Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, September 16, 2017

সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে পাওলিকে নগ্ন করার জন্যই

অভিনেত্রী পাওলি দাম (paoli dam) আর নগ্নতা এখন সমার্থক!! পাওলি দামকে দেখলেই তাঁর কাপড় খোলাতে ইচ্ছে করে!!অনেকে এমন মনে করেন যে, সিনেমায় নগ্ন হতে পারেন পাওলি দাম! কিন্তু, কেউ নগ্ন হতে পারলে তাঁকে নগ্ন করতে হবে!! তাই, পাওলি দামকে নগ্ন করার জন্য লেখা হয়েছে সিনেমার গল্প!!ছত্রাক’-এর স্মৃতি এখনও ফিকে হয়ে যায়নি৷ পাওলি দাম অভিনীত ‘ছত্রাক’-এর যৌন দৃশ্যের খোঁজ সেই সময় যে কত জন করেছিলেন, তার সঠিক হিসেব হয়তো মেলেনি৷ তবে, ওই খোঁজের পরে,অনেকের মোবাইল ফোনেও সেভ করা থাকত পাওলি দামের সেই যৌন দৃশ্য৷ কিন্তু, ‘ছত্রাক’-এর ছোঁয়া পাওয়ার কয়েক বছর পরে, বাংলা সিনেমায় এখন পাওলি দামের নগ্নতার মাধ্যমে পুরুষতন্ত্রকে আরও বেশি আঁকড়ে ধরা হচ্ছে!! যার জেরে, আধুনিক এবং মানবতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ার পরিবর্তে মানুষ আরও বেশি প্রাচীনপন্থী হয়ে যাচ্ছে!! কেন!!সাম্প্রতিক একটি বাংলা সিনেমাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ‘লজ্জা-র শিল্পী’ তসলিমা নাসরিন৷ একই সঙ্গে লেখিকার এমন আক্ষেপ যে, ‘পথের পাঁচালি’র মতো সিনেমা করার পরিচালক হয়তো পশ্চিমবঙ্গে নেই৷ শুধুমাত্র তাই নয়৷‘পথের পাঁচালি’র মতো সিনেমা করার জন্য পশ্চিমবঙ্গে কোনও পরিচালকের জন্ম-ও হবে না৷ এই প্রসঙ্গে ‘লজ্জা-র শিল্পী’র এমন যুক্তি যে, বাংলা সিনেমায় এখন দুরবস্থা চলছে৷ তাই, এখনকার বাংলা সিনেমার গল্প এবং ডায়লগগুলি আজগুবি৷ যে কারণেকয়েক জন পরিচালকের সিনেমা কিছুটা সময় দেখতে পারেন তসলিমা নাসরিন৷ এবং, ওই সব পরিচালকের বাইরে অন্য কেউ বাংলা সিনেমা বানাতে পারেন বলেও তিনি মনে করছেন না৷তবে, লেখিকার অনুগামীরা যেমন ফেসবুকে তাঁর বিস্ফোরক ওই মন্তব্যকে সমর্থন করছেন৷ তেমনই, তাঁর ওই মন্তব্যের জেরে ওই বাংলা সিনেমা এবং অভিনেত্রী পাওলি দামের প্রচার হয়ে গেল বলেও মনে করছেন৷ একইসঙ্গে কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, বাংলা সিনেমায় নগ্নতা এলেই কেন এই ধরনের প্রশ্ন ওঠে? সাম্প্রতিক ওই বাংলা ছবির নাম ‘ক্ষত’৷ বৃষ্টিটৃষ্টি এলে পপকর্ন খেতে খেতে ছবিটবি দেখতে তাঁর মন্দ লাগে না বলে ফেসবুকে জানিয়েছেন তসলিমা নাসরিন৷ অথচ, ‘ক্ষত’ দেখতে গিয়েই ‘ক্ষত-বিক্ষত’ হয়েছেন ‘লজ্জা-র শিল্পী’! আর, তার জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন৷ কী বলেছেন তসলিমা নাসরিন?ফেসবুকে ‘লজ্জা-র শিল্পী’ এমনই বলেছেন যে, ‘পাওলি দামকে দেখলেই কি ওরকাপড় খোলাতে ইচ্ছে করে চিত্রপরিচালকদের? একসময় দেখতাম ছেলেরা তাদের মোবাইলে পাওলির একটা সেক্স দৃশ্য সেভ করে রাখছে৷ অনেককে বলতে শুনেছি, পাওলি উলঙ্গ হতে পারে ছবিটবিতে৷ আচ্ছা, কেউ উলঙ্গ হতে পারলেই কি তাকে উলঙ্গ করতে হবে? ক্ষত দেখে মনে হয়েছে, পাওলির জন্য গল্পটা লেখা হয়েছে৷ পাউলিকে উলঙ্গ করার জন্য৷ দিন দিন মানুষ আধুনিক হবে, মানবতন্ত্রে বিশ্বাসী হবে, তা নয়তো আরও বেশি প্রাচীনপন্থী হচ্ছে, আরও বেশি আঁকড়ে ধরছে পুরুষতন্ত্রকে৷ শিল্প সাহিত্যের জগতে বড্ড বেশি মাথামোটা লোক ঢুকে গিয়েছে৷’

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages