বাভাবিক। এবং যাস্বাভাবিক তা সত্যিও বটে। কিন্তুএই সত্যিও কখনো কখনো মিথ্যে হয়েওঠে, ধূসর ঠেকে বোঝাপড়ারঅভাবে, দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যে এবংপূর্বনির্ধারিত কিছু ধারণার জন্য।কখনো ভালোবাসার অন্যায়অধিকারবোধে, কখনো বাস্বভাবগত সংকীর্ণতায়। যে বয়সেমেয়েরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়েঘুরেফিরে নিজেকে দেখতে শুরুকরে, সেই ‘বড়’ হওয়ার সময় থেকেইতাদের মনে ‘মিস্টার পারফেক্ট’-এরএকটা ছবি আঁকা থাকে। দেখতেসুন্দর, ভালো কথা বলে, না বলতেইসবকিছু বুঝে যায়, কোনো কাজেইবাধা দেয় না, এমন সব মন-ভালো-করা গুণসম্পন্ন মানুষই তো মনেরমানুষ! কিন্তু ইচ্ছেপূরণের এই ছবিরসাথে বাস্তবের বিস্তর ফারাকঅনেক সময়ই ঘটে। আর এই স্বপ্নভঙ্গেরফলে দুজনের মাঝে দেখা দেয়অশান্তি। এটা যে শুধু অ্যারেঞ্জম্যারেজের ক্ষেত্রে ঘটে তা কিন্তুনয়, ঘটতে পারে লাভ ম্যারেজেরক্ষেত্রেও। যে মানুষটিকেদীর্ঘদিন ধরে চেনেন, বিয়ের পরতাকে আবিষ্কার করতে পারেন নতুনরূপে। ভেঙ্গে না পড়ে একটু বুঝে চলেএসব অশান্তি এড়ানো সম্ভব। বিয়েরমেয়েদের যেসব সমস্যায় পড়তে তামূলত বোঝাপড়ারই সমস্যা। তবেসবার ক্ষেত্রে যে সমস্যাগুলো একইহবে, তা কিন্তু নয়।রক্ষণশীলতা :-রক্ষণশীলতা মোটেও খারাপ বিষয়নয়, তবে বাড়াবাড়িটাও ভালোনয়। স্ত্রীর ওয়েস্টার্ন পোশাক পরাপছন্দ করেন না এমন লোক তো আছেই।এমনকি অনেকে অফিসের কলিগ বাঅন্য বন্ধুদের সাথে স্ত্রীকে পরিচয়ওকরিয়ে দিতে চান না। এমনরক্ষণশীল মানুষরা নিজেরাঅস্বস্তিতে তো ভোগেনই, বাড়িরমানুষদেরও যন্ত্রণা দেন।ঝগড়াঝাঁটি করে নিজের মতপ্রতিষ্ঠা করতে যাবেন না।বুঝিয়ে বলুন। পোশাকের ব্যাপারেআধুনিক ডিজাইন নিয়ে আলোচনাকরুন। পোশাকের কাট, ডিজাইন যেস্মার্টনেসের পরিচায়ক সেটাবোঝান। তাকেও ধীরে ধীরেভালো ব্র্যান্ডের পোশাক পরায়অভ্যস্ত করে তুলুন। আপনার বান্ধবীদেরসাথে তার পরিচয় করিয়ে দিন।এতে আপনার পরিস্থিতি সামালদিতে সুবিধা হবে। বাইরেকাজের ক্ষেত্রে সংসারেঅর্থনৈতিক প্রয়োজন, স্বাচ্ছন্দ্য তোবটেই সেই সাথে নিজের পছন্দ,ভালোলাগার কথা স্পষ্টভাবেবুঝিয়ে বলুন।বদমেজাজ :-বিয়ের পর আবিষ্কার করলেন আপনারস্বামী অল্পতেই রেগে যান।সামান্য ব্যাপারেইমাত্রাতিরিক্ত রাগ সম্পর্কে ভয়সৃষ্টি করে, স্বতঃস্ফূর্ততা হারায়।সংসারে নেমে আসে দম বন্ধ করাথমথমে পরিবেশ। প্রথম থেকেই এব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত।রাগী বলে ভয় পাবেন না। তাহলেকোনো দিনও শোধরাতে পারবেননা। রাগের কারণ বুঝতে চেষ্টাকরুন। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কারণ না থাকলেবুঝিয়ে বলুন, মাথা গরম করেসমাধান সমাধান সম্ভব নয়। কঠিনমনে হলেও নিজের মেজাজ ঠিকরাখবেন। -আয়ত্তের বাইরে চলেগেলে আপনাকেও শক্ত হতে হবে। স্পষ্টজানিয়ে দিন রাগারাগি করলেকোনো আলোচনায় যাবেন না।কার্পণ্য :-বিয়ের পর বেড়াতে গিয়ে টেরপেলেন কোথায় যেন সমস্যা। বুঝতেপারলেন বিয়ের আগে বাবা-মায়ের সাথে বেড়াতে গিয়েযেভাবে ঘুরেছেন বা থেকেছেন,তেমনটা হচ্ছে না। আর্থিকঅস্বাচ্ছন্দ্যের কারণে নয়, স্বামীরকিপটেমিই এর কারণ। সংসার ওসন্তান প্রতিপালনের দায়িত্বযথাযথভাবে পালন করতে হবে এবংতার জন প্রয়োজনীয় অর্থ দরকার তাবুঝিয়ে বলুন। বুঝিয়ে বলার পরেওশোধরাতে না পারলেসাংসারিক হিসাবনিকাষেরব্যাপারে খুব বেশি মাথাঘামাতে দেবেন না। প্রয়োজনএবং স্বাচ্ছন্দ্য জীবনে দুটোই জরুরি,এটা মনে রাখতে হবে। -সংসারটাআপনারও, অপব্যয় করবেন না সেইআশ্বাস দিন। এতেও ফল না হলেকাউন্সেলিং করান।দায়িত্বজ্ঞানের অভাব :-সংসারের দায়িত্ব দুজনেরই।সেক্ষেত্রে স্বামীরদায়িত্বজ্ঞানের অভাব থাকলেপরিস্থিতি যথাযথ পর্যালোচনাকরা প্রয়োজন। স্বামীকে কাজেরদায়িত্ব দিন, সব কাজ নিজেরঘাড়ে নিলে কোনো সমাধানতো হবেই না, বরং সমস্যা বাড়বে।স্বামীকে নিজের কাজটুকু নিজেকেকরতে বলুন। জামাকাপড় ছেড়েহ্যাঙারে রাখা, জগ থেকে পানিঢেলে খাওয়ার মতো ছোট ছোটকাজ দিয়ে শুরু করুন। দায়িত্ব নিয়েতাকে কোনোরকম জ্ঞান দিতেযাবেন না। আত্মীয়স্বজনের সামনেএ নিয়ে ঠাট্টা করাটাও ঠিক না।কোনো কিছু বলার থাকলেচেঁচামেচি না করে অনুরোধ করুন।কাজ হবে আবার সম্পর্কের বাঁধনওঢিলে হবে না। কোনো জরুরি কাজদুজনে একসাথে করার চেষ্টা করুন।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages