Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Wednesday, December 27, 2017

সকালের ১০ কাজ, যা আপনার দিনটাকে সুন্দর করবে

ব্যবসা, চাকরি বা রাজনীতি-যেকোনো ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিত্বরা আমাদের মাঝে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠেন।তাঁদের চলার পথ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন হলেও সফলতার পেছনে বিশেষ কিছু গুণ ও অভ্যাস বিক্রিয়ার অনুঘটকের মতো কাজ করে। এখানে বিশেষজ্ঞরা কিছু বিশেষ গুণ ও অভ্যাসের কথা তুলে ধরেছেন, যা সব সফলের মাঝেই দেখা যায়। প্রতিদিন সকালের বিশেষ ১০টি কাজ রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত করে নিয়েছেন সফলরা।এগুলোর কথা জেনে নিন এবং আপনিও করারচেষ্টা করুন।১. এক ঘণ্টা আগে উঠুনযদি একটি দিনকে ২৫ ঘণ্টা করে নিতে চান, তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন। আর একে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলুন। গবেষণায়দেখা গেছে, প্রয়োজনের চেয়ে এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠলে মানুষ আরো বেশি সচেতন ও আশাবাদী হয়ে ওঠে। ঠাণ্ডা মাথায় কাজের যথেষ্ট সুযোগওমেলে তাদের।২. দিনের কাজ নিয়ে ভাবুনঘুম ভাঙার পর নিজেকে কিছু সময় দিন।গোটা দিনের কাজগুলোকে একঝলক মাথায়আনুন। মাত্র মিনিট দুয়েক ইতিবাচকভাবে পুরো দিনের কাজগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মনটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে বলে এক গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে।৩. সকালের নাশতাকে গুরুত্ব দিনসময় মূল্যবান। আর সকালে পেট পুরে স্বাস্থ্যকর নাশতা উপভোগ সময়টাকে আরো মূল্যবান করে দেবে। দেহটাকে নিয়ে কাজে ঝাঁপ দেওয়ার জন্যে নাশতা জ্বালানি হয়ে কাজ করবে। তাই সফলরা কখনো একে অবহেলা করেননি।৪. আগে জরুরি কাজযে কাজটি জরুরি এর জন্য সবার আগে পা ফেলতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওই কাজ গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল হয়ে থাকলে তালিকার শীর্ষে রাখা প্রয়োজন। এতেকরে সুস্থ-সবল মস্তিষ্কে সুষ্ঠুভাবে কাজের সমাধা হবে। কারণ সকাল সকাল দেহ-মন-মগজ প্রসন্ন থাকে।৫. প্রেরণার মন্ত্রকী আপনাকে প্রেরণায় ভাসিয়ে দেয়, প্রথমেই তা খুঁজতে গভীরে ঝাঁপ দিন। দ্বিতীয় ধাপে নিজের একটি মন্ত্র তৈরি করুন, যা প্রেরণাকে উসকে দেবে। আর তৃতীয় ধাপে একই কাজ প্রতিদিন সকালের জন্য নিয়মিত করে নিন। চতুর্থ স্তরে গিয়ে গভীর করে শ্বাস নিন এবং প্রস্তুতি শেষ করুন।৬. ব্যায়ামসকালে যদি একটু ব্যায়াম করে নিতে পারেন, তবে তো কথাই নেই। ঘুম থেকে ওঠার পর সামান্য লাফালাফি ও দৌড়ঝাঁপ আপনাকে কাজের জন্য পূর্ণশক্তি এনে দেবে। এ কাজের জন্য যতটা সময় দেবেন, ঠিক ততটা সময় আগে ঘুম থেকে ওঠাই সহজ সমাধান।৭. খাবারের পোঁটলা বাঁধুনকাজের মাঝে ক্লান্ত মস্তিষ্কের আহার জোগাতে আপনার মুখে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। এ বিষয়ে সচেতন সফলরা। তাঁরা বাড়িতেতৈরি স্ন্যাকসকে শক্তির উৎস হিসেবেভালো কাজে লাগান। কাজেই আপনিও তাঁদের অনুসরণ করুন।৮. অবসন্নতা ঝেড়ে ফেলুনদিন যত গড়াতে থাকবে, দেহ-মন তত অবসন্ন হতে থাকবে। তাই বাড়তি পেরেশানি ঝেড়ে ফেলুন। মন খারাপের বিষয়গুলো ভুলে যান। অনেক হালকা বোধ করবেন। ই-মেইল থেকে এক বস্তা অপ্রয়োজনীয় মেইল মুছে ফেলুন। পুরনো কাগজপত্র ফেলে দিন। নতুন একটি অ্যাপ মোবাইলে ডাউনলোড করুন।৯. দ্রুত ঘুমাতে যানআগে উঠতে হলে আগে ঘুমাতে হবে। এই স্বাভাবিক নিয়মটিকে মেনে চলুন। গভীর একটা ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখবে। এতে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান পাবেন এবং সৃষ্টিশীলতা আরো প্রখর হতে থাকবে।১০. নীরবতা উপভোগ করুনসকালে ঘুম থেকে উঠে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করুন। ভোরের সূর্যোদয় দেখুন, পাখির ডাক শুনুন এবং শীতল হাওয়ায় দেহটাকে জুড়িয়ে নিন।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages