Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Saturday, June 24, 2017

রোজাদার ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না

মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল, দয়ালু। তাঁর কাছে মন থেকে তওবা করে ক্ষমা চাইলে তিনি নিশ্চয় তা মাফ করে দেন। তাই বছরের শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজানে মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুঠি অর্জনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত বন্দিগীর মধ্যে দিয়ে কাটায়।আল্লাহ বলেছেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমিতোমাদের ডাকে সাড়া দেব। অন্যত্র বলেছেন, যখন কোনো বান্দা আমার কাছে দোয়া করে, আমি তার দোয়া কবুল করি।রসুল (সা.) বলেন, আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়ার চেয়ে মূল্যবান বস্তু কিছুই নেই (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)।রমজান দোয়া কবুলেরও মাস। রসুল (সা.)বলেন, ইফতারের সময়ে রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না (ইবনে মাজাহ)।অন্যত্র বলেছেন, দোয়া সব ইবাদতের মূল (তিরিমিজি)। তবে দোয়া কবুলের পূর্ব শর্ত হলো বৈধ উপার্জন ও খাদ্য। রসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আকাশের দিকে দুহাত তুলে ‘হে আল্লাহ, হে আল্লাহ’ বলে দোয়া করে অথচ তার খাবার, পানীয়, পোশাক অবৈধ এবং তার রক্ত-মাংস সৃষ্টি হারাম উপার্জনে, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে (মুসলিম)?পূর্ণ মনোযোগ ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মুনাজাতের আহ্বান জানিয়েছেন নবীজী (সা.)। ঘোষণা করেছেন, উদাসীন ও অমনোযোগীদের দোয়াকবুল করা হয় না এবং রোজাদার ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ কখনো ফিরিয়ে দেন না। (তিরমিজী)বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানি (রহ.) রচনাবলিতে উল্লেখ রয়েছে, হে মহান অতিথি রোজা, তোমাকে সালাম। তুমি তারাবিহ, তাহাজ্জুদ ও কোরআন তেলাওয়াতের মাস, তুমি পাপমুক্তি ও কল্যাণ অর্জনের মাস। তুমি দোয়া কবুলের মাস।তোমাকে সালাম, শুভেচ্ছা। তুমি দোয়ামুনাজাতের উপযুক্ত সময়। রোজা, তুমিএমন নও যে, তোমাকে বিদায় দেওয়া যায়।কিন্তু তুমি আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছো, এই বিরহ-বেদনায় আমরা কাতর। আগামী বছর তোমার অপেক্ষায়….

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages