Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Monday, September 18, 2017

ওয়েব সার্ভার কিভাবে কাজ করে?

এই মুহুর্তে আপনি যে ওয়েবপেইজটির দিকে তাকিয়ে আছেন, কখনও কি মনে হয়েছে এই পেইজটি আপনার কম্পিউটারে কিভাবে এসেছে? নিশ্চই মনে হয়েছে। হয়েছে বলেইতো উত্তরের খোঁজে এতোদুর এসেছেন! যাহোক, আপনার জিজ্ঞাস্যের প্রাথমিক উত্তর হলো আপনি এই ওয়েবপেইজটি দেখতে পাচ্ছেন, প্রথমত: আপনি এই ওয়েবপেইজটি দেখতে(ক্লিক করেছিলেন) চেয়েছিলেন বলে এবং দ্বিতীয়ত: যে কম্পিউটারে এই ওয়েবপেইজটি সংরক্ষিত ছিলো সেই কম্পিউটার আপনার ইচ্ছের কথা জানতে পেরে এই ওয়েবপেইজটি আপনার কম্পিউটারে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে। লক্ষ করুন, আপনি যে ওয়েবপেইজটি এখন দেখছেন এটি দেখার জন্য আপনি একটি বিশেষ প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়েছেন যা ‘ওয়েবব্রাউজার’ হিসেবে পরিচিত। এটি হতে পারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স অথবা নেটস্কেইপ। আপনি যখন একটি ওয়েবসাইটের কোন লিংকে ক্লিক করেন বা ব্রাউজারের এ্যাড্রেসবারে কোনো URL (uniform resource locator) লিখে Enter চাপেন তখন আপনার ব্রাউজার, প্রথমে যে কম্পিউটারে এই ওয়েবপেইজটি অবস্থিত সেই কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাকে বলে যে এই ওয়েবপেইজটি তার প্রয়োজন। সেই কম্পিউটারটি (সার্ভার)তখন তার কাছে সংরক্ষিত ঐ ওয়েবপেইজটি আপনার কম্পিউটারে(ক্লায়েন্ট) পাঠিয়ে দেয় এবং আপনার ব্রাউজার তা আপনার সামনে তুলে ধরে।এখন আমরা আরেকটু গভীর বিশ্লেষণে যাবো। এইযে আপনার ব্রাউজার আরেকটি কম্পিউটারের(সার্ভার কম্পিউটার) কাছে একটি ওয়েবপেইজ চাইলো এবং সেটা পেয়েও গেলো, এর মাঝে কিন্তু আরও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে সেগুলো বোঝার আগে আমাদের কিছু বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা থাকা প্রয়োজন। এখন সেই ধারনা গুলোই দেয়ার চেষ্টা করবো।ইন্টারনেটপ্রথমেই ইন্টারনেট ও এর আনুসঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা যাক। ইন্টারনেট হলো নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কম্পিউটারগুলো নিজেদেরকে প্রথমত বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংযুক্ত করে থাকে। স্থানীয় কম্পিউটারের এই নেটওয়ার্কগুলো পরবর্তীতে আরেকটি নেটওয়ার্কের সাহায্যে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হয় এবং সেই নেটওয়ার্কটিই হলো ইন্টারনেট। সাধারনত, বাসায় অবস্থিত একটি কম্পিউটার নিজস্ব মডেমের মাধ্যমে কোন একটি আইএসপি বা ইন্টারনেটের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে এবং সেই আইএসপির মাধ্যমে সে নিজেকে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত করে। অপরদিকে, অফিসে ব্যবহৃত কম্পিউটারগুলো আরেকটু ঘুর পদ্ধতিতে ইন্টারনেটের সংযোগ লাভ করে। অফিসের কম্পিউটার গুলো প্রথমত নিজেদের মাঝে LAN বা Local Area Network এর মাধ্যমে যোগাযোগ প্রতিষ্টা করে। পরবর্তীতে এই LAN কেই স্থানীয় কোন ISP’র সাথে সংযুক্ত করে ইন্টারনেটের সুবিধা গ্রহণ করা হয়। সাধারণত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চতর গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করে; যেমন T1। T1 প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ১.৫ মিলিয়ন বা ১৫ লক্ষ বিট ডাটা প্রেরন করা সম্ভব। অপরদিকে বাসার কম্পিউটারে যে মডেম ব্যবহার করা হয় তা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৫৬ হাজার বিট ডাটা প্রেরণ করা সম্ভব।যাই হোক, একটি পিসি বা LAN যে ISP’র সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে, সেই ISP টি আবার বৃহত্তর কোন ISP’র সাথে সংযুক্ত। এবং ISP’র এ ধারাবাহিকতায় কোন দেশ বা অঞ্চলের বৃহত্তম যে ISPটি পাওয়া যাবে তা সাধারনত কোন ফাইবার অপটিক ব্যাকবোনের সাথে সংযুক্ত থাকে। এই ধরনের ব্যাকবোনগুলো উচ্চতম গতির অপটিক্যাল-ফাইবার তার(যা কিনা সমুদ্রতলদেশে অবস্থিত!) বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত। এবং এভাবেই দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর দুই বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত দুটি বা ততোধিক কম্পিউটার অনায়াসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে।ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারমোটা দাগে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত সমস্থ কম্পিউটারকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। একটি হলো সার্ভার (সেবাদানকারী) কম্পিউটার এবং অপরটি হলো ক্লায়েন্ট(সেবাগ্রহণকারী) কম্পিউটার। বোঝাই যাচ্ছে যে সার্ভার কম্পিউটারগুলো সেবাদান করে থাকে। এবং ক্লায়েন্ট কম্পিউটারগুলো সেবা গ্রহণ করে থাকে। যদিও এটাও সম্ভব যে একটি কম্পিউটার একই সাথে সেবা দিচ্ছে এবং সেবা নিচ্ছে; কিন্ত জটিলতা এড়ানোর জন্য এই মুহুর্তে সে আলোচনায় গেলাম না। একটি সার্ভার কম্পিউটারে আবার বিভিন্ন ধরনের সফট্‌ওয়্যার থাকে, যা তাকে বিশেষ ধরনের কাজে পারদর্শী করে তোলে। যেমন, ই-মেইল সার্ভার একটি কম্পিউটারকে ই-মেইল আদান-প্রদানের উপযোগী করে; অন্যদিকে এফটিপি(FTP) সার্ভার একটি কম্পিউটারকে ফাইল আদান-প্রদানে উপযোগী করে তোলে। আপনি যখন হটমেইলের (বা অন্যকোন ই-মেইল সার্ভারের) মাধ্যমে আপনার (ধরে নিলাম বিদেশী; যেমন আমেরিকান)কোন বন্ধুকে ই-মেইল পাঠান, তখন আপনার ই-মেইলটি কিন্ত বিভিন্ন সার্ভার ঘুরে আপনার বন্ধুর কম্পিউটারে পোঁছায় এবং প্রতিটি সার্ভারই এই কাজে তার ই-মেইল সার্ভার সফরওয়্যারকে ব্যবহার করে। ঠিক একই ভাবে আপনি যখন LimeWire বা Kazaa এধরনের কোনো পি-টু-পি সফটওয়্যার ব্যবহার করে আরেকজনের কম্পিউটার থেকে গানের ফাইল বা বই ডাউনলোড করেন তখনও কিন্তু আপনি অন্য একটি সার্ভার কম্পিউটারের এফটিপি(FTP) সার্ভারের সাহায্য নিচ্ছেন। একই কথা টেলনেট (Telnet) সার্ভারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সাধারনত, লাইব্ররীগুলো এই সার্ভার ব্যবহার করে, কেননা তাতে পাঠকরা টেলনেট এপ্লিকেশন ব্যবহারের মাধ্যমে লাইব্রেরীর(হোস্ট) কম্পিউটারে প্রবেশ করে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী তথ্য অনুসন্ধান করতে বা বই পড়তে পারেন।আইপি এড্রেসইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি নির্দিষ্ট ও একক নম্বর থাকে(যদিও প্রতিবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার পর এই নম্বর পরিবর্তীত হয়ে যায়)। একেই আইপি (IP) এ্যাড্রেস বা Internet Protocol address বলা হয়। এই নম্বরকে চার ভাগে বা ‘অক্টেকে’ প্রকাশ করা হয়। এবং প্রতিটি ভাগে বা ‘অক্টেকে’ ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত যেকোন সংখ্যা থাকতে পারে। যেমন, একটি আইপি(IP) এ্যাড্রেস 205.46.117.104 হতে পারে। আইপি(IP) এ্যাড্রেসের এই প্রতিটি ভাগের (দশ-ভিত্তিক বা ডেসিমেল)সংখ্যাকে কম্পিউটার আবার ৮ বিটের (দুই-ভিত্তিক বা বাইনারী)সংখ্যায় রুপান্তরিত করে বলে চার ভাগ বা অক্টেক বিশিষ্ট একটি আইপি(IP) এ্যাড্রেস কম্পিউটারের কাছে ৩২ বিটের একটি সংখ্যার আকার ধারন করে।স্বাভাবিকভাবেই দেখা যাচ্ছে, এই প্রতিটি ভাগে ০ আর ১ দিয়ে আটটা স্থানের জন্য সর্বোচ্চ ২৮ টি সংখ্যা বা ০ থেকে ২৫৫ পর্যন্ত ২৫৬ টি সংখ্যা গঠন করা সম্ভব।সাধারণত, একটি সার্ভারের আইপি এ্যাড্রস পরিবর্তিত হয়না। কেননা মুল সার্ভারকে সবসময়ই পালাক্রমে অনেকগুলি কম্পিউটার চালু রাখে, সেজন্য দুর্ঘটনা বা বিশেষ কোন কারন নাঘটলে সার্ভার বন্ধ হয়না বা ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়না। কিন্তু, একটি পিসি যখন মডেমের মাধ্যমেআইএসপি হয়ে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয় তখন ঐ আইএসপি তাকে একটি আইপি(IP) এ্যাড্রেস দেয়, যা শুধুমাত্র ততোক্ষণই অপরিবর্তিত থাকে যতোক্ষণ পর্যন্ত ঐ কম্পিউটার ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়। তাই বোঝা যাচ্ছে একটি পিসি ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আবার ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে নতুন একটি আইপি(IP) এ্যাড্রেস লাভ করে। তবে একই সময় একটি মডেমের শুধুমাত্র একটি আইপি(IP) এ্যাড্রেসই থাকতে পারে।আপনার অপারেটিং সিস্টেমটি যদি উন্ডোজের হয়ে থাকে তাহলে এই মুহুর্তেই(ইন্টারনেট সংযোগ থাকা অবস্থায়) ‘কমান্ড প্রম্পট’ এ গিয়ে WINIPCFG.EXE বা 2000/XP’র ক্ষেত্রে IPCONFIG.EXE কমান্ড প্রয়োগ করে আপনার IP address জেনে নিতে পারেন। অথবা PING লিখে যে ওয়েবসাইটের IP address জানা দরকার তার xxx.yyy.zzz ঠিকানা লিখে এন্টার চাপুন। আর UNIX’র ক্ষেত্রে আইপি(IP) এ্যাড্রেস জানার জন্য ‘nslookup biggani.org’ লিখে দেখতে পারেন বা ‘hostname’ কমান্ড প্রয়োগ করে দেখুন কি ঘটে।আইপি(IP) এ্যাড্রেস সম্পর্কে আপনি আরওভালোধারনা পাবেন যদি আপনি আপনার ব্রাউজারের এ্যাড্রেস বারেhttp://codeforhost.com এর পরিবর্তে ‘http://69.89.31.103′ লিখে এন্টার চাপেন।দেখবেন ঠিকই আপনার প্রিয় ওয়েবসাইট বিজ্ঞানী.কম এসে হাজির! সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে যদি IP address জানতে চান তাহলে আপনাকে ফায়ার ফক্সের একটি Add-on ডাউনলোড করতে হবে। যার নাম ShowIP। এটির ব্যবহারের ফলে আপনি যখন যেই ওয়েবসাইটে থাকবেন তখন সেই ওয়েবসাইটের IP address ই এটি আপনাকে জানিয়ে দেবে(ফায়ার ফক্স ব্রাউজারের ডানদিকের কোনায়)।ডোমেইন নেইম বা সংগঠনের নামসহজ কথায় ডোমেইন নেইম বলতে আমরা কোনোসংগঠনের নামকে বুঝি, যে নাম ব্রাউজারের এ্যাড্রেস বারে লিখে এন্টার চাপলে আমরা সেই সংগঠনের ওয়েবপেইজটি দেখতে পাবো। যেমন ‘বিজ্ঞানী’ একটি সংগঠন এবংhttp://codeforhost.com হলো এর ডোমেইন নাম। ইতিপূর্বে আমরা আইপি এ্যাড্রেস সম্পর্কে জেনেছি এবং ডোমেইন নাম আসলে এই আইপি এড্রেসেরই পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। এটা খুবই অস্বাভাবিক যে পৃথিবীব্যাপি হাজার হাজার সার্ভারেরসাথে যোগাযোগের জন্য মানুষ আলাদা আলাদা করে হাজার হাজার আইপি(IP) এ্যাড্রেস মনে রাখবে, যা কিনা শুধুমাত্র কতগুলো সংখ্যার সমন্বয়(আমরা নিশ্চই কম্পিউটার না?)। তাই এই ডোমেইন নেইমের ব্যবস্থা; যা আইপি(IP) এ্যাড্রেসকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় যেমন, ইংরেজীতে প্রকাশ করে। এজন্যই সাধারনত আমরা এ্যাড্রেস বারে ‘http://69.89.31.103′ না লিখে http://codeforhost.com লিখে থাকি।http://codeforhost.com মুলত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত।1. নিমন্ত্রকের নাম বা The host name(‘www’)2. সংগঠনের মুল নাম বা The domain name(‘biggani’)3. সংগঠনের প্রকৃতি বা The top-level domain name(‘com’)হোস্ট নেইম ডোমেইন নেইমের একধরনের ঐচ্ছিক একটা অংশ। যেকোনো কম্পানী ইচ্ছে করলে হোস্ট নেইম তৈরী করতে পারেবা নাও পারে। আগে হোস্ট নেইম হিসেবে www’র বহুল ব্যবহার থাকলেও ইদানিং অনেকেই হয় এটিকে ব্যবহারই করেননা বা করলেও অন্যধরনের নাম ব্যবহার করেন। যেমন, বিজ্ঞানী.কমে’র আগে কোনো হোস্ট নেইম নেই। আবার মাইক্রোসফট এনসাইক্লোপেডিয়া এনকার্টার ওয়েবসাইট e

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages