Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Monday, November 27, 2017

দুশ্চিন্তা ৬৫ ভাগ কমিয়ে দিবে একটি সুর!

মানুষের জীবনের প্রতিটি দিন এক রকম যায় না। কখনো ভালো, কখনো খারাপ, কখনো বিষাদ ক্লান্তি ভর করে। এছাড়া কোনো কারণে কোনো বিষয় নিয়ে ভর করেছে রাজ্যের দুশ্চিন্তা। আর নিজেকে খুব ক্লান্ত লাগে। কী করবেন তখন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গান শুনতে।কিন্তু কি গান শুনবেন, ভাবছেন? ব্রিটেনের ব্যান্ড মার্কনি ইউনিয়নের করা একটা সুর আছে। নাম ‘ওয়েটলেস’। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৬৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, ‘ওয়েটলেস’ শোনার পর তাদের দুশ্চিন্তা কমে গেছে। ইউটিউবে গিয়ে এ নামে খুঁজলেই একটি মিউজিক ভিডিওসহ পেয়ে যাবেন সুরটি।‘অর্গানিক অ্যান্ড হেলদি’ শীর্ষক একটি স্বাস্থ্য পত্রিকা জানিয়েছে, মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনাল নামে এক যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানতে চায়, কোন ধরনের সংগীত মানুষের ক্লান্তিবোধ ও দুশ্চিন্তা কমিয়ে দিতে পারে।ওই প্রতিষ্ঠানের করা পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন মানুষ অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন গান ও সুর শুনতে দেয়া হয়। এরপর পরীক্ষা করা হয়েছে মস্তিষ্কের অবস্থা, হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের অবস্থা।ওই প্রতিষ্ঠান দেখিয়েছে, ৬৫ শতাংশ মানুষ ‘ওয়েটলেস’ ট্র্যাকটি শুনে শান্ত করেছে মন। দূর হয়েছে তাদের ক্লান্তিভাব। কেটে গেছে তাদের অনিদ্রা ভাব।ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কনি ইউনিয়নের করা ওই সুরে ব্যবহার করা প্রতিটি বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ছিল অসাধারণ। সুরটি শোনার সময় শ্রোতাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক ছিল, যেসব হরমোন ক্লান্তি বাড়ায় তা কমিয়ে দেয়।তিন ব্রিটিশ রিচার্ড টালবট, জেমি ক্রসলি ও ডানকান মিডোস মিলে ২০০৩ সালেগড়ে তোলেন ব্যান্ড ‘মার্কনি ইউনিয়ন’। এখন পর্যন্ত ১০টি অ্যালবাম বের করেছে মার্কনি। এর মধ্যে ‘ওয়েটলেস’ বের হয় ২০১১ সালে।গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যাঁরা নারী ছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই সুরটি শোনার সময় ঘুমিয়ে পড়েন। গবেষকদলের প্রধান ডেভিড লুইস হজসন পরামর্শ দিয়েছেন দুশ্চিন্তা বা ক্লান্তিভাব দূর করতে ‘ওয়েটলেস’ সুরটি শোনা যায়। তবে গাড়ি চালানোর সময় তা শুনতে নিষেধ করেছেন তিনি!

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages