Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Thursday, September 28, 2017

কুরআন হাদিসের আলোকে মর্যাদাবান মাস হলো মুহররম

হিজরি (আরবি) সনের প্রথম মাস মহররম। আল্লাহ তাআলা মহররমকে তাৎপর্যপূর্ণমাস হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে তিনি এ মাসকে হারাম বাসম্মানিত মাস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহররমকে ‘শাহরুল্লাহ বা আল্লাহর মাস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। এমন একটি মর্যাদাবান মাস দিয়ে শুরু হয় হিজরি নববর্ষ।পবিত্র মহররম মাসের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষাকারী বান্দা আল্লাহ তাআলার দরবারে হয়ে ওঠে অতি প্রিয়। এ কারণেই হিজরি নববর্ষের প্রথম মাস মহররম আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ঈমানদার মুসলমান অন্য রকম অনুভূতি লাভ করে। মাগফেরাত লাভের সুবর্ণ সুযোগের সন্ধান পায়।মহররম শব্দটিও তাৎপর্য ও মর্যাদার অর্থ বহন করে। কুরআন এবং হাদিসে এ মাসটির মর্যাদা ও তাৎপর্য উঠে এসেছে-পবিত্র কুরআনুল কারিমে ৪টি মাসকে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যে মাসগুলোতে হারাম কোনো কাজ করা যাবে না। এ ৪টি মাসের মধ্যে অন্যতম হলো মুহররম। এ মাসটি প্রসঙ্গে কুরআন এবং হাদিসের বর্ণনাগুলো তুলে ধরা হলো->> সুরা তাওবার ৩৬নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে নিশ্চয়ই মাসের সংখ্যা হলো ১২ (বার)। এর মধ্যে চারটি মাস হলো সম্মানিত মর্যাদাবান। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং তোমরা এ মাসগুলোর সম্মান বিনষ্ট করে নিজেদের প্রতি অত্যাচার কর না।’>> প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বিদায় হজের ভাষণে বলেন, ‘তিনটি মাস ধারাবাহিক; আর তাহলো জিলকদ, জিলহজ এবং মহররম। আর অপরটি হলো রজব। যা জমাদিউস সানি ও শাবানের মধ্যবর্তী মাস।’ (বুখারি)>> বিদায় হজের দিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টির দিন যে বিন্যাসে আল্লাহ তাআলা মাহকালকে বিন্যাস্ত করেছিলেন আবার সে বিন্যাসেই তা ফিরে এসেছে। বারো মাসে এক বছর, এর মধ্যে চারটি মাস মহিমান্বিত।’ (মুসলিম)কুরআন এবং হাদিসের বর্ণনায় একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, এ মাসেই নিজেদেরকেওপর জুলুম অত্যাচার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ এসেছে।ত্যাগ ও তিতিক্ষার অতুলনীয় ঘটনাটিও ঘটেছে এ পবিত্র মাসে। যে মাসে ইসলামের জন্য জীবন বিসর্জন দিয়েছে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয়তম দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু। যা ঘটেছে এ পবিত্র মাসেই। যে ত্যাগে ইসলামের বীজ অংকুরিত হয়েছে প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে।এ পবিত্র মাসেই আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণকরে সফলতা দান করেছেন। যার প্রমাণ বহন করে হজরত ইউনুছ আলাইহিস সালাম, হজরত আইয়ুব আলাইহিস সালামসহ অসংখ্য পরহেজগার মুত্তাকির জীবনীতে।পরিশেষে…যদি বছরের প্রথম মাস মহররমে কোনো বান্দা নিজেদের জীবনকে অত্যাচার থেকে বিরতে রাখে; তবে আশা করা যায়, বছরের বাকী দিন-মাসগুলো হবে তাকওয়া সমৃদ্ধ; রহমত, বরকত ও মাগফেরাতে ভরপুর। এ মাসে ইবাদত-বন্দেগি করলে মুসলিম উম্মাহ বছরব্যাপী ইবাদত-বন্দেগি করার রসদ, তাওফিক লাভ করবে।আল্লাহ তাআলা এ মর্যাদাপূর্ণ মাসে মুসলিম উম্মাহকে তার রহমত বরকত ও মাগফেরাত কামনায় ইবাদত-বন্দেগিতে অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। এ মাসের ত্যাগ ও তিতিক্ষা নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages