Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, May 28, 2017

যে তিনটি শর্ত না মানলে রোজাহবে না

রোজার রয়েছে তিনটি ফরজ। যা প্রত্যেকটি রোজা সহীহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য অপরিহার্য শর্ত। সে ফরজ তিনটি হলো যথাক্রমে- ১. বিরত থাকা ২. নিয়ত করা ৩. নির্দিষ্ট সময়ে রোজা রাখা। এই তিনটি বিষয়ে শৈথিল্য মানেই নিজের রোজাকে নিরর্থক করে দেওয়া।বিরত থাকা মানে পানাহার, জৈবিক চাহিদা মেটানো ও অন্যান্য রোজা ভঙ্গকারী বিষয়াদি থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আর নিয়ত করার অর্থ হলো আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে রোজা রাখার আন্তরিক সংকল্প পোষণ করা।নবী করিম (স.) বলেন, যাবতীয় কার্যাবলী নিয়তের দ্বারাই মূল্যায়ন করা হয়। (বুখারী ও মুসলিম)।যদি ফরজ রোজা হয় তাহলে রাতে ফজরের পূর্বে নিয়তকরতে হবে। এ ব্যাপারে রাসূল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি রাত থেকে রোজার নিয়ত না করবে তার রোজাহবে না। (আবু দাউদ, তিরমিজী ও অন্যান্য)।আর যদি রোজা নফল হয় তাহলে ভোর হওয়ার পর এমনকি সূর্য উপরে উঠার পরও নিয়ত করলে চলবে, যদি সে পর্যন্ত কিছু না খেয়ে থাকে।উম্মুল মুমেনীন হযরত আয়েশা (রা) বলেন, একবার সকালে রাসূল (স.) এসে বললেন, তোমাদের মাঝে খাওয়ার কিছু আছে? আমরা বললাম ‘না’। তিনি বললেন, তাহলে আমি রোজা রাখলাম।’ (মুসলিম)অবশ্য ফিকাহবিদরা যে সব ব্যক্তি রমজানে সাহরীর পর নিয়ত করতে ভুলে যান তাদের জন্য সকালবেলায়ও নিয়ত করার সুযোগ রেখেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, শেষ রাতে ওঠা, সাহরী খাওয়াও এক ধরনের রোজার নিয়ত ও সংকল্প।এবার সময় প্রসঙ্গ। নির্দিষ্ট সময় বলতে রমজান মাসের দিন ভোর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। আল্লাহবলেন, তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ না অন্ধকার থেকে সাদা আলোকচ্ছটা দেখা যায়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোজা পূর্ণ কর।’ (সূরা বাকারা- ১৮৭)। বরকতের জন্য রোজার সূচনা সময়ে রয়েছে সাহরী এবং সমাপণীতে রয়েছে ইফতার গ্রহণের নিয়ম ও আনুষ্ঠানিকতা।রোজার সঙ্গে সময় ও চাঁদের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। রাসূল (স.) বলেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখা শুরু কর এবং চাঁদ দেখেই ঈদ-উল-ফিতরের প্রস্তুতি নাও। আর যদি চাঁদ না দেখ, তাহলে ৩০ দিন পূর্ণ কর।’ (তিরমিযী)।একই সঙ্গে হাদীস শরীফে আঞ্চলিক পর্যায়ে চাঁদ দেখার উপর অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages