Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, September 17, 2017

এন্ড্রয়েড ফোনে যে অ্যাপগুলো আপনার অবশ্যই দরকার

এন্ড্রয়েড হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত স্মার্টফোন অপারেটিং সিস্টেম। এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন, যিনি স্মার্টফোন ব্যবহার করেছেন অথচ এন্ড্রয়েড ফোন চালাননি। আপনার যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল থাকে, তাহলে তাতে কোন অ্যাপগুলো ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করবে আপনি ফোনটির কতটুকু সুবিধা উপভোগ করতে পারছেন। এন্ড্রয়েড ফোনে সাধারণত গুগল প্লে স্টোর ইনস্টল করা থাকে। সেই অ্যাপ ওপেন করে তাতে জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে। তারপর সেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।মনে রাখবেন, এন্ড্রয়েডে গুগল প্লে স্টোর ব্যবহার করতে চাইলে আপনার অবশ্যই একটি জিমেইল একাউন্ট লাগবে যেটা দিয়ে গুগল প্লে স্টোরে সাইন-ইন করতে হবে।এখানে অ্যাপের ধরন অনুযায়ী বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে অ্যাপগুলো সাজানো হচ্ছে। চলুন দেখে নিই এন্ড্রয়েডের ক্ষমতা কাজে লাগাতে এতে যেসব অ্যাপ অবশ্যই ব্যবহার করা উচিত।ব্রাউজার –ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইট ভিজিট করার জন্য আপনার একটি ওয়েব ব্রাউজার দরকার। এন্ড্রয়েড ফোনে এমনিতেই একটি ডিফল্ট ব্রাউজার দেয়া থাকে। তবে সব ফোনের ডিফল্ট ব্রাউজার ভাল হয়না। দ্রুত গতি আর কম ডেটা খরচ করে এমন ব্রাউজার চাইলে অপেরা মিনি অথবা ইউসি ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি ডেটা খরচ নিয়ে কোনো চিন্তা না থাকে, তাহলে গুগল ক্রোম মোবাইল ব্রাউজার ব্যবহার করলে দ্রুত ও সবচেয়ে ভাল অভিজ্ঞতা পাবেন।সোশ্যাল নেটওয়ার্ক –অনেকে আজকাল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন শুধুমাত্র সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটফেসবুক চালানোর জন্য। মোবাইলে ফেসবুক অ্যাপ ব্যবহার করলে সেবাটি সবচেয়ে ভাল উপভোগ করা যাবে। যদিও অপেরা মিনি বা ইউসি ব্রাউজারের চেয়ে এটি কিছুটা বেশি ডেটা ও ব্যাটারি খরচ করবে। ফেসবুক লাইট নামের আরেকটি অ্যাপ আছে যেটি ফেসবুকে কম ডেটা খরচ করবে। আপনি যদি অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন টুইটার, গুগল প্লাস, ইনস্টাগ্রাম প্রভৃতি ব্যবহার করেন, তাহলে সেগুলোর অ্যাপও ডাউনলোড করে নিন।অনলাইন কল ও মেসেজ অ্যাপ –অনলাইনে অডিও-ভিডিও কল করা ও মেসেজ পাঠানো খুবই সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক। অনলাইনে অডিও-ভিডিও কল করার জন্য আপনিব্যবহার করতে পারেন ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ভাইবার, স্কাইপ প্রভৃতি।ইমেইল –ইমেইল হচ্ছে অনলাইনে যোগাযোগের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। আপনি যে কোম্পানির ইমেইল ব্যবহার করেন তাদের অফিসিয়াল মোবাইল অ্যাপ ফোনেও ইনস্টল করে মোবাইল থেকেই ইমেইল পাঠাতে ও গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইমেইল সেবা হচ্ছে জিমেইল। এটি গুগলের সেবা। এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমও গুগলেরই মালিকানাধীন। অপরদিকে উইন্ডোজ নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রোসফটের আছেআউটলুক নামের ইমেইল সেবা। সেটিও জনপ্রিয়। একসময় ইয়াহু ইমেইল জনপ্রিয় ছিল, তবে সম্প্রতি একাধিকবার হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার খবর বেরুনোর পর অনেকেই ইয়াহু মেইল’কে নিরাপদ মনে করেননা। তাই ইমেইল ব্যবহার করতে চাইলে জিমেইল অথবা আউটলুকই ভাল হবে বলে আমি মনে করি।নাগরিক সেবা ও নামাজের সময় –বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারী সেবার সুবিধা ডিজিটাল উপায়ে গ্রহণ করার জন্য অফিসিয়াল অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই লিংকে সরকারী মোবাইল সেবার তালিকা ও অ্যাপ ডাউনলোডের পেইজ পাবেন। বাংলাদেশে নামাজের সময় ও বিভিন্ন জায়গায় কিবলার দিক জানার জন্য গ্রামীণফোনের তৈরি প্রেয়ার টাইমস অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।ফ্রি ফেসবুক ও ব্যাসিক সেবা –বিনামূল্যে ফেসবুক ও জনপ্রিয় সংবাদপত্রের সাইট ভিজিট করতে চাইলে ফ্রি ব্যাসিকস অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এটা বর্তমানে শুধুমাত্র গ্রামীণফোন ও রবি সিমের সাথে কাজ করে।এটি ফেসবুকের একটি সেবা।অডিও-ভিডিও –অডিও শোনার জন্য মোবাইলে মিউজিক অ্যাপ দেয়াই থাকে। সেই মিউজিক প্লেয়ার অ্যাপের মাধ্যমে এমপিথ্রি প্লে করতে পারেন। এজন্য বাইরের অ্যাপ না হলেও চলে। অনলাইনে সরাসরি ভিডিও দেখতে চাইলে ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আর মোবাইলে সেইভ করা ভিডিও দেখার জন্য ফোনের মধ্যে থাকা ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা এমএক্স প্লেয়ার ইনস্টল করতে পারেন।ফাইল শেয়ার –আজকাল কাছাকাছি দুটি ফোনের মধ্যে ফাইল আদানপ্রদান করার জন্য খুব কম লোকই ব্লুটুথ ব্যবহার করেন। অন্যদের সাথে ফাইল আনা-নেওয়া করার জন্য সবচেয়েভাল অ্যাপ হচ্ছে শেয়ারইট। কম্পিউটার ও মোবাইলের মধ্যে তারবিহীনভাবে ফাইল আদানপ্রদানের জন্য এয়ারড্রয়েড খুব ভালো কাজ করে। তবে এজন্য আপনার পিসি ও মোবাইলে ওয়াইফাই সুবিধা থাকতে হবে।ম্যাপ –মোবাইলে ম্যাপ ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে গুগল ম্যাপস। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভারত, মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বেশিরভাগ স্থানের সবচেয়ে পরিষ্কার ম্যাপ ও উচ্চমানসম্পন্ন স্ট্রিটভিউ দেখা যায়।বাংলা লেখা –মোবাইলে বাংলা অক্ষরে লেখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন রিদ্মিক কিবোর্ড। এটি ব্যবহার করা বেশ সহজ।ডকুমেন্ট পড়া ও তৈরি করা –মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট প্রভৃতি ডকুমেন্ট পড়ারজন্য মাইক্রোসফট অফিস এন্ড্রয়েড ভার্সন ব্যবহার করতে পারেন। কম্পিউটারে গুগল ডকস ব্যবহার করলে মোবাইলেও গুগল ডকস অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। গুগলের ড্রাইভ অ্যাপ ইনস্টল করলে এর মধ্যে ডকুমেন্ট ফাইল তৈরি করে অনলাইন ও অফলাইনে সেইভ করা যায়। এছাড়া ড্রাইভ অ্যাপের সাহায্যে পিডিএফ ফাইলও ওপেন করা সম্ভব। সচরাচর পিডিএফ ফাইল পড়তে চাইলে অ্যাডোবি রিডার ব্যবহার করতে পারেন।ডিকশনারি –বিভিন্ন ভাষার শব্দের অর্থ জানতে গুগল ট্র্যান্সলেট অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া বাংলা ডিকশনারি অ্যাপটিও বেশ কাজের।নোট লেখা –বিভিন্ন বিষয় (যেমন বাজারের লিস্ট) মনে রাখার জন্য মোবাইলে নোট লিখে রাখতে পারেন। এজন্য গুগল কিপ কিংবা এভারনোট অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়।অনলাইনে ফাইল সংরক্ষণ –অনলাইনে বিভিন্ন ফাইল সংরক্ষণের জন্য ক্লাউড স্টোরেজ সেবা ব্যবহার করতে হবে। এজন্য গুগল ড্রাইভ অ্যাপ বেশ সুবিধাজনক। আরও ব্যবহার করতে পারেন মাইক্রোসফট ওয়ানড্রাইভ। এছাড়াড্রপবক্স সেবাও ক্লাউড স্টোরেজের জন্য জনপ্রিয়।অনলাইনে ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ –গুগল ফটোস অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইলের সকল ছবি ও ভিডিও অনলাইনে আপলোড করে রাখতে পারেন। মোবাইল নষ্ট হয়ে গেলেও গুগলের সার্ভারে ছবি ও ভিডিও থেকে যাবে (যদি আপনি নিজে ডিলিট না করেন)। তবে গুগল ফটোস অ্যাপ যেহেতু ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে প্রচুর ডেটা ব্যবহার করে, তাই ওয়াইফাই সংযোগ না থাকলে এটা কিন্তু আপনার মোবাইল ডেটা শেষ করে একাউন্টের ব্যালেন্সও কেটে নিতে পারে। যদিও অ্যাপটির ডিফল্ট সেটিংস অনুযায়ী গুগল ফটোস শুধুমাত্র ওয়াইফাই থাকাকালীনই ফাইল অনলাইনে আপলোড করে থাকে। অনলাইনে ছবি আপলোডের জন্য ইয়াহু’র ফ্লিকার সেবাও জনপ্রিয়।ছবি ও ভিডিও এডিট –মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য ফোনের ডিফল্ট অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। তাতে কাজ না হলে গুগলের স্ন্যাপসিড ব্যবহার করুন। এছাড়া ইনস্টাগ্রাম অ্যাপেও ছবি এডিট করে ইফেক্ট দেয়া সম্ভব। আর ভিডিও এডিট করার জন্য অ্যাডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।ব্যাকআপ, এন্টিভাইরাস, র্যাম ক্লিনার,ব্যাটারি সেভার –মোবাইলের অ্যাপ ব্যাকআপ নিয়ে এপিকে (APK) ফাইল হিসেবে সেইভ করে রাখতে চাইলে এন্ড্রয়েড এসিস্ট্যান্ট অ্যাপব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি চান, তাহলে এন্ড্রয়েডে ক্যাসপারস্কি অথবাঅ্যাভাস্ট এন্টিভাইরাস ব্যবহার করতেপারেন। তবে এন্টিভাইরাস অ্যাপ ফোনকে স্লো করে দিতে পারে। বাইরে থেকে র্যামক্লিনার অ্যাপ ইনস্টল না করে ফোনে থাকা র্যাম ক্লিনার পদ্ধতি ব্যবহার করলেও ভাল ফল পাবেন। ব্যাটারি সেভার অ্যাপ ইনস্টল না করে যখন ব্যাটারির চার্জ খুব বেশি সময় রাখা দরকার হবে তখন ফোনের ব্যাটারি সেভিং/পাওয়ার সেভিং মুড চালু করে দিন। এতে ফোনের ক্ষমতা কিছুটা কম ব্যবহৃত হবে ও চার্জবাঁচবে। সুযোগমত আবার চার্জ দিয়ে ব্যাটারি সেভিং মুড বন্ধ করে নরমাল মুডে ফিরে আসুন।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages