Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Friday, October 20, 2017

যারা আপনার সাথে মিথ্যা কথা বলছে, তাদের মিথ্যা কথা ধরার কৌশল যেনে নিন সহজে।

,আজকে আমি বলব যে মানুষের মিথ্যা ধরার ক্ষমতা অনেক শক্তিশালী। কিন্তু এ ব্যাপারে সচেতন না থাকার কারণে মিথ্যা বুঝতে প্রায়ই ব্যর্থ হই আমরা। নতুন এক গবেষণার পর এসব তথ্য জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার হাস স্কুল অব বিজনেস এর ফরেনসিক সাইকোলজিস্ট ড. লেনি টেন ব্রিঙ্ক এবং তার দল। সৌভাগ্যবশত অন্যের অঙ্গভঙ্গিদেখে আপনি বুঝতে পারবেন যে সে আপনার সঙ্গে মিথ্যা বলছে কিনা। এ কথা জানান এফবিআইয়ের সাবেক বিহেভিরোয়াল অ্যানিলিস্ট এবং বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এক্সপার্ট ড. লিলিয়ান গ্লাস। এখানে ৮টি লক্ষণ দেওয়া হলো যা দেখে বুঝতেপারবেন কেউ আপনার সঙ্গে মিথ্যা কথা বলছে কিনা। মিথ্যা বলার সময় কি হয় তা নিচে দেয়া হলো →যথাযথ← ১.মাথা নাড়াচাড়াকরা যদি আপনি দেখেন যে, বক্তা আপনার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ঘনঘন হঠাৎ করে এলোমেলো নাড়াচ্ছেন তবে বুঝবেন তিনি মিথ্যা বলছেন। সরাসরি কোনো প্রশ্নের জবাবে কেউ মিথ্যা বললে এমনটি ঘটে। গ্লাস বলেন, এ ক্ষেত্রে মাথা না বোধকভাবে পেছনের দিকে মাথা ঝাঁকায় অথবা দুই পাশে কাত করে দেয়। ২.শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তন ঘটা রিফ্লেক্স অ্যাকশনের কারণে মিথ্যাবাদী ঘন করে শ্বাস নেয় বলে জানান গ্লাস। শ্বাস-প্রশ্বাসের পরিবর্তনে তাদের কাঁধ ওপরের দিকে উঠে যায় এবং কণ্ঠ হালকা হয়ে আসে। হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপের পরিবর্তনের কারণে তাদের অক্সিজেনের অভাব ঘটে। এ ধরনের পরিবর্তন দেহে ঘটে যখন দুশ্চিন্তা বা স্নায়বিক চাপ থাকে। ৩.অস্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা স্নায়বিক চাপে মানুষ উসখুস করে এটা ঠিক। তবে এটাও ঠিক যে তারা একদম নড়াচড়া করতে চান না।গ্লাস বলেন, এটা সহজাত নিউরোলজিক্যাল সংগ্রামের চিহ্ন। যখন কেউ আপনার সঙ্গে বন্ধুসুলভ মানসিকতা নিয়ে সহজ আচরণ করবে, তখন তার মধ্যে দেহের নড়াচড়া সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে। কিন্তু কথা বলার সময় অতিমাত্রায় স্থির থাকার প্রবণতা স্বাভাবিক আচরণের প্রকাশ নয়। ৪.একই শব্দ বা ব্যাকাংশ বারবারবলা এটা হয় কারণ মিথ্যাবাদী আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এর আরেকটি কারণ হলো, সন্তোষজনক জবাব খুঁজতে তারা শব্দ বা বাক্য খুঁজে পায় না। এ কারণে একই শব্দ বা বাক্যাংশ ক্রমাগত বারবার বলেত থাকেন মিথ্যাবাদী। ৫.অতিরিক্ত তথ্য প্রধান করা যখন কেউ আপনাকে অতিমাত্রায় অপ্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানের চেষ্টা করে, তবে তার মিথ্যা বলার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। গ্লাসের মতে, তারা খুব দ্রুত আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে, সে যা বলছে তার সব সত্যি। আর এ কারণেই অতিরিক্ত তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। ৬.মূখ বা ঠোটে হাত রাখা মিথ্যা কথা বলার সময় কেউ তার হাত মুখে রেখে কথা বলার চেষ্টা করেন। এরঅর্থ কিছু কথা তিনি বলতে চাচ্ছেন না অথবা লুকাতে চাচ্ছেন। ঠোঁটে হাত রাখার অর্থ তিনি কথা-বার্তা বন্ধ করতে চান। ৭.অবচেতনভাবে দেহের অংশ ডাকার চেষ্টা দেহের বিভিন্ন অংশ যেসব স্থানে আঘাত করা যায়, একজন মিথ্যাবাদী অবচেতনভাবে সে সব অংশ ঢাকার চেষ্টা করেন। যেমন- গলা, মাথা বা বুক ইত্যাদি। এই সকল স্থানেঅকারণে হাত রাখা হাত নাড়াচাড়া করা ইত্যাদি আচরণ প্রকাশ পায়।৮.পা নাড়ানো,কথা বলা কঠিন হয়ে পড়া মিথ্যা বলার সময় মানুষ পা নাড়ায় অতিমাত্রায়। এতে তার অস্বস্তি বা স্নায়বিক চাপের প্রকাশ ঘটে। এর আরেকটি অর্থ মিথ্যাবাদী এখনই এই স্থান থেকে সরে পড়তে চান। যেকোনো মিথ্যাবাদীর জন্য ক্রমাগত কথা বলা কঠিন হয়ে পড়ে। এর কারণ হলো মিথ্যা বলার স্নায়বিক চাপে তাদের স্যালিভারি গ্রন্থি থেকে হরমোন প্রবাহের মাত্রা কমতে থাকে। এতে মুখের মিউকন মেমব্রেন শুকনো হতে থাকে। ফলে তার কথা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর লক্ষণ প্রকাশ পায় বারবার ঠোঁটে কামড় বা ঠোঁট চাটা ইত্যাদি।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages