Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Friday, June 23, 2017

যৌনতাকে আরোবেশি উপভোগ করবেন কিভাবে

কিভাবে যৌনতাকে আরও উৎকর্ষতর করেতোলা যায়। মানুষ এর অনুসন্ধান শুরু করেছিলসেদিন হতে যে শুভ মুহূর্তটিতে তার মানবপ্রেয়সীর সাথে যৌনতার শুভ সুযোগ এসেছিল।যৌনতার মত উপভোগ্য দ্বিতীয় আর কিছুই নেই।যৌনতার মাঝেই নাকি স্বর্গীয় সুধার দোয়া পাওয়াযায়। এ কারণে মানুষ যৌনতার প্রথম দিন হতে সেঅমৃত উপাদানটির সন্ধান করেছে যা তারযৌনক্ষমতাকে আরও উৎকর্ষতর করে তুলবেযাতে সে অনেক বেশি তৃপ্তি নিয়ে যৌনতাকেউপভোগ করতে পারবে। সে যৌনতা বৃদ্ধিকারকঅমৃত উপাদানটি কি? এ কৌতূহল সার্বজনীন!এ নিয়েনানান মুনির নানান মত। বাঘের দুধ বা গন্ডারের শিংহতে তৈরি পাউডার-এর মত দুষ্প্রাপ্য নমুনাওএসেছে এ অমৃতের সূত্র ধরে। এ অমৃতউপাদানটির যদি তালিকা তৈরি করা হয় তা কখনো শেষকরা যাবেনা। এ নানান উপাদানগুলো কি আসলেইযৌনতার উপর কোনো প্রভাব রেখে থাকে?আসলে এগুলো কাজ করে কিনা সে সম্পর্কেকোনো প্রকারের বিজ্ঞান গবেষণা চালানোহয়নি। সুতরাং আসল তথ্য সবার কাছে অজানা রয়েগেছে। পুরো ব্যাপারটা দাঁড়িয়েছে স্রেফঅনুমান নির্ভর। যেমন-পুরুষাঙ্গের সাথেআকারগত সাদৃশ্যতা আছে বলে ধারণা করা হয়। কলাযৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক। খোঁজ নিলে আশেপাশেএ ধরনের হাজারো উদাহরণ পাবেন। সমস্যাহলো- মানব মনের দুর্বল দিক বাণিজ্যের কাছেপড়ে যায় বারংবার। যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর এ কথিতঅমৃত উপাদানটিকে ঘিরে অস্পষ্টতা আর রহস্যময়তাআমাদেরকে প্রতিনিয়ত নানান প্রবঞ্চনাআরপ্রতারণার ফাঁদে ফেলে দেয়। ব্যবসায়ীরাতাদের পণ্যের বিজ্ঞাপনে পণ্যের যৌনতাউৎকর্ষতাকারক ক্ষমতার উদ্ধৃতি দেন প্রায়ই।দুর্বল মানব মন ক্রমশ এর দিকে ঝুঁকতে থাকে।ক্রমে ক্রমে অবস্থা এমন দাঁড়ায় প্রায় সবপণ্যরাই এ মহাগুণের অধিকারী হতে দেখাদেয়। এমন ঘটনা ঘটেছিল পাশ্চাত্যের মার্কিনবাজারে। ব্যাপারটা এতটা ব্যাপক রূপ নেয় যে,শেষ পর্যন্ত মার্কিন খাদ্য আর ওষুধের মাননিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এফ ডি এ (ফুড এন্ডড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশান) কে এতে হস্তক্ষেপকরতে হয়। ১৯৯০ সালের ৬ জানুয়ারি এ প্রতিষ্ঠানঘোষণা দেয় যে কোনো ধরনের পণ্য তাওষুধ বা খাবার যেমনটিই হোক তাতে ‘যৌনতাউদ্দীপক’ বা ‘যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিকারক’ এ জাতীয়কোনো মন্তব্য যেনো লেখা না থাকে।কর্তৃপক্ষের ভাষ্য হলো যৌনক্ষমতাসত্যিকারভাবে বাড়াতে পারে এ জাতীয়কোনো ওষুধ লোশন বা উপাদান এখনো তৈরিহয়নি। অবশেষে সমাধান! সিফিলিস! এক নামেই সবারকাছে পরিচিত। যৌনবাহিত রোগ বিধেয় এটিকেঘিরে সবারই কমবেশি কৌতূহল। এ রোগেরইতিহাস বেশ পুরনো। ইউরোপীয়ানরা পঞ্চদশশতাব্দী হতে এর সাথে পরিচিত হয়ে আসছে।যৌনসঙ্গম দ্বারা যে এ রোগ ছড়ায় এটি তাদেরধারণা ছিল কিন্তু এটি যে এক ধরনের জীবাণু ঘটিতসেটি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। সে সময়েসিফিলিসকে ঘিরে ইউরোপীয়ান নানান দেশেরমাঝে একটা সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এ রোগটিরজন্য তারা একেক জন একেক জনকেদোষারোপ করতে থাকে, কেউ এর দায়িত্বনিতে চায় না। মজার ব্যাপার হলো-সিফিলিসনামকরণের আগে রোগটিকে ইউরোপেরএকেক দেশে একেক নামে ডাকা হত।ফরাসীরা এ রোগটির নাম দিয়েছিল নেপলসরোগ। সে সময়ে ইতালীর সবচেয়ে সমৃদ্ধশহরটির নাম ছিল নেপলস। ইতালীয়রা বলতেনফ্রান্স ডিজিস নামে। ইতালী আর ফ্রান্সের এপারসপরিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মত অবস্থা ছিল স্পেনআর ইংল্যান্ডের মধ্যে। ইংল্যান্ডবাসীএরদোষ স্পেনিশদের উপর চাপাতেন।স্পেনিশরাও স্বভাবতই ইংল্যান্ডের উপরএ অপবাদদিতেন সুতরাং নাম দেয়ার বেলাতে ইংল্যান্ডবাসীরাবলতেন স্পেনিশ রোগ আর স্পেনীয়রাবলতেন ‘ইংলিশ রোগ’ পরসপরের দিকে কাদাছোঁড়াছুঁড়ি কতটা মারাত্মক আকার নিয়েছিল এটি তারএকটা নমুনা। এ জাতিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি অবশ্য বেশিদিন ছিল না। এক ইতালীয় কবি এ দ্বন্দ্বের অবসানঘটান। অবশ্য তিনি নিজে মাথা পেতে নেননি বাআর কারোর উপর চাপাননি। তিনি ১৫৩০ সালে মেষপালককে নিয়ে একটা কবিতা রচনা করেন। ঐমেষপালকের নাম ছিল সিকাইলাম। কবিতার ঘটনা ছিল-দেবতা এপেলোকে অপমান করার কারণেদেবতা এ রাখাল মেষপালককে এ রোগেরঅভিশাপ দেয়। রাখাল সিকাইলাম এ ধীকৃত রোগেআক্রান্ত হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকেএগিয়ে যান। তখন থেকে এ রোগের নাম হয়সিফিলিস। যাক, অবশেষে সবারই রক্ষে! অবিশ্বাস্যসূত্র আমরা এতদিন শুনে এসেছি আমাদেরমনের যে যৌন শিহরণ বোধ তার মূল উৎস হলসেক্স হরমোন। পুরুষদের বেলাতেটেস্টোস্টেরন আর মহিলাদের বেলাতেএস্টোজেন প্রজেস্টেরন। পুরুষ আরমহিলাদের বেলাতে যথাক্রমে শুক্রাশয় আরডিম্বাশয় এ সেক্স হরমোনের ক্ষরণের দায়িত্বপালন করে থাকে। এ সেক্স হরমোনেরপ্রভাবে বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরদেহে সেকেন্ডারি সেক্স বৈশিষ্ট্যের বিকাশঘটে। যৌবনের বন্যা বয়ে যায়। এটি একদমস্বতঃসিদ্ধ। সাম্প্রতিক গবেষকরা এর পাশাপাশি একঅভিনব নতুন তথ্য দিচ্ছেন। আমাদের মনেরযৌনতাড়না বোধ বা লিবিডো এর মূল নিয়ামক হলোএ টেস্টোস্টেরন বা টেস্টোস্টেরনজাতক্ষরণগুলো। শেষোক্তগুলোকেএন্ডোজেনও বলা হয়। এটি পুরুষ আর মহিলাদু’জনার বেলাতেই প্রযোজ্য। লিবিডোশব্দের পারিভাষিক অর্থ হলো যৌন কামনা বাসনা।মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড এ লিবিডোকেমানবের মূল চালিকা শক্তি বলে এমন অভিমতওকরেছিলেন। পুরুষ দেহে না হয় শুক্রাশয় হতেক্ষরিত হয়ে সহজাতভাবে বর্তমান থাকে এটেস্টোস্টেরন। মহিলা দেহেটেস্টোস্টেরন বা এন্ড্রোজেন আসবেকোথা হতে? তাহলে মহিলাদের লিবিডোনিয়ন্ত্রিত হয় কিভাবে? গবেষকরা মহিলাদেররক্তস্রোতে সূক্ষ্ম মাত্রারএন্ড্রোজেনের উপস্থিতি দেখেছেন- এরমাত্রা পুরুষদের তুলনায় হাজার ভাগেরও কম। এতকম মাত্রার এন্ড্রোজেন কি শারীরবৃত্তীয়প্রভাব রাখতে পারে? অথচ পুরুষ আর নারীরলিবিডোর মাঝেতো বিস্তর ফারাক নেই। এতটাসূক্ষ্ম মাত্রার এন্ড্রোজেন নিয়ে মহিলারাপুরুষদের সমপর্যায়ের লিবিডোর অধিকারীহলো কিভাবে? গবেষকরা এ প্রশ্নের জবাবদেন ভিন্ন আঙ্গিকে। গবেষকদের ব্যাখ্যা মহিলাদেহে ক্ষরিত টেস্টোস্টেরন আরএন্ড্রোজেন মাত্রা কম হতে পারে, কিন্তু মহিলাদেহ এর প্রতি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল।একারণে সূক্ষ্ম মাত্রাও অনেক বেশিশারীরবৃত্তীয় প্রভাব তৈরি করে থাকে, মহিলাদেহের এড্রিনাল কটেক্স নামের হরমোনগ্রন্থি হতে এ এন্ড্রোজেন ক্ষরিত হয়।(পুরুষআর মহিলা উভয়ের বেলাতে ডান বা বাম উভয়বৃক্কের উপরিভাগে এড্রিনাল কটেক্স হরমোনগ্রন্থি বিদ্যমান।) পাশাপাশি ডিম্বাশয় নিজেও সামান্যমাত্রার টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ করে থাকে। এসাম্প্রতিক উদ্ভাবিত তথ্যের ব্যবহারিক প্রয়োগহচ্ছে রজঃনিবৃত্তি পরবর্তী হরমোনথেরাপিতে। রজঃনিবৃত্তিকালে অনেক মহিলা যৌনইচ্ছে কমে যাবার কথা বলে থাকেন।সাম্প্রতিককালে মহিলাদের রজঃনিবৃত্তিকালীনহরমোন থেরাপিতে ইস্ট্রোজেন আরপ্রজেস্টেরন পাশাপাশি পুরুষ সেক্স হরমোনটেস্টোস্টেরন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।এতে নাকি হরমোন থেরাপির উপযোগিতাঅনেক বেশি বেড়ে যেতে দেখা গেছে।পর্দার অন্তরালে পঞ্চাশের দশক হতেআলফ্রেড কিংসে মানুষের যৌনাবরণের উপর যেগবেষণা শুরু করেছিলেন, তা আমাদের সামনেপ্রতিনিয়ত নানান নতুন নতুন তথ্য উন্মোচিতকরছে। তা আমাদেরকে এমন সব তথ্যেরমুখোমুখি করছে যার অনেকগুলো আমরাকখনো কল্পনাতেই আনিনা।হোমোসেক্সুয়ালিটি বা সমকামিতা সম্পর্কেআপনার ধারণা কি? সবারই একদম বদ্ধমূল বিশ্বাসসমকামিরা পায়ুকাম চর্চা করে থাকে আর এটিইতাদের একমাত্র যৌনতা। যৌনসমীক্ষকদেরচালানো গবেষণাতে দেখা গেছে, পায়ুকামকিন্তু সমকামিদের মুখ্য বা একমাত্র যৌনতা নয়, যে

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages