Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, February 11, 2018

ডাক্তার সাহেব, একটা বাচ্চা চাই তার বিনিময়ে যা করতে হয় সব করতে রাজি আছি !

একটা দুঃসংবাদ। কিন্তু সবার জন্য নয়। আবার সংখ্যাটা কমও নয়। হ্যা, বাংলাদেশে বর্তমান নিঃসন্তান দম্পতিরসংখ্যা প্রায় ৩০ লক্ষ। সত্যিই অবাক হওয়ার মত। আবার এই রেট ক্রমেই বাড়ছে। ইনফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট সেন্টারগুলোতে গেলেই বুঝা যায় কি হারেবাড়ছে এই হার। আর নিঃসন্তান দম্পতির দীর্ঘশ্বাস সত্যিই খুব করুন। আমার এক সিনিয়র ডাক্তার ফ্রেন্ড বলছিলেন এক রোগীর কথা, যে দুই হাত জড়ো করে বলতেছিলেন, ডাক্তার সাহেব একটা বাচ্চাচাই তার বিনিময়ে যা করতে হয় সব করতে রাজি আছে।এই স্ট্যটাসটা শুধু তাদের জন্য, আমার ফ্রেন্ডদের ভিতর যারা নতুন বিয়ে করছেন। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য নয়। কিন্ঞিত ১৮+। যদিও ফেসবুকের কল্যানে ১৮- এখন আর কেউ নেই।কিছু তথ্য মনে হয় অনেকেরই অজানা, যেটা শেয়ার করলে হয়ত কেউ উপকৃতও হতে পারে।একটা প্রশ্ন সহজেই মাথায় আসে, আজ থেকে মাত্র ১০০ বছর আগেও অর্থাৎ আমাদের নানা দাদাদের সময়ত এরকম শোনা যায়নি। বরং অনেকেই বলতে লজ্জা পায় আমরা ১১ ভাই৯ বোন। কেন এই সামান্য সময়ে এত পরিবর্তন?কারনগুলোর ভিতর আমার কাছে মনে হয়প্রথমত, বিয়ের পর পর আল্লাহর নেয়ামতকে অস্বীকার করা। সন্তান আল্লাহর নেয়ামত।অনেকেই মনে করেন সবেমাত্র বিয়ে হল আরও ২-৪ বছর এনজয় করি, ক্যারিয়ার গড়ি তারপর বাচ্চা নেওয়ার চিন্তা করব। তো এরপর পিল খাওয়া শুরু হয়। হ্যা, সব ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এড দেয় সম্পূর্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত আমাদের এই পিল। একটা জিনিস সহজে বোঝা যায় সিগারেট কোম্পানী কখনও সিগারেটের বদনাম করবেনা। যেটুকু করে সরকার বাধ্যকরে তাই করে।একটা জিনিস চিন্তা করি প্রতি মাসে একজন মহিলা ৩০ টা পিল খাচ্ছেন। যেটা প্রতি পিরিওড সাইকেলে হরমোনাল চেন্জ নিয়ে আসছে যেটা স্পার্ম এবং ওভামকে উর্বর করতে দিচ্ছে না। এইভাবে ৩ বছর চলার পর স্বাভাবি হরমোনাল কন্ডিশন অনেক ক্ষেত্রেই ফিরে আসে না।বিজ্ঞানের আর এক আবিষ্কার ইমারজেন্সি পিল। নো রিস্ক বা যাই বলেন। এক্সিডেন্টাল প্রেগন্যান্সি এড়াতে ব্যবহার হয়। একটোপিক প্রেগন্যান্সির সবচেয়ে বড় কারন এই ইমারজেন্সি পিল। একটোপিক প্রেগন্যান্সি ভয়াবহ জিনিস। যেটা সংক্ষেপে, বাচ্চা হবে কিন্তু বাচ্চা ইউট্রাসে না হয়ে অন্য কোন যায়গায় হবে। এবং বাচ্চা বড় হয়ে যাওয়ার পর আল্ট্রাসোনোতে ধরা পড়লে ইউট্রাস কেটে ফালানোছাড়া আর উপায় থাকে না।হ্যা, বাচ্চা কনসিভ হয়ে গেছে এরপর আর এক আবিস্কার এম এম কিট। যেটা ইউট্র্স থেকে বাচ্চা সদৃশ বস্তুকে ছুড়ে ফেলে দেয় প্রচুর রক্তক্ষরন হয়।একটা মায়ের উপর এতগুলো ধক্কল চালানোর পর যখন ৩-৪ বছর পার হয় তখন চিন্তা করে এবার একটা বাচ্চা চাই। আল্লাহ ততদিনে অসন্তুস্ট হয়ে নেয়ামতকে উঠিয়ে নেন। এবার দৌড় শুরু হয় ইনফার্টিলিটি সেন্টারে, মাজারে, তাবিজ কবজ কত কি?শুধু যে ইনফার্টিলিটি মেয়েদের হয় তা নয় ছেরেদেরও কম নয়।মহিলাদের প্রধান কারনগুলোর মধ্যে কয়েকটিঃ-Stress অর্থাৎ অতিরিক্ত চাপে থাকা। বিশেষ করে চাকুরিজীবি মহিলাদের ক্ষেত্রে। ঘরেও চাপ অফিসেও চাপ।এ জন্যই দেখা যায় গৃহীনি মহিলা থেকে চাকরিজীবি মহিলাদের ইনফার্টিলিটি রেটবেশি।-অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ও শব্দে বেশি সময় অবস্থান। যেটা গার্মেন্টস কর্মীদের দেখা যায়।– আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন কারন অধিক সময় জন্মনিয়ন্ত্রন করা।অন্যদিকে পুরুষের প্রধানত, কোন ক্ষেত্রে প্রতি mL এ যদি স্পার্ম সংখ্যা ২০ মিলিয়নের কম হয়ে যায় তখন ইনফার্টিলিটিতে চলে যায়।এর অনেকগুলো কারনের মধ্যেঃ– বড় একটা কারন স্মোকিং, ড্রাগস বা যেকোন ধরনের নেশা।-এছাড়া পরিবেশ দূষনও একটা বড় কারন।– অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা শব্দে যারা লম্বা সময় কাজ করে এটাও একটা কারন।-আর একটা উল্লেখযোগ্য কারন হল টাইট পোষাক। স্কিন টাইট জিন্স। যেটা পরলে অতিরিক্ত চাপের কারনে স্পার্ম সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে।এর বিপরীত কারনেই মনে হয় যারা পায়জামা,পান্জাবী পরে অর্থাৎ হুজুরদের সন্তান অনেক হয়।শেষ কথা, ক্যারিয়ার ক্যারিয়ার করে পারিবারিক ক্যারিয়ার ধ্বংস না করি। বিয়ের পরপর প্রথমবার আল্লাহ দিলেই বাচ্চা নিয়ে নেওয়া। ২-১ টা বাচ্চা হওয়ার পর হাজবেন্ড ওয়াফ পরামর্শ সাপেক্ষ অন্য কিছু করা যেতে পারে। তাতে অন্তত পারিবারিক বন্ধন ঠিক থাকবে। তা না হলে বিয়ের পরের রোমান্স দুই চার বছর পর সন্তান না হলে জানালা দিয়ে পালাবে। সন্তানই হল পারিবারিক বন্ধনের প্রধান হাতিয়ার।এতক্ষন যা শুনলেন তাতে হয়তো অনেকে হতাশ হয়ে গেছেন। না হতাশ হবার কিছু নেই। হোমিওপ্যাথিতে এর চিকিৎসা আছে ।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages