Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, December 30, 2017

HSV: ১ জানুয়ারী-কে New Year’s Day হিসেবে উদযাপনের ইতিহাস

আসসালামু আলাইকুম১লা জানুয়ারী-কে “New Year’s Day”হিসেবে উদযাপনের ইতিহাস‘ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম)এর জন্মের ৪৬ বছর আগে থেকেই ১লাজানুয়ারী কে “New Year’s Day” হিসেবেপালন করে আসছিল রোমক সম্রাটগণ।আধুনিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারও সেইধারাবাহিকতায় ১লা জানুয়ারীকে বছরেরদিন বা “New Year’s Day” হিসেবে পালনকরে আসছে।প্রশ্ন হচ্ছে কোথা থেকে ১লা জানুয়ারীএলো?ইতিহাসে দুই রকম বর্ণনা পাওয়া যায় এইবিষয়ে।(১) রোমান সাম্রাজ্যের মুশরিকরা Janus(জানুস) নামে এক ঈশ্বরের ইবাদত করতযাকে তারা “God of gates, doors, andbeginnings” বা “শুরুর স্রস্টা” হিসেবেমানতো। মূলতঃ তারা অনেক জনসৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিল। তার মধ্যেJanus ছিল অন্যতম। Janus এর মূর্তিরদুইটিমাথার একটি সামনের দিকে মুখ করা এবংঅন্যটি পেছনের দিকে মুখ করা। দু’পাশেদু’টি মাথা দ্বারা নির্দেশ করে Janusসামনে ও পেছনে – সবদিকেই দেখতে পায়।প্রতীকী ভাবে এটি বুঝায় – Janus অতীত ওভবিষ্যৎ দেখতে পায় ও ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রনেরক্ষমতা রাখে। এই Janus এর নাম অনুসারেবছরের প্রথম (beginning) মাসের নাম দেয়াহয় January। ১লা জানুয়ারী কে “New Year’sDay” হিসেবে পালন করার মূল উপাদ্য ছিলযাতে তাদের ঈশ্বর Janus খুশি হয়, যাতেতাদের বছরের যাত্রা শুভ হয়। স্বাভাবিকভাবেই ৩১ ডিসেম্বরের আনন্দ উদযাপনসেই Janus এর প্রতি একটি ভালো যাত্রারআনন্দময় সমাপ্তির জন্য কৃতজ্ঞতাপ্রকাশের অনুসঙ্গ হয়ে উঠত।[সুত্রঃক. The Calendar of the Roman Republic,Michels, A K. p. 97-98.খ. Roman Religion, Warrior Valerie. p. 110](২) পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ১৭৫২সাল থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকেঅনুসরণ করার আরো অনেক আগে থেকেই১লা জানুয়ারীকে “New Year’s Day”হিসেবে পালন করে আসছে। খ্রিস্টীয়মতবাদ অনুসারে ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম)এর জন্মের অষ্টম দিন তাঁর খাতনা(Circumcision) করা হয়েছিল এবং সেইকারণে একটি প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করাহয়েছিল। সেখান থেকেই ১লাজানুয়ারীতে আনন্দ প্রকাশ করত তারা।এখন পর্যন্ত Anglican Church এবং LutheranChurch এই রীতি অনুসারে ১লাজানুয়ারীতে আনন্দ প্রকাশ করে।[সুত্রঃক. Dictionary of Theological Terms, McKim,Donald. p. 51.খ. A Companion for the festivals and fasts ofthe Protestant Episcopal Church, Hobart, JohnHenry. p. 284]ধর্ম যার যার, বুঝ-ও তার তার।31 Night এবং New Year (নববর্ষ) উৎযাপনকরা মুসলিমদের জন্য অকাট্য হারাম“তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারাতাদের জন্যে সে ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যারঅনুমতি মহান আল্লাহ দেননি? যদি চুড়ান্তসিন্ধান্ত না থাকত, তবে তাদেরব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ইজালিমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়কশাস্তি।”[সুরা আশ-শুরা, আয়াত ২১].রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি যেজাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরইঅন্তর্ভূক্ত।”[সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস ৪০৩১]এগুলো সব বিজাতীয় সংস্কৃতি। এগুলো সবডাস্টবিনে ফেলার সংস্কৃতি। এই ধরনেরকাজ কোন মুসলিমের বাচ্চা করতে পারেনা, পারে না, পারে না।আমি কি ইয়াহুদি?আমি কি খ্রিষ্টান?আমি মুসলিম!যারা দুনিয়ার মোহে আসক্ত তারাইভাবে– একটু নেচে-গেয়ে আনন্দ-ফুর্তিকরেনিই, বাঁচবোই আর কয়দিন, তাই জীবনটাএকটু উপভোগ করে নিই।মনে রাখতে হবে সংস্কৃতির নামে প্রচলিতকিছু রীতিনীতি এবং আচার-আচরন,অনুষ্ঠান ইসলামের মৌলিক চিন্তাবিরোধী।একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় বর্তমানসময়ের অধিকাংশ মুসলিম শুধুমাত্র কুরআনও সুন্নাহর চর্চা করা খাঁটি মুসলিম নয়।তারা হচ্ছে বিজাতীয়-বিধর্মীয় কাফির-মুশরিকদের অপসংস্কৃতির চর্চা করা শঙ্করপ্রজাতির মুসলিম।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেনঃ“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ওনাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করোনা, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদেরমধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলেসে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে, নিশ্চয়আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিতকরেন না।”[সূরা আল-মায়িদাহঃ ৫১]“হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্বেযাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদেরমধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-তামাসা ও খেলার বস্তু হিসাবে গ্রহণকরে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকেবন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। আর আল্লাহকে ভয়কর যদি তোমরা মুমিন হও।” [সূরা আল-মায়িদাহঃ ৫৭]রাসূল ﷺ বলেছেন,‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সেব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্যহবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১) ।আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃথেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন যেব্যাক্তি মুশরেক দের দেশে বাড়ী তৈরিকরল তাদের উৎসব দিবস পালন করল এবং এঅবস্থায় মারা গেল তবে তার হাশরতাদের সাথেই হবে। (সূনানে বাইহাকীঃ২৩৪)কত কঠিন কথা! কিয়ামতের মাঠে ভীষণতৃষ্ণায় সবাই চাইবে কাউসারের পানি,আল্লাহ্র আযাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ারজন্য রাসুল (সাঃ) এর সুপারিশ। কিন্তু যারহাশর-ই হবে কাফেরদের সাথে তারঅাবার কিসের পানি, কিসের সুপারিশ???এরপরেও যারা এই পার্থিব জীবনকেকাফেরদের অনুকরণে খেল-তামাশারবস্তুতে পরিণত করে তাদের প্রতি মহানআল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তাঃ“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবনক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবেনা এবং এরা সাহায্যও পাবে না। (সুরাবাকারাঃ ৮৬)আল্লাহ্ সকল মুসলিমকে এই সকল বিজাতীয়সংস্কৃতিফেত্না থেকে মুক্ত রাখুক ! আমীন!!!Don’t forget to share with friends and familyএর পরেও যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলেমুড়ি খান। বেশি বুঝতে হলে

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages