Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, November 26, 2017

সাক্ষাৎকারে যে ৬টি প্রশ্ন করা উচিত নয়

এফ এ শোভন :নতুন চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দেওয়া সত্যিই হৃৎকম্পন বাড়ানোর মতো একটা বিষয়। যারা বলে থাকেএরকম পরিস্থিতির শিকার হননি কখনো, তাহলে বুঝতে হবে আশ্চর্যজনকভাবে তারাযথেষ্ট আত্ববিশ্বাসী অথবা নেহাত মিথ্যে বলছেন।আপনি কতটা অভিজ্ঞ তা এখানে মুখ্য নয়। আপনার ধরাবাধা প্রস্তুতি এখানে কোনো কাজে দেবে না কারণ সাক্ষাতকারের সময়ে এমন কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় যেগুলোর উত্তর করা সত্যি কষ্টসাধ্য ব্যপার। নিয়োগকারী মাঝে মাঝে এমন প্রশ্ন জুড়ে দেন যেগুলো সাক্ষাতকারী ব্যক্তিকে অপ্রীতিকর অবস্থায় ফেলে দেয়। যে অবস্থা থেকে বের হবার উপায়ও থাকে না।নিয়োগকারী হলে আপনার অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যে প্রশ্নটা আপনি করছেন সেটা ওই চাকরির সঙ্গে কতটা সম্পর্কযুক্ত বা প্রাসঙ্গিক? এবং সাক্ষাতকারী ব্যক্তির সে সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে কি না? কিছু ক্ষেত্রে কতিপয় সাক্ষাতকারী ব্যক্তি ভালো ফল করে থাকেন। নিয়োগকারী ব্যক্তি অবশ্যই এক্ষেত্রে খুব ধুর্ত পহ্না বেছে নেন তাকে কাবু করার জন্য।যদি আপনি নিয়োগকারী হয়ে থাকেন এবং মনে করেন যে, কিছু প্রশ্ন রয়েছে যেগুলোকোনো ব্যক্তিগত তথ্যে হস্তক্ষেপ করে সেগুলো পরিহার করে চাকরির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা ভালো। সাক্ষাতকারী ব্যক্তি হিসেবে যদি আপনি কোনো প্রশ্নের উত্তর করতে ইতস্তত বোধ করেন তাহলে ভয় পাবার কিছু নেই। কারণ নিয়োগকর্তা কোনো নির্দিষ্ট কথোপকথন সাজিয়ে রাখেন না আপনার জন্য।এখানে কয়েকটি সেরকম প্রশ্নের উল্লেখ করা হলো যেগুলো সাক্ষাতকারের সময়ে তোলা উচিত নয়।১. আপনি কি বিবাহিত?যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিধি অনুসারে,‘কোনো নিয়োগকর্তা সাক্ষাতকারীর কোনো ব্যক্তিগত বা সুরক্ষিত বৈশিষ্ট্য বা তথ্য ভেদ করতে পারবেন না।’ আপনি কি বিবাহিত, অবিবাহিত নাকি কোনো সম্পর্কযুক্ত এগুলোও এর অন্তর্ভুক্ত। এই তথ্যগুলো প্রকাশের পেছনে কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।সাক্ষাতকারে প্রশ্ন হবে নিরপেক্ষ। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে অনেকেই ব্যক্তিগত নথিতে হস্তক্ষেপ করে থাকেন। কিন্তু দেখা যায় সেই তথ্যগুলো উক্ত চাকরির সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে আপনি সাক্ষাতকারী হলে বলতে পারেন, আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনকে পেশাগত জীবন থেকে আলাদা করে দেখেন।নিয়োগকারী এভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন:আপনি কোথাও কোনো অঙ্গীকারবদ্ধ বা সম্পর্কযুক্ত, যেটা এই কাজের ক্ষেত্রে আপনাকে প্রভাবিত করবে?২. আপনার বয়স কত?কারো বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা সত্যিই নৈতিকতা বিরোধী এবং ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যে হস্তক্ষেপ করার মতো বিষয়।যেটা সত্যি বৈধ কাজ হতে পারে না। যথেষ্ট বয়স হওয়ার ফলেই আপনি সেখানে সাক্ষাতকারের জন্য সুযোগ পেয়েছেন। বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা সত্যিই অপ্রাসঙ্গিক ও অযৌক্তিক এবং এক্ষেত্রে আপনি বৈষম্যর শিকার ও বটে। সতর্ক থাকুন যখন নিয়োগকারী আপনার বয়স বের করার জন্য নানা ধুর্ত কৌশল অবলম্বন করবে। হয়তো এভাবে প্রশ্ন করতে পারেন যে, অবসরের আগ পর্যন্ত আপনিকতদিন চাকরি করতে পারবেন? কিন্তু এ ধরনের প্রশ্ন করাও অবৈধ।নিয়োগকারী এভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন:আপনি নিশ্চই আঠারো অতিক্রম করেছেন এবং চাকরির জন্য যথেষ্ট বয়স হয়েছে?৩. আপনার কি কোনো সন্তান আছে বা নিতে চাচ্ছেন?সাক্ষাতকারী ব্যক্তির কোনো সন্তান আছে কিনা বা তিনি সন্তান নিতে চাচ্ছেনকিনা সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যপার। এসব ব্যপারে প্রশ্ন জুড়ে দেওয়া অবশ্যই নীতিবিরোধী কাজ।কিংবা আপনি কি পরিবার শুরু করার পরিকল্পনা করছেন বা আপনার স্ত্রী কি গর্ভবতী এসব প্রশ্নও যথেষ্ট অপ্রাসঙ্গিক এবং চাকরি ক্ষেত্রে কিঞ্চিৎ সম্পর্কযুক্ত নয়।কিছু ক্ষেত্রে কতিপয় নিয়োগকারী ব্যক্তি এরকম প্রশ্ন করেন যে, আপনি কি সন্তান লালন পালনের জন্য চাকরিটা আবশ্যক মনে করছেন বা কতদিন ধরে চাকরি খুঁজছেন? কিন্তু বিষয়টা হলো আপনার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করার সে কে? সেক্ষেত্রে সরাসরি উত্তর না করে প্রশ্নগুলো এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম।৪. আগের চাকরিতে কর্তব্যরত অবস্থায় কতদিন অসুস্থবস্থায় কাটিয়েছেন?সাধারণভাবে কোনো নিয়োগকারী আপনাকে চাকরি দেবার পূর্বেই আপনার স্বাস্থ্যও সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ে এগুলো লক্ষ করা যায়। আগের চাকরিতে কতদিন অসুস্থ কাটিয়েছেন তার সঙ্গে উক্ত চাকরির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে বলে কোনো যুক্তি নেই। আগে অসুস্থ ছিলেন বলে আগামীতেও অসুস্থ থাকবেন এমনটা নয়। এ ধরনের প্রশ্ন করাও অযৌক্তিক। এই প্রশ্নের মানে দাড়ায় আপনি এই চাকরির সঙ্গে কতটা সমন্বয় সাধন করে চলতে পারবেন? কিন্তু চাকরি দেবার পূর্বেই এই প্রশ্ন তোলা যথেষ্ট অপ্রাসঙ্গিক। সেক্ষেত্রে আপনার উচিত প্রশ্নানুযায়ী নিজের মতো করে উত্তর দেওয়া।নিয়োগকারী এভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন:চাকরিটা ঠিকঠাক বা কার্যকরভাবে করতেআপনার কোনো চাহিদা বা প্রয়োজনীয়তা আছে কি?৫. আপনি কি কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত?সাক্ষাতকারের সময়ে আপনি কোনো অপরাধেরসঙ্গে জড়িত কিনা সেই প্রশ্ন করা অবৈধ এবং অপ্রাসঙ্গিক। আবেদনকারীর যদি উল্লেখযোগ্য কোনো শাস্তি প্রত্যক্ষ না হয় তাহলে এই প্রশ্ন করার প্রয়োজনীয়তা কি? কোনো ব্যক্তির সঙ্গে এরকম বৈষম্যমূলক আচরণ করা নীতিবিরোধীএবং অবৈধ। উক্ত ব্যক্তি কোথাও অপরাধী সাব্যস্ত হলে নিশ্চই সাক্ষাতকারে আসতেন না।নিয়োগকারী এভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন:চাকরির এই অবস্থানটি গ্রহণে আপনার কোনো অক্ষমতা রয়েছে কি না? থাকলে কেন?৬. আপনি কোন ধর্মাবলম্বী?এ ধরনের প্রশ্ন করাও ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যে হস্তক্ষেপের পর্যায়ে পড়ে। এই উত্তর যে আপনাকে দিতেই হবে বা আপনি বাধ্য তার পেছনেও কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ নেই, যদি না আপনি কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্যআবেদন করে থাকেন। একইভাবে আপনি কোন বর্ণের, কোন জাতির সেটা প্রশ্ন করাও অবৈধ বলে বিবেচিত।নিয়োগকারী এভাবে জিজ্ঞাসা করতে পারেন:এমন কোনো ব্যক্তিগত বা ধর্মীয় কারণ রয়েছে কি, যার জন্য চাকরিটা আপনার জন্যউপযুক্ত নয়?

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages