লাইফস্টাইলঃকোরবানীর ঈদ হবে আর কেউ মাংস না খেয়ে থাকবে তা হতে পারেনা। অসুস্থ রোগিরাও কোরবানীর মাংস সামান্য পরিমাণে হলেও খেয়ে থাকেন। মাংস হচ্ছে প্রোটিনের চমৎকার উৎস। প্রোটিন ছাড়াও এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান ও থাকে যা শরীরেরবৃদ্ধি ও কাজেরজন্য প্রয়োজনীয়। গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মাংসকেই লাল মাংস বলা হয়। আয়রনের ও চমৎকার উৎস এই লাল মাংস যা অ্যানেমিয়া দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে এক বা দুই দিন লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মধ্যেই পড়ে বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও নারীদের জন্য। কিন্তু আমরা প্রায়ই শুনি লাল মাংস খাওয়ার পরিমাণ পরিমিত করার পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু কেন এবংকতটুকু খাওয়া আমাদের জন্য নিরাপদ তা জেনেনিই চলুন।দ্যা ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার রিসার্চ ফান্ড (WCRF) এর মতে প্রতি সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম (রান্নার পরের ওজন)এর বেশি মাংস খাওয়া উচিৎ নয় এবং প্রসেসড মিট সম্পূর্ণ রুপেই এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথও সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম বা দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মাংস গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। এই পরিমাণটি লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য।সম্প্রতি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রতিবেদনেজানানো হয় যে, প্রক্রিয়াজাত মাংস মানুষেরজন্য অ্যালকোহল ও সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর। রিপোর্টে বলা হয়, দৈনিক ৫০ গ্রাম প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে পেটের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১৮% বৃদ্ধি পায়। তাই মাংস খাওয়ার সময় মনে রাখতে হবে সংযম ও ভারসাম্যের কথা।বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও যেমন – নিউট্রিশন অস্ট্রেলিয়া পরামর্শ দেয় সপ্তাহে ৪৫৫ গ্রামের বেশি লাল মাংস খাওয়া উচিৎ নয়। তারা আরো বলেন যে, মাঝে মাঝে প্রক্রিয়াজাত মাংস খেতে পারেন।২০১০ সালে আমেরিকাতে ডায়াটারি নিউট্রিশন গাইডলাইনে বলা হয়, বেশি পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কলোরেক্টাল ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় প্রক্রিয়াজাত মাংস যাতে উচ্চ মাত্রার সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে।বিভিন্ন দেশে মাংস খাওয়ার পরিমাণের বিভিন্নতা দেখা গেলেও পরিমিত পরিমাণে মাংস খেতে হবে।মাংস খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায় হচ্ছেঃ১. রান্না করার পূর্বে ম্যারিনেট করে নিলে চর্বি কমেএবং মাংস নরম হয়। লেবুর রস বা ভিনেগার ম্যারিনেড হিসেবে চমৎকার কাজ করে।২. হরমোন মুক্ত ও ঘাস খাওয়া গরুর মাংস সংগ্রহ করুন।৩. মাংস ফ্রাই করলে অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত হয়। তাই গ্রিলবা রোস্ট বা বেকিং বা ব্রয়লিং হচ্ছে স্বাস্থ্যকর মাংস রান্নার পদ্ধতি।৪. মাংস ছাড়া একটি দিন পার করুন। বাদাম, বীজ, শস্য এবং সবজি খান।৫. কোরবানীর মাংস রান্না করার সময় বেশিতেল দিয়ে ভুনানা করে অল্প তেলে রান্না করুন। মাংস কাটার সময় দৃশ্যমান চর্বি আলাদা করে ফেলে দিন।উপরোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করলে মাংস খেয়েও সুস্থ থাকতে পারবেন।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Thursday, June 8, 2017
ঈদে বা অন্য যেকোন সময়কতটুকু মাংস খাওয়া নিরাপদ
Tags
খাদ্য ও স্বাস্থ্য#
Share This
About Raihanul Haque
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
Labels:
খাদ্য ও স্বাস্থ্য
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----