Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Friday, June 23, 2017

নারী বা পুরুষের মধ্যে কে বেশি সেক্সি

নব মন ক্রমশ এর দিকেঝুঁকতে থাকে। ক্রমে ক্রমে অবস্থা এমনদাঁড়ায় প্রায় সব পণ্যরাই এ মহাগুণেরঅধিকারী হতে দেখা দেয়। এমন ঘটনাঘটেছিল পাশ্চাত্যের মার্কিনবাজারে। ব্যাপারটা এতটা ব্যাপক রূপনেয় যে, শেষ পর্যন্ত মার্কিন খাদ্য আরওষুধের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানএফ ডি এ (ফুড এন্ড ড্রাগএডমিনিস্ট্রেশান) কে এতে হস্তক্ষেপকরতে হয়। ১৯৯০ সালের ৬ জানুয়ারি এপ্রতিষ্ঠান ঘোষণা দেয় যে কোনোধরনের পণ্য তা ওষুধ বা খাবার যেমনটিইহোক তাতে ‘যৌনতা উদ্দীপক’ বা‘যৌনক্ষমতা বৃদ্ধিকারক’ এ জাতীয়কোনো মন্তব্য যেনো লেখা না থাকে।কর্তৃপক্ষের ভাষ্য হলো যৌনক্ষমতাসত্যিকারভাবে বাড়াতে পারে এজাতীয় কোনো ওষুধ লোশন বা উপাদানএখনো তৈরি হয়নি।অবশেষে সমাধান!সিফিলিস! এক নামেই সবার কাছেপরিচিত। যৌনবাহিত রোগ বিধেয়এটিকে ঘিরে সবারই কমবেশি কৌতূহল।এ রোগের ইতিহাস বেশ পুরনো।ইউরোপীয়ানরা পঞ্চদশ শতাব্দী হতেএর সাথে পরিচিত হয়ে আসছে।যৌনসঙ্গম দ্বারা যে এ রোগ ছড়ায় এটিতাদের ধারণা ছিল কিন্তু এটি যে একধরনের জীবাণু ঘটিত সেটি এখনওআবিষ্কৃত হয়নি। সে সময়েসিফিলিসকে ঘিরে ইউরোপীয়াননানান দেশের মাঝে একটাসাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এ রোগটিরজন্য তারা একেক জন একেক জনকেদোষারোপ করতে থাকে, কেউ এরদায়িত্ব নিতে চায় না।মজার ব্যাপার হলো- সিফিলিসনামকরণের আগে রোগটিকে ইউরোপেরএকেক দেশে একেক নামে ডাকা হত।ফরাসীরা এ রোগটির নাম দিয়েছিলনেপলস রোগ। সে সময়ে ইতালীরসবচেয়ে সমৃদ্ধ শহরটির নাম ছিলনেপলস। ইতালীয়রা বলতেন ফ্রান্সডিজিস নামে। ইতালী আর ফ্রান্সের এপারসপরিক কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মতঅবস্থা ছিল স্পেন আর ইংল্যান্ডেরমধ্যে। ইংল্যান্ডবাসী এর দোষস্পেনিশদের উপর চাপাতেন।স্পেনিশরাও স্বভাবতই ইংল্যান্ডেরউপর এ অপবাদ দিতেন সুতরাং নামদেয়ার বেলাতে ইংল্যান্ডবাসীরাবলতেন স্পেনিশ রোগ আর স্পেনীয়রাবলতেন ‘ইংলিশ রোগ’ পরসপরের দিকেকাদা ছোঁড়াছুঁড়ি কতটা মারাত্মকআকার নিয়েছিল এটি তার একটানমুনা।এ জাতিগত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি অবশ্যবেশি দিন ছিল না। এক ইতালীয় কবি এদ্বন্দ্বের অবসান ঘটান। অবশ্য তিনিনিজে মাথা পেতে নেননি বা আরকারোর উপর চাপাননি। তিনি ১৫৩০সালে মেষ পালককে নিয়ে একটাকবিতা রচনা করেন। ঐ মেষপালকেরনাম ছিল সিকাইলাম। কবিতার ঘটনাছিল- দেবতা এপেলোকে অপমান করারকারণে দেবতা এ রাখাল মেষপালককেএ রোগের অভিশাপ দেয়। রাখালসিকাইলাম এ ধীকৃত রোগে আক্রান্তহয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়েযান। তখন থেকে এ রোগের নাম হয়সিফিলিস। যাক, অবশেষে সবারইরক্ষে!অবিশ্বাস্য সূত্রআমরা এতদিন শুনে এসেছি আমাদেরমনের যে যৌন শিহরণ বোধ তার মূল উৎসহল সেক্স হরমোন। পুরুষদের বেলাতেটেস্টোস্টেরন আর মহিলাদের বেলাতেএস্টোজেন প্রজেস্টেরন। পুরুষ আরমহিলাদের বেলাতে যথাক্রমে শুক্রাশয়আর ডিম্বাশয় এ সেক্স হরমোনেরক্ষরণের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এসেক্স হরমোনের প্রভাবেবয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরদেহে সেকেন্ডারি সেক্স বৈশিষ্ট্যেরবিকাশ ঘটে। যৌবনের বন্যা বয়ে যায়।এটি একদম স্বতঃসিদ্ধ।সাম্প্রতিক গবেষকরা এর পাশাপাশিএক অভিনব নতুন তথ্য দিচ্ছেন। আমাদেরমনের যৌনতাড়না বোধ বা লিবিডোএর মূল নিয়ামক হলো এ টেস্টোস্টেরনবা টেস্টোস্টেরনজাত ক্ষরণগুলো।শেষোক্তগুলোকে এন্ডোজেনও বলা হয়।এটি পুরুষ আর মহিলা দু’জনার বেলাতেইপ্রযোজ্য। লিবিডো শব্দেরপারিভাষিক অর্থ হলো যৌন কামনাবাসনা। মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েড এলিবিডোকে মানবের মূল চালিকাশক্তি বলে এমন অভিমতও করেছিলেন।পুরুষ দেহে না হয় শুক্রাশয় হতে ক্ষরিতহয়ে সহজাতভাবে বর্তমান থাকে এটেস্টোস্টেরন। মহিলা দেহেটেস্টোস্টেরন বা এন্ড্রোজেন আসবেকোথা হতে? তাহলে মহিলাদেরলিবিডো নিয়ন্ত্রিত হয় কিভাবে?গবেষকরা মহিলাদের রক্তস্রোতেসূক্ষ্ম মাত্রার এন্ড্রোজেনেরউপস্থিতি দেখেছেন- এর মাত্রাপুরুষদের তুলনায় হাজার ভাগেরও কম।এত কম মাত্রার এন্ড্রোজেন কিশারীরবৃত্তীয় প্রভাব রাখতে পারে?অথচ পুরুষ আর নারীর লিবিডোরমাঝেতো বিস্তর ফারাক নেই। এতটাসূক্ষ্ম মাত্রার এন্ড্রোজেন নিয়েমহিলারা পুরুষদের সমপর্যায়েরলিবিডোর অধিকারী হলো কিভাবে?গবেষকরা এ প্রশ্নের জবাব দেন ভিন্নআঙ্গিকে। গবেষকদের ব্যাখ্যা মহিলাদেহে ক্ষরিত টেস্টোস্টেরন আরএন্ড্রোজেন মাত্রা কম হতে পারে,কিন্তু মহিলা দেহ এর প্রতিঅতিমাত্রায় সংবেদনশীল। একারণেসূক্ষ্ম মাত্রাও অনেক বেশিশারীরবৃত্তীয় প্রভাব তৈরি করেথাকে, মহিলা দেহের এড্রিনালকটেক্স নামের হরমোন গ্রন্থি হতে এএন্ড্রোজেন ক্ষরিত হয়। (পুরুষ আরমহিলা উভয়ের বেলাতে ডান বা বামউভয় বৃক্কের উপরিভাগে এড্রিনালকটেক্স হরমোন গ্রন্থি বিদ্যমান।)পাশাপাশি ডিম্বাশয় নিজেও সামান্যমাত্রার টেস্টোস্টেরন ক্ষরণ করেথাকে।এ সাম্প্রতিক উদ্ভাবিত তথ্যেরব্যবহারিক প্রয়োগ হচ্ছে রজঃনিবৃত্তিপরবর্তী হরমোন থেরাপিতে।রজঃনিবৃত্তিকালে অনেক মহিলা যৌনইচ্ছে কমে যাবার কথা বলে থাকেন।সাম্প্রতিককালে মহিলাদেররজঃনিবৃত্তিকালীন হরমোনথেরাপিতে ইস্ট্রোজেন আরপ্রজেস্টেরন পাশাপাশি পুরুষ সেক্সহরমোন টেস্টোস্টেরন নেয়ার পরামর্শদেয়া হচ্ছে। এতে নাকি হরমোনথেরাপির উপযোগিতা অনেক বেশিবেড়ে যেতে দেখা গেছে।পর্দার অন্তরালেপঞ্চাশের দশক হতে আলফ্রেড কিংসেমানুষের যৌনাবরণের উপর যে গবেষণাশুরু করেছিলেন, তা আমাদের সামনেপ্রতিনিয়ত নানান নতুন নতুন তথ্যউন্মোচিত করছে। তা আমাদেরকে এমনসব তথ্যের মুখোমুখি করছে যারঅনেকগুলো আমরা কখনো কল্পনাতেইআনিনা। হোমোসেক্সুয়ালিটি বাসমকামিতা সম্পর্কে আপনার ধারণাকি? সবারই একদম বদ্ধমূল বিশ্বাসসমকামিরা পায়ুকাম চর্চা করে থাকেআর এটিই তাদের একমাত্র যৌনতা।যৌনসমীক্ষকদের চালানো গবেষণাতেদেখা গেছে, পায়ুকাম কিন্তুসমকামিদের মুখ্য বা একমাত্র যৌনতানয়, যে যৌনতা তাদের মাঝে সবচেয়েবেশি দেখা যায় তা হল মাস্টারবেশনপক্রিয়াতে পরস্পরকে উত্তেজিত করেতোলা। এটিকে যৌন বিজ্ঞানেরপরিভাষাতে ‘মিউচুয়াল মাস্টারবেশন’বলা হয়। সমীক্ষণে আরেকটি লক্ষণীয়দিক হলো পায়ুকাম চর্চা কেবলমাত্রসমকামীদের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়,সাধারণ দম্পতিদের অনেকেই এটিরকমবেশি চর্চা করে থাকেন। অন্ততগবেষণাতে এটি দেখা গেছে।সমকামীদের যে পারস্পরিক স্বমেহনবা মিউচুয়াল মাস্টারবেশনে- এটিতোপুরুষ আর নারী সমকামী দু’জনারবেলাতে সমভাবেই চর্চা করতে দেখাযায়। নারী সমকামিদের বেলায়তোপায়ুকামের কোনো অবকাশ নেই,সুতরাং ওদের নিয়ে আমাদেরধারণাটি নিয়ে পুনর্বার বিবেচনা করাউচিত।সাধারণদের মাঝে যারা এ পায়ুকামচর্চা করে থাকেন তারা কারা? তাদেরসংখ্যাই বা কেমন? আমেরিকার বহুলপ্রচারিত নারী পত্রিকা বেডবুকম্যাগাজিন পরিচালিত গবেষণাতে একলক্ষ মহিলার সমীক্ষণ নেয়া হয়। এতেঅংশ নেয়া মহিলাদের তেতাল্লিশশতাংশ স্বীকার করেছে তারাদাম্পত্য যৌনতায় অন্তত একবার এটিরচর্চা করেছেন। যারা এটির চর্চাকরেছেন তাদের চল্লিশ শতাংশেরঅভিমত- এ পায়ুকাম যৌনতা বেশউপভোগ্য, অন্তত ভিন্ন স্বাদের। পঞ্চাশশতাংশের ভাষ্য-তারা এর মাঝেকোনো বিশেষ স্বাদ পাননি। দশ

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages