Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Thursday, May 25, 2017

পবিত্র মাহে রমযানকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন কেন? তার তাৎপর্য কী

পবিত্র রমযান মাসকে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে রহিয়াছে রহমত বা দয়া, মধ্যের অংশে মাগফেরাত বা ক্ষমা,আর শেষ অংশে নাজাত বা পরকালের আযাব থেকে মুক্তি। এই ভাবে ভাগ করা হয়েছে কেন রমযান মাসকে, এর তাৎপর্য কী, এই প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের মনে জাগে।.এই প্রশ্নের জবাবঃ-প্রথমঃ- একথা বলা যায়, বান্দরা যখন আল্লাহর কোনও নে’ মতের যথাযথ ব্যবহার এবং উহার শোকরিয়া আদায় করে, তখন তিনি তাহাদের জন্য সেই নে’মত আরো বাড়াইয়া দেন কিংবা উহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট কোন নে’মত দান করেন। রমযান মাসের ক্ষেত্রেও এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয় নাই। এই মাসের প্রথম অংশকে আল্লাহ তা’আলা রহমত স্বরুপ করিয়াছেন।আমরা যদি এই অংশের যথাযোগ্য মর্যাদা দেই অর্থাৎ আল্লাহর এই রহমতটিকে পুরাপুরিভাবে কাজে লাগাই, তাহা হইলে তিনি আমাদিগকে ইহা অপেক্ষা উচুস্তরের নে’মত অর্থাৎ মাগফেরাত দান করিবেন। যদি আমরা এই নে’মতটির ও উপযুক্ত কদর করি, তাহা হইলে তিনি আমাদিগকে সবচেয়ে বড় নে’মত দান করিবেন এবং সেই নে’মত হইলো নাজাত। বস্তুতঃ পরকালের শাস্তি হইতে মুক্তি পাওয়ার চেয়ে বড় নিয়ামত আর কি হতে পারে।.দ্বিতীয়ঃ একটু গভীর ভাবে চিন্তা করিলেবুঝা যায়, রমযান মাসের বরকত যাহারা হাসিল করিবে, তাঁহারাও তিন শ্রেণীতে বিভক্ত।১) একবারে নিষ্পাপ এবং খাঁটি আল্লাহ ওয়ালা, তাঁহারা হইলেন প্রথম শ্রেণীর লোক। তাদের সঙ্গেত রমযানের প্রথম দিন হইতে অহরহ আশেক-মাশুকের খেলা চলিতে থাকে।২) যাহারা সামান্য পাপ করিয়াছে, একেবারে বে-গুনা থাকিতে পারেনাই, তাহারা হইল দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক। তাহারা যদি রমযানের প্রথম অংশে রোযা, তারাবীহ, সেহেরী, ইফতার, যিকির- আযকার, কোরআন তেলাওয়াত, চাকর-বাকরদের প্রতি দয়া প্রদর্শন, ছবর ও হামদরদী ইত্যাদি নেক কাজের উসিলায় আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চায়, তাহা হইলে এই অংশে তাহারা আল্লাহর রহমত লাভ করিয়া, দ্বিতীয় অংশে মাগফেরাত বা ক্ষমার যোগ্য হইয়া উঠিবে।আর যাহাদের পাপের মাত্র এতই চরমে উঠিয়াছে যে, মুক্তির আশা করা যায় না, তাহারা হইল তৃতীয় শ্রেণীর লোক।আল্লাহ ত’আলা বলেনلا تقنطوا من رحمه اللهতোমরা আল্লাহর রহমত হইছে নিরাশ হইও না।.৩) এই শ্রেণীর লোকেরাও যদি রমযানের প্রথম এবং দ্বিতীয় অংশে খাঁটি অন্তরে তওবা করিয়া রোযা ও অন্যান্য ইবাদতের উসিলা দিয়ে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রর্থনা করে, তাহা হইলে তিনি তাহাদিগকে ক্ষমা করিয়া দিবেন। ফলে, তাহারা আযাব হইতে নাজাত লাভ করিবে। এই ভাবে সকল শ্রেণীর লোকই পবিত্র রমযান মাসের বরকত লাভ করিয়া ধন্য হইবে।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages