Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Monday, October 2, 2017

৩২৫০০ কর্মী মালয়েশিয়ায়, আরও ৮০ হাজার চাহিদাপত্র

৩২৫০০ কর্মী মালয়েশিয়ায়, আরও ৮০ হাজার চাহিদাপত্রজিটুজি প্লাস মেকানিজমের অধীনে কোম্পানি এবং ফ্যাক্টরিতে লোক নিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাব্যতা যাচাই করে ৮০ হাজার চাহিদাপত্র বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।২০০৯ সালে শ্রম রফতানিতে ধস নামার পর২০১৬ সালের ১০ মার্চ বাংলাদেশ থেকে ৯৮ যাত্রী নিয়ে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে প্রথম ফ্লাইট মালয়েশিয়ায় আসে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ কর্মী সে দেশে গেছেন।জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি শুরু হলেও শ্রমিক যাওয়ার গতি মন্থর অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করছেন রিক্রুটিং এজেন্সি ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার একাধিক নেতা বলছেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শুরু হওয়ার পর ২০ মাসে মাত্র ৩২ হাজার ৫০০ শ্রমিক যেতে পেরেছে।সোমবার মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, মালয়েশিয়া সরকার এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জিটুজি পদ্ধতিতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর হাইকমিশনে এক লাখ কর্মীর নামে ডিমান্ড চলে এসেছে (চাহিদাপত্র)। এসব চাহিদাপত্রের বিপরীতে আমরা প্রতিটি কোম্পানিতে সরেজমিন গিয়ে সুযোগ-সুবিধা দেখে ৮০ হাজারের মতো ডিমান্ড সত্যায়িত করে ঢাকায় পাঠিয়েছি।তার মধ্যে প্রসেসিং শেষে ঢাকা থেকে ৩২ হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় চলে এসেছে। এর মধ্যে একজন কর্মীও হাইকমিশনে অভিযোগ করতে আসেনি। তাই দিন যত যাবে এখানকার মানুষের মনমানসিকতাও তত পরিবর্তন হবে। তখনই শ্রমিক আসার গতি বেড়ে যাবে।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশটিরবিভিন্ন কোম্পানি থেকে যেসব চাহিদাপত্র হাইকমিশনে জমা পড়েছে, সেগুলোর বিষয়ে আমরা প্রথমেই যে বিষয়ে জোর দিয়েছে সেটি হচ্ছে- থাকার জায়গা আছে কিনা, মেডিকেলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ঠিক আছে কিনা। সেগুলো নিশ্চিত হওয়ার পরই হাইকমিশন থেকে প্রতিটি চাহিদার বিপরীতে সত্যায়িত করে ঢাকায় পাঠানো হয়। এ সংখ্যা এখন ৮০ হাজার হবে।তিনি বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তুএখানে কিছুটা ব্যতিক্রম। যাক তার পরও ইদানীং কমিউনিটি নেতাদের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে। আশা করি কিছু দিনের মধ্যে কমিউনিটির ‘চরিত্র’ও পাল্টে যাবে। তখন শ্রমবাজারসহ সব কিছুতেই নতুন গতি ফিরে আসবে।এ বিষয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মালয়েশিয়াগামীদের পরিসংখ্যান দেখে বলেন, মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানির কাজ এখন সুন্দরভাবেই হচ্ছে। তবে শ্রমিক পাঠানোর কাজটি যদি সব রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক করতে পারতেন, তা হলে কর্মী যাওয়ার গতি আরও বাড়ত।এদিকে চাহিদাপত্র বাংলাদেশে পাঠানোর আগে দূতাবাসের শ্রম শাখার কর্মকর্তারা সরেজমিন ফ্যাক্টরি ভিজিট করে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা, কর্মীদের সাক্ষাৎকার, কর্মস্থল ও হোস্টেল পরিদর্শন এবং নতুন কর্মী নিয়োগ করার সুযোগ, থাকার সুব্যবস্থা,চিকিৎসাসেবা, ওভারটাইম, বেতন ব্যাংকের মাধ্যমে দেয় কিনা ইত্যাদি যাচাই করা হচ্ছে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া বিদ্যমান কর্মীদের পে স্লিপ চেক করা হয়।কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানির আয়-ব্যয়, শেয়ার, লাইসেন্স, প্রোডাকশন,এক্সপোর্ট ইত্যাদি তুলে ধরে দেখা হচ্ছে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয়ার অনুমতি আছে কিনা।এ পর্যন্ত ১২৫০ ফ্যাক্টরি ভিজিট করা হয়েছে। যা আগে কখনই করা হয়নি বলে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।সায়েদুল ইসলাম বলেন, এভাবে যাচাই করেআগে কখনই এটেসটেশন করা হয়নি। ফলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক এনে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেয়া হয়েছিল এবং এক ধরনের হিউম্যান ট্রাফিকিং করা হয়েছিল। এখন কঠোরভাবে দেখা হচ্ছে। কারণ মালয়েশিয়া কর্মী ব্যবস্থাপনায় উন্নত বিশ্বের মান অর্জন করতে যাচ্ছে শিগগিরই। এ ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের সহযোগিতাচেয়েছে।জনশক্তি রফতানিকারকরা জানান, গত ২০০৮ সাল পর্যন্ত জনশক্তি রফতানির বড় বাজার ছিল মালয়েশিয়া। বেতন-ভাতা ভালো, মুসলিম দেশ ও পরিবেশ ভালো থাকায় বাংলাদেশের কর্মীদের মালয়েশিয়া যাওয়ার আগ্রহ ছিল শীর্ষে।কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন জটিলতায় এই বাজারে ধস নেমে কর্মী যাওয়া প্রায় বন্ধই হয়ে যায়।২০০৮ সালে যেখানে কর্মী গিয়েছিল এক লাখ ৩১ হাজার, সেখানে ২০১০ সালে ৯০০ জনে নেমে আসে। পরে আরও কমে ২০১২ সালে ৮০০ জনে নেমে আসে।সূত্র জানায়, এরপর ২০১৫ সালে এক বছরে যেখানে কর্মী গিয়েছিল ৩০ হাজার ৫০০ জন, ২০১৬ সালে সেটি বেড়ে ৪০ হাজার জনেউন্নীত হয়। আর ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে মালয়েশিয়ায় কর্মী গেছে প্রায় ৩৭ হাজার জন, যা মোট কর্মী রফতানির ৫.৩৫ শতাংশ।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages