রোদ, ধুলোবালি চুলকে শুষ্ক করে ফেলে। এর ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ এবং প্রাণহীন। এই সমস্যা সমাধান করুন প্রাকৃতিক উপায়ে। কারণ, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। প্রাকৃতিক উপাদান চুলের রুক্ষতা দূর করার পাশাপাশি চুলকে করবে সুস্থ এবং সতেজ। দেখে নিন চুলের রুক্ষতা দূর করার উপায়-আপেল সিরাপের ভিনেগারএক চা চামচ আপেল সিরাপের ভিনেগার, দুই টেবিল চামচ এবং তিনটি ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।এতে চুল নরম থাকবে এবং রুক্ষ ভাব অনেকটা দূর হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।মাখন চুলকে উজ্জ্বল এবং নরম করেযাদের চুল অনেক বেশি শুষ্ক এবং ভাঙা, তাঁরা চুলে মাখন ব্যবহার করতে পারেন। শুকনো চুলে মাখন ভালোভাবে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর আপনার চুল অনুযায়ী শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন, চুলে যেন মাখন লেগে না থাকে। মাখন চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এবং চুল নরম করে।অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজকরেচুল নরম এবং ঝরঝরে করতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। এটি চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে। চুলে অলিভ অয়েল মেখে তোয়ালে দিয়ে ৪৫ মিনিট ঢেকে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, চুলের রুক্ষতা এক সহজেই দূর হয়ে যাবে।চায়ের পানি চুলকে উজ্জ্বল করেচিনি ছাড়া চা পাতা গরম করুন। রং চলে এলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। এরপর শ্যাম্পু করে কন্ডিশনারের পরিবর্তে চায়ের পানি ব্যবহার করুন। রং করা চুলে চায়ের পানিখুবই উপকারী। তাই চুলকে উজ্জ্বল করতে এবং রুক্ষতা দূর করতে শ্যাম্পুর পর চায়ের পানি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।ডিম চুলে প্রোটিনের কাজ করেশ্যাম্পুর সঙ্গে ডিম মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে পাঁচ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলে প্রোটিনের কাজ করবে। তাই চুলকে সুস্থ এবং সতেজ রাখতে শ্যাম্পুর সঙ্গে অবশ্যই ডিম ব্যবহার করুন।অ্যাভোকাডোনিউইয়র্ক সিটির পিয়ের মাইকেল স্যালনের কালার এক্সপার্ট স্টিফেন সানা বলেন, ‘অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন, ফ্যাটি এসিড ও খনিজ থাকে, যা ক্ষতিগ্রস্ত চুলকে প্রাণবন্ত করে তোলে।’ অ্যাভোকাডোর পেস্টের সঙ্গে একটি ডিম মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর ভেজা চুলে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্বাস্থ্যবান চুলের জন্য মাসে অন্তত একবার এই মিশ্রণ লাগান।বোটানিক্যাল তেল চুলের রুক্ষতা দূর করেজোজোবা অয়েল, আমন্ড অয়েল এ ধরনের বোটানিক্যাল অয়েল চুলের রুক্ষতা দূর করতে বেশ কার্যকর। গোসলের আগে চুলে তেল মেখে ৩০ মিনিট গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল ঝরঝরে হবে এবং রুক্ষ চুল প্রাণবন্ত হবে।ভেজা চুল ঢেকে রাখুনঅনেকেই আছেন যাঁরা ভেজা চুল তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। এতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই চুল ধোয়ার পর তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে চুল নরম থাকবে এবং পানিও শুকিয়ে যাবে। কিছুক্ষণ পর তোয়ালে খুলে ফেললে অল্প সময়েই বাতাসে চুল শুকিয়ে যাবে।চুল খোলা রাখুনআপনি যদি সব সময় চুল বেঁধে রাখেন, তাহলে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাই যতটা সম্ভব চুল ছেড়ে রাখার চেষ্টাকরুন এবং চুল বাঁধলেও হালকাভাবে চুল বাঁধুন, যাতে চুলের গোড়া টাইট হয়ে না থাকে।সুষম খাবারচুল ভালো রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি, ফল ও সবজি খাওয়া প্রয়োজন। চুলের যত্নে সুষম খাবার গ্রহণ করা সবচেয়ে কার্যকর। কারণ সুন্দর চুল ও ত্বকের জন্য বাহ্যিক পরিচর্চার থেকে ভিতর থেকে পুষ্টি বেশি প্রয়োজনীয়।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Thursday, November 30, 2017
চুলের রুক্ষতা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
Tags
চুলের যত্ন#
Share This
About Raihanul Haque
চুলের যত্ন
Labels:
চুলের যত্ন
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----