Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, December 23, 2017

কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাইআমাদের জানা উচিতকীভাবে নিজেকে সুন্দর রাখা যায

কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। তাইআমাদের জানা উচিতকীভাবে নিজেকে সুন্দর রাখা যায়। মানুষসুন্দর হয়ে জন্মালেও যত্নবাননা হলে সৌন্দর্য বেশি দিন টেকে না।আমরা অনেকেই মনে করি, গায়েররং ফর্সা হলেই বুঝি সে সুন্দর।আসলে তা নয়। রং আপনার যাই হোকনা কেন, যদি তাতে গ্ল্যামার বা লাবণ্যথাকে তাকেই সুন্দর বলে। নির্জীব,দাগযুক্ত ত্বক যেমন নিজের কাছে খারাপলাগবে, তেমনি অন্যের কাছেও খারাপলাগবে। আপনি যেমনই হোন না কেন, একটুচেষ্টা করলেইআপনি অনেকখানি আকর্ষণীয় হতে পারেনসবার কাছে। তার জন্য শুধু দরকার ধৈর্য্যও নিয়ম মাফিক পরিচর্যা। মেয়েদের ২৩-২৪বছর বয়স থেকেই বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন,খাওয়া-দাওয়া, ব্যায়াম ইত্যাদিরদিকে নজর দেওয়া উচিত। তাহলে জীবনেরশেষ দিন পর্যন্ত ও নিজের রূপ এবং সৌন্দর্যধরে রাখা সম্ভব। সঠিকপদ্ধতি জেনে নিয়ে ধৈর্য্য ধরে নিজেরপরিচর্যা করতে হবে।১৭-২০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃএ বয়সে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব থাকে, ব্রণউঠার প্রবণতাও দেখা দেয়। তাই এইবয়সটিতে ত্বক পরিষ্কার রাখারব্যাপারে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। হারবালকোনো ফেসিয়াল করা যেতে পারে যেনত্বকে ময়েশ্চার ব্যালেন্স হয়। হলুদ,পুদিনা পাতা, শশা, মধু এই উপাদানসমৃদ্ধ ফেসিয়াল করতে হবে তাইআপনি বেছে নিতে পারেন হানি ফেসিয়াল,কিউকাম্বার ফেসিয়াল, অরেঞ্জফেসিয়াল।২১-৩০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃ২০ বছরের পর যে কেউই ফেসিয়ালকরতে পারবেন। শুষ্ক, সাধারণ ও তৈলাক্তত্বকে সমস্যা না হলে হারবাল ফেসিয়ালকরা যেতে পারে। পার্ল ফেসিয়াল সবধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য,তবে স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়ালকরা যাবে না। পার্ল ফেসিয়াল করারপর ত্বকে একটা হোয়াইটিশআভা আসে এবং অনেক দিন পর্যন্তদীর্ঘস্থায়ী হয়। এটা সব ধরনের ত্বকেরজন্যই উপকারী শুধু সেনসিটিভবা স্পর্শকাতর ত্বকে এই ফেসিয়ালকরা যাবে না। এটা সব বয়সী ত্বকেরজন্য নেওয়া যাবে। বিয়ের কনের জন্য গোল্ডফেসিয়াল খুব ভালো ফলাফল দেবে। কারণএটা ত্বকে সুন্দরএকটা সোনালী আভা এনে দেয়।৩১-৪০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃএই বয়সটি থেকে ত্বক পরিবর্তন হতে থাকে।এই বয়সে এমন ফেসিয়াল দরকারযেটি ত্বকের কমপ্লেক্সশন পরিবর্তন করারলক্ষ্যে ত্বককে হাইড্রেট, ময়েশ্চারাইজকরে। তাই হালকা ম্যাসেজেরমাধ্যমে সকল প্রকার ধকল থেকে পরিত্রান,স্ক্রাবিং এর মাধ্যমে মরা কোষ দূরকরে সবশেষে হাইড্রেটিং মাস্কলাগিয়ে ফেসিয়াল সম্পন্ন করতে হবে। তাইআপনার জন্য উপকারী ফেসিয়ালহবে স্টিম ফেসিয়াল, অ্যান্টি-রিঙ্কেলফেসিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেনট ফেসিয়াল।এছাড়াও করতে পারেন ফ্রুট ফেসিয়াল। এইফেসিয়ালে যে ফ্রুট ক্রিম ব্যবহার করা হয়যা সব ধরনের ত্বকের জন্য ভালো। বিশেষকরে ফ্রুট ফেসিয়াল ত্বকের গভীরথেকে ময়লা পরিষ্কার করে। ত্বক টান টানরাখে। একমাত্র ফ্রুট ফেসিয়ালইস্পর্শকাতর ত্বকের জন্য উপযোগী।৪১-৫০ বছর বয়সের ফেসিয়ালঃচেহারায় বয়সের ছাপ, রূপসচেতনদেরকাছে এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।৪৫বছরের পর থেকেই সাধারণত এসমস্যা দেখা দেয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এঅনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আগেই দেখা দেয়।বয়সের চাপের পাশাপাশি চেহারায়কালো কালো ছোপও পড়ে। এগুলো দূরকরতে ভেজিটেবলপিলিং এবং থার্মোহার্বেরফেসিয়ালটি করা উচিত। এতে চেহারারকালো দাগ চলে যাবে,ত্বকে উজ্জ্বলতা আসবে। আরওকরতে পারেন অ্যান্টি-রিঙ্কেল ফেসিয়াল,চকলেট ফেসিয়াল।ট্রিটমেন্ট ফেসিয়ালঃট্রিটমেন্ট ফেসিয়াল হলো ত্বকের বিশেষকোনো সমস্যা, যেমন—ব্রণ,রোদে পোড়া ইত্যাদি দূর করার জন্য বিশেষফেসিয়াল। ত্বকে কোনো ব্রণথাকলে ট্রিটমেন্ট ফেসিয়াল করতে হবে।ব্রণের জন্য পিম্পল ফেসিয়াল, পিগমেন্টেরজন্য পিগমেন্টেশন ফেসিয়াল, ভেজ পিলফেসিয়াল আছে। অ্যালোভেরা আরথার্মোহার্ব ফেসিয়াল করালে কালো ছোপদূর হবে। মেছতা দূর করার জন্য আছে ভেজপিল ফেসিয়াল ও অ্যালোভেরা ফেসিয়াল,যা ত্বককে পরিষ্কার করবে। যাদেরত্বকে বিভিন্ন প্রকার দাগ আছে তারা এইফেসিয়াল নিতে পারেন। শুষ্ক ত্বকেরজন্যএই ফেসিয়াল খুবই উপকারী।তবে স্পর্শকাতর ত্বকের জন্যঅ্যালোভেরা ফেসিয়াল করা যাবে না।রোদে পোড়া ভাব দূর করতেও এটি সাহায্যকরে।ত্বকে খুববেশি সমস্যা না থাকলে মাসে একবারফেসিয়ালই যথেষ্ট।ত্বকে সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই সচেতনহওয়া উচিত। ত্বকএবং সমস্যা বুঝে অভিজ্ঞদের পরামর্শনিয়ে তবেই সঠিক ফেসিয়াল করা উচিত।লিখেছেনঃ রোজেন

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages