প্রতিদিন যদি এক গ্লাস পানিতে এক বা দুচামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে শরীরটাকে নিয়ে আর কোনো চিন্তাই থাকবেনা। সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ থেকেও বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। কী কী কাজে আসে এই মিশ্রণটি?১. আর ভুগতে হবে না বদ-হজমেপ্রতিদিন সকালে উঠে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে পাকস্থলীরকর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে মধুতে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান এসিডিটির সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনাকে যদি মাঝেমধ্যে বাইরের খাবার খেয়ে ক্ষিদে মেটাতে হয়ে, তাহলে আজ থেকেই পানি এবং মধুকে সঙ্গী বানান। দেখবেন কোনো ধরনের পেটের রোগআপনাকে ছুঁতেও পারবে না।২. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করেবাড়ির বাইরে থাকলে মায়ের হাতের খাবারজোটে না। ফলে এদিক-সেদিক করে দিনযাপন করতে হয়। ফলে ঠিকমতো খাবার না পাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। আর একবার যদি শরীরের এই রোগপ্রতিরোধী দেয়াল ভেঙে যায়, তাহলে আর রক্ষা নেই।তখন হাজারো রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধার সুযোগ পেয়ে যায়। তাই দেহের রোগপ্রতিরোধ সিস্টেমকে চাঙা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিন মধু এবং হালকা গরম পানি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন রোগের ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না।মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের অন্দরে খারাপ ব্যাকটেরিয়াদের বাঁচতে দেয় না। সেই সঙ্গে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই চাঙা করে তোলে যে অন্যান্য ক্ষতিকর জীবাণুও শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, জেনারেল মাইক্রোবায়োলজিস স্পিং কনফারেন্সে মধুর কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা চালাকালীন চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন মধুতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকরটক্সিক উপাদানদের খতম করে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।৩. অ্যালার্জির প্রকোপ কমায়একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক গ্লাস গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের আশপাশে ঘুরে বেড়ানো পলেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলি সেভাবে আমাদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলতেপারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যালার্জির প্রভাব কমতে শুরু করে।৪. শক্তির ঘাটতি দূর হয়ঠিকমতো খাবার না খাওয়ার কারণে প্রথমেই যে ক্ষতিটা হয়, তা হলো শরীরের শক্তি কমতে শুরু করে। ফলে কাজে মন বসতেচায় না। সেই সঙ্গে সারাক্ষণই কেমন যেন ক্লান্তি বোধ ঘিরে থাকে। এমন পরিস্থিতে পানি-মধুর যুগোলবন্দি দারুণ কাজে আসতে পারে। কারণ একদিকে পানি দেহের অন্দরে পানির ঘাটতি দূর করে শরীরকে চাঙা করে তোলে। অন্যদিকে, মধু দেহে কার্বোহাইড্রেটের যোগান ঠিক রাখার মধ্য দিয়ে শক্তির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।৫. গলার ব্যথা এবং সর্দির প্রকোপ কমায়হঠাৎ ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার কারণে গলায় ব্যথা। সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশি? এক গ্লাস গরম পানিতে কয়েক চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকারমিলবে। প্রসঙ্গত, বুকে সর্দি জমে থাকার মতো সমস্যা কমাতেও মধু এবং পানির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে।৬. ওজন কমায়প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস গরম পানি, সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই অতিরিক্ত মেদকমে যাবে।৭. শরীরে জমে থাকা বিষ বেরিয়ে যায়খাবারের সঙ্গে তো বটেই, আরো নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে এবং রক্তে প্রতিনিয়ত মিশে চলেছে। এই সব টক্সিক উপাদানগুলিকে যদি শরীর থেকেবের না করা যায়, তাহলেই কিন্তু বিপদ! আর এ ক্ষেত্রে আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করতে পারে পানি এবং মধু। কিভাবে? এই পানীয়টি খাওয়ার পর পরই প্রস্রাবের হারবেড়ে যাবে। ফলে কিডনি প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে শরীরে উপস্থিত এইসব টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে পারবে। এবং কমবে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।৮. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়নিয়মিত মধু এবং পানি মিশিয়ে খেলে শরীরে ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়ে। যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি শরীরকেও নানাবিধ রোগ থেকে দূরে রাখবে।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Tuesday, September 12, 2017
এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলেই রোগ বলবে পালাইপালাই!
Tags
খাদ্য ও স্বাস্থ্য#
Share This
About Raihanul Haque
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
Labels:
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----