Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, June 24, 2017

পুরুষের দাড়ি রাখা ওয়াজীব না সুন্নত?

পুরুষের দাড়ি রাখাওয়াজীব না সুন্নত?মানুষের ব্যক্তিত্ব বোঝা যায় তার পোশক-আশাকে।মুসলিমদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের থেকে আলাদা করতেএবং তাদের মধ্যে ঐক্য ও শৃঙ্খলা তৈরি করতে আল্লাহ তাদেরনির্দিষ্ট একটি ইউনিফর্ম দিয়েছেন। পুরুষের ইউনিফর্মহলো- ঢিলেঢালা পুরুষালী পোশাক, যা পায়ের গোড়ালিরউপর থাকবে। মুখে থাকবে প্রাকৃতিক দাড়ি, গোঁফ ছেটে রাখাহবে। কিন’ ইসলামি ইউনিফর্মের দাড়ি অংশটাকে সাধারণ মুসলিমরাতো বটেই, অনেক নিষ্ঠাবান মুসল্লি পর্যন্ত অবহেলা করেথাকে। অথচ দাড়ি কেটে একজন মানুষ অনেক ভাবে ইসলামলঙ্ঘন করে থাকে-আল্লাহরঅবাধ্যতা :আবু হোরায়রা [রা.] থেকে বর্ণিত,পারস্যের সম্রাট কিসরা ইয়েমেনের শাসকের মাধ্যমেরাসুলুল্লাহ [সা.] এর কাছে দু’জন দূত পাঠান। যাদের দাড়ি ছিল নাআর গোঁফ ছিল বড়। রাসুলের [সা.] কাছে তাদের এই অবয়বদেখে মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে নেন। জিজ্ঞেস করেন,কে তোমাদের এমন করতে বলেছে? তারা উত্তর দিল,আমাদের প্রভু কিসরা। তিনি তখন ইরশাদ করেন, আমার রব, যিনিপবিত্র ও সম্মানিত, তিনি আদেশ করেছেন যেন আমি দাড়িলম্বা রাখি এবং গোঁফ ছোট রাখি। (তাবারি, ফিক্বহুস সিরাহপৃষ্ঠা-৩৫৯ )সুতরাং দাড়ি কাটা মানে আল্লাহর নির্দেশের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ।রসুলের [সা.]আদেশ অমান্যকরণ: ইবন ওমর [রা.] বলেন,রাসুলুল্লাহ [সা.] আমাদের আদেশ করেছেন, ‘গোঁফছেটে রাখো, আর দাড়িকে দীর্ঘ হবার সুযোগ দাও ।(বুখারি ও মুসলিম)সুতরাং দাড়ি কাটলে আল্লাহর সাথে রাসুলের [সা.] আদেশওঅমান্য করা হবে। যার পরিণাম সম্পর্কে কোরআনেঘোষণা করা হয়েছে- ‘আর যে আল্লাহ ও তাররাসুলকেঅমান্য করে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন। (সুরাজ্বিন, আয়াত ২৩)সুন্নাতথেকে বিচ্যুতি: আল্লাহর প্রেরিত সব রাসুলদেরবর্ণনায় দাড়ির কথা পাওয়া যায়। কুরআনে হজরত হারুন [আ.]-এরদাড়ির বর্ণনা এসেছে। জাবির বিন সামুরাহ [রা.] বলেন, রাসুলের[সা.] দাড়ি ছিল বেশ বড়।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে মুহাব্বত করল সে যেন আমাকেই মুহাব্বতকরল। আর যেআমাকে মুহাব্বত করল সে আমার সাথে জান্নাতে বসবাস করবে।(জামে আত তিরমিযী, মেশকাত)সুতরাং দাড়ি কাটা হলে নবি-রসুলগণের স্বভাব ও তাদেররেখে যাওয়া আদর্শের পরিপন্থী কাজ করা হবে।সাহাবাদেরআদর্শের খেলাফ: সাহাবাদের দৈহিক বর্ণনার মধ্যেদাড়ির দৈর্ঘ্যের কথাও এসেছে। হজরত আবু বকরের [রা.] দাড়িঘন ছিল, হজরত ওমর, ওসমান ও হজরত আলির [রা.] -এর দাড়িদীর্ঘ ছিল। খেলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নাতকে রাসুল [সা.]আকড়ে থাকতে বলেছেন।অমুসলিমদেরঅনুকরণ :আবু হোরায়রা [রা.] বলেন, রাসুল ইরশাদকরেছেন- ‘গোঁফ ছোট কর ও দাড়ি বড় কর, অগ্নিউপাসকদের থেকে ভিন্নবেশি হও।’ অন্য হাদিসে এসছে,দাড়ি বড় রাখার মাধ্যমে ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বিপরীত করো।মুশরিকদের চেয়ে আলাদা হও।’ (মুসলিম শরিফ)নারীদেরঅনুকরণ :দাড়ি না রাখার মাধ্যমে নারীদের মতোমুখাবয়ব বানানো হয়, যাতে প্রকরান্তরে তাদের অনুকরণকরাই হয়। ইবনে আব্বাস [রা.] বলেন, রাসুল [সা.] সে সবপুরুষদের অভিশম্পাত করেছেন যারা নারীদের অনুকরণকরে । (বুখারি ও মুসলিম)ইসলামকেউপহাস: দাড়ি না রাখতে রাখতে সমাজের অবস’া এমনহয়েছে যে যদি কোনো মুসলিম দাড়ি রাখে তাহলেতাকে ভিন্নমতাদর্শী বলে কটাক্ষ করাহয়। এছাড়াওঅনেকেই আজকাল ভাবতে শুরু করেছে যে, দাড়ি রাখারআসলে তেমন প্রয়োজনই নেই। এটা ইসলামের একটিআবশ্যকীয় বিষয়কে উপহাস করার সুযোগ তৈরি করে দেয় ।দাঁড়ির বিধানটি শরীয়তের একটি মৌলিক বিধান।একে নিছক আরবীয় রীতি বা বিশেষ স্থান–কালের মধ্যে সীমাবদ্ধমনে করা মারাত্মক ভ্রান্তি।এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফের বাণী সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন।ইসলামী শরীয়তে দাঁড়ি রাখা ওয়াজিব।তা মুন্ডিয়ে ফেলা

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages