Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Monday, July 31, 2017

দাজ্জাল কে? কি কি শক্তি আছে তার? সে কি কারনে আসবে? এখন সে কোথায় আছে ইইত্যাদি জেনেনিন

দাজ্জালের আগমণ, ফিতনাসমূহ এবং বাঁচারউপায়আখেরী যামানায় কিয়ামতের নিকটবর্তীসময়ে মিথ্যুক দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে।দাজ্জালের আগমণ কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ারসবচেয়ে বড় আলামত। মানব জাতির জন্যেদাজ্জালের চেয়ে অধিক বড় বিপদ আর নেই।বিশেষ করে সে সময় যে সমস্ত মুমিন জীবিতথাকবে তাদের জন্য ঈমান নিয়ে টিকে থাকাঅত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে। সমস্ত নবীই আপনউম্মাতকে দাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন।আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে সতর্ককরেছেন এবং তার অনিষ্ট থেকে বাঁচারউপায়ও বলে দিয়েছেন। ইবনে উমার (রাঃ)নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)হতে বর্ণনা করেনঃ “একদা নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাড়িয়ে আল্লাহরযথাযোগ্য প্রশংসা করলেন। অতঃপরদাজ্জালের আলোচনা করতে গিয়ে বললেনঃআমি তোমাদেরকে তার ফিতনা থেকেসাবধান করছি। সকল নবীই তাদের উম্মাতকেদাজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু আমিতোমাদের কাছে দাজ্জালের একটি পরিচয়েরকথা বলব যা কোন নবীই তাঁর উম্মাতকে বলেননাই। তা হলো দাজ্জাল অন্ধ হবে। আরআমাদের মহান আল্লাহ অন্ধ নন।নাওয়াস বিন সামআন (রাঃ) বলেনঃ “একদারাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)সকাল বেলা আমাদের কাছে দাজ্জালেরবর্ণনা করলেন। তিনি তার ফিতনাকে খুববড়করে তুলে ধরলেন। বর্ণনা শুনে আমরা মনেকরলাম নিকটস্থ খেজুরের বাগানের পাশেইসে হয়ত অবস্থান করছে। আমরা রাসূল(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নিকটথেকে চলে গেলাম। কিছুক্ষণ পর আমরা আবারতাঁর কাছে গেলাম। এবার তিনি আমাদেরঅবস্থা বুঝে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমাদেরকি হলো? আমরা বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল!আপনি যেভাবে দাজ্জালের আলোচনাকরেছেন তা শুনে আমরা ভাবলাম হতে পারেসে খেজুরের বাগানের ভিতরেই রয়েছে। নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)বললেনঃ দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের উপরআমার আরো ভয় রয়েছে। আমি তোমাদেরমাঝে জীবিত থাকতেই যদি দাজ্জাল আগমণকরে তাহলে তোমাদেরকে ছাড়া আমি একাইতার বিরুদ্ধে ঝগড়া করবো। আর আমি চলেযাওয়ার পর যদি সে আগমণ করে তাহলেপ্রত্যেক ব্যক্তিই নিজেকে হেফাযত করবে।আর আমি চলে গেলে আল্লাহই প্রতিটিমুসলিমকে হেফাযতকারী হিসেবে যথেষ্ট।[1]দাজ্জালের আগমণের সময় মুসলমানদেরঅবস্থাঃদাজ্জালের আগমণের পূর্ব মুহূর্তে মুসলমানদেরঅবস্থা খুব ভাল থাকবে। তারা পৃথিবীতেশক্তিশালী এবং বিজয়ী থাকবে। সম্ভবতঃ এইশক্তির পতন ঘটানোর জন্যই দাজ্জালেরআবির্ভাব ঘটবে।দাজ্জালের পরিচয়ঃদাজ্জাল মানব জাতিরই একজন হবে।মুসলমানদের কাছে তার পরিচয় তুলে ধরারজন্যে এবং তার ফিতনা থেকে তাদেরকেসতর্ক করার জন্যে নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়া সাল্লাম) তার পরিচয় বিস্তারিতভাবেবর্ণনা করেছেন। মুমিন বান্দাগণ তাকে দেখেসহজেই চিনতে পারবে এবং তার ফিতনাথেকে নিরাপদে থাকবে। নবী (সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার যে সমস্ত পরিচয়উল্লেখ করেছেন মুমিনগণ তা পূর্ণ অবগতথাকবে। দাজ্জাল অন্যান্য মানুষের তুলনায়স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারী হবে। জাহেল-মূর্খ ও হতভাগ্য ব্যতীত কেউ দাজ্জালেরধোকায় পড়বেনা।নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)দাজ্জালকে স্বপ্নে দেখে তার শারীরিকগঠনের বর্ণনাও প্রদান করেছেন। তিনি বলেনঃদাজ্জাল হবে বৃহদাকার একজন যুবক পুরুষ,শরীরের রং হবে লাল, বেঁটে, মাথার চুল হবেকোঁকড়া, কপাল হবে উঁচু, বক্ষ হবে প্রশস্ত, চক্ষুহবে টেরা এবং আঙ্গুর ফলের মত উঁচু।[2]দাজ্জাল নির্বংশ হবে। তার কোন সন্তানথাকবেনা ।[3]দাজ্জালের কোন্ চোখ কানাথাকবে।বিভিন্ন হাদীছে দাজ্জালের চোখ অন্ধহওয়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। কোন কোনহাদীছে বলা হয়েছে দাজ্জাল অন্ধ হবে। কোনহাদীছে আছে তার ডান চোখ অন্ধ হবে। আবারকোন হাদীছে আছে তার বাম চোখ হবে অন্ধ।মোটকথা তার একটি চোখ দোষিত হবে। তবেডান চোখ অন্ধ হওয়ার হাদীছগুলো বুখারী ওমুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে।[4] মোটকথাদাজ্জালের অন্যান্য লক্ষণগুলো কারোকাছেঅস্পষ্ট থেকে গেলেও অন্ধ হওয়ার বিষয়টিকারো কাছে অস্পষ্ট হবেনা।দাজ্জালের দু’চোখের মাঝখানে কাফেরলেখা থাকবেঃতাছাড়া দাজ্জালকে চেনার সবচেয়ে বড়আলামত হলো তার কপালে কাফের ﻛﺎﻓﺮ )) লেখাথাকবে।[5] অপর বর্ণনায় আছে তার কপালে ( ﻙﻑ ﺭ ) এই তিনটি বর্ণ লেখা থাকবে। প্রতিটিমুসলিম ব্যক্তিই তা পড়তে পারবে।[6] অপরবর্ণনায় আছে শিক্ষিত-অশিক্ষত সকল মুসলিমব্যক্তিই তা পড়তে পারবে।[7] মোটকথাআল্লাহ মু’মিনের জন্যে অন্তদৃষ্টি খোলেদিবেন। ফলে সে দাজ্জালকে দেখে সহজেইচিনতে পারবে। যদিও ইতিপূর্বে সে ছিলঅশিক্ষিত। কাফের ও মুনাফেক লোক তাদেখেও পড়তে পারবেনা। যদিও সে ছিলশিক্ষিত ও পড়ালেখা জানা লোক। কারণকাফের ও মুনাফেক আল্লাহর অসংখ্য সুস্পষ্টদলীল-প্রমাণ দেখেও ঈমান আনয়ন করেনি।[8]দাজ্জালের ফিতনাসমূহ ও তার অসারতাঃআদম সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মানবজাতির জন্য দাজ্জালের চেয়ে বড় ফিতনা আরনেই। সে এমন অলৌকিক বিষয় দেখাবে যাদেখে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে। দাজ্জালনিজেকে প্রভু ও আল্লাহ হিসেবে দাবীকরবে। তার দাবীর পক্ষে এমন কিছু প্রমাণওউপস্থাপন করবে যে সম্পর্কে নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আগেইসতর্ক করেছেন। মুমিন বান্দাগণ এগুলো দেখেমিথ্যুক দাজ্জালকে সহজেই চিন

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages