Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Thursday, May 25, 2017

নিউ জিল্যান্ডককে ৫ উইকেটে হারিয়ে র্র্যাংকিংয়ে ৬ উঠে গেলাম অামরা।

সামানেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তারআগে সাবলীল ও আত্মবিশ্বাসী এক জয়তুলে নিয়েছে টাইগাররা। বুধবারডাবলিনে ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষম্যাচে শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে৫ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছেমাশরাফিরা। দেশের বাইরে এটাকিউইদের বিপক্ষে টাইগারদের প্রথমজয়। এর আগে কিউইদের যে আটবারহারিয়েছে বাংলাদেশ তার সবকটিইছিল দেশের মাটিতে।দেশের বাইরে নিউজিল্যান্ড বাদেঅন্য সব দলের বিপক্ষেই জয় আছেবাংলাদেশের। এবারনিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেশেরবাইরে জয়ের বৃত্ত পূরণ করলোমাশরাফি বাহিনী।প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে২৭০ রান তুলে নিউজিল্যান্ড। জবাবেতামিম, সাব্বির, মুশফিক ওমাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দারুণব্যাটিংয়ে ১০ বল বাকি থাকতে দারুণজয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।২৭১ রান ছোটখাটো টার্গেট নয়। শুরুতেকোনো রান না করে যখন সৌম্য ফিরেগেলেন তখন টার্গেটটা আরো বড় মনেহয়েছিল।তবে শুরুর এ ধাক্কা বেশ ভালোমতোসামলান তামিম ইকবাল ও সাব্বিররহমান্। ১৬৩ রানের মুল্যবান জুটি গড়ারপর ৮০ বলে ৬৫ রানে আউট হন তামিম।তার আগে ৫৪ বলে ক্যারিয়ারের ৩৬তমহাফ সেঞ্চুরিটা তুলে নেন তামিমইকবাল। ত্রিদেশীয় সিরিজে এটাতার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি।তামিম আউট হবার পরপরইমোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সাব্বির। তিনিওকরেন ৬৫ রান, ৮৩ বলে। ওয়ানডেতেএটা সাব্বিরের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি।এর অল্প পরেই ব্যক্তিগত ১০ রান করেফিরেন তরুণ মোসাদ্দেক। ফলে কিছুটাচাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।উইকেটে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানমুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান।এ জুটির উপরই নির্ভর করছিল সব কিছু।দায়িত্ব বেশ ভালোই পালন করারইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা। কিন্তুসাকিব যেতে পারেননি বেশিদুর।ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি আউট হন১৯ রানে।তবে এদিন শুরু থেকেই দারুণআত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে থাকেনমুশফিকুর রহিম। মুশফিক উইকেটে, তাইভরসাও পাচ্ছিলো দল। আরেক অভিজ্ঞব্যাটসম্যান মাহমুদ উল্লাহ রিযাদওছিলেন পুরোপুরি সাবলীল।এ জুটির অসাধারণ ব্যাটিংয়েদিশেহারা হয়ে পড়েন কিউইবোলাররা। আস্তে আন্তে ম্যাচ থেকেছিটকে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ১০ বলবাকি থাকতেই দলকে দারুণ এক জয়েপৌঁছে দেন তারা। ৪৫ বলে ৪৫ করেঅপরাজিত থাকেন মুশফিক। অন্য দিকে৩৬ বলে ৪৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেঅপরাজিত থাকেন রিয়াদ।এদিন টসে জিতে কিউদের ব্যাট করতেপাঠান মাশরাফি। সকালের সীমকন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দ্রুত উইকেটতুলে নেওয়াই ছিল অধিনায়কেরপরিকল্পনা।শুরুতে মোস্তাফিজ (রনচি ২) ব্রেক থ্রুএনে দিলেও অনেকগুলো ক্যাচ মিসেরমাশুল দিতে হয়েছে টাইগারদের। তিনতিন বার জীবন পান নাথাম।প্রথমওভারেই বিদায় হয়ে যেতে পারত টমল্যাথামের। কিন্তু মাশরাফি বিনমুর্তজার বলে ওঠা সহজ ক্যাচ ছেড়েদেন নাসির হোসেন। যার মাশুল গুণতেহয় । ধেই ধেই রান তুলতে থাকেনিউজিল্যান্ড।১৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ফের ক্যাচতুলে দেন ল্যাথাম। এবারও মিস।অল্পের জন্য ক্যাচটি তালুবন্দি করতেপারেননি মোসাদ্দেক হোসেন। ২৬তমওভারের শেষ বলেই উইকেট পেতেপারতেন ক্যাচ ড্রপ করা নাসির। কিন্তুলং এক্সট্রা কাভারে ওঠা নাথামেরক্যাচটি ড্রপ করেন সৌম্য। অবশ্য পরেরওভারেই উইকেটের স্বাদ পান ৭ মাসপর দলে ফেরা অলরাউন্ডার নাসির।দারুণ খেলতে থাকা নেইল ব্রুমকেতিনি ফেরান ৬৩ রানে। ব্রুম-নাথামজুটি মহা চিন্তার কারণ হয়েদাড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের জন্য।তিন বার জীবন পাওয়া নাথামএগুচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তুনিজের পরের ওভারেই নাথামকেবোল্ড করেন নাসির। গুরুত্বপূর্ণ সময়েজোড়া আঘাতে একাদশে ফেরারযথার্থতা প্রমাণ করেন তিনি।আউট হবার আগে অবশ্য কাজের কাজটিকরে যান নাথান। ৮১ বলে খেলেন ৮৪রানের মূল্যবান ইনিংস। ব্রুম-নাথানের পর চিন্তার কারণ হয়েদাঁড়ান টেলর- অ্যান্ডরসন জুটি। দ্রুতরান তুলছিলেন এ জুটিও। ২৪ রানেঅ্যান্ডরসন ও সান্টনারকে শূন্যতেফিরিয়ে রান তোলার গতি কিছুটাহলেও মন্থর করেন সাকিব।এরপর মাশরাফি ঝলক। অসাধারণবোলিং করে পরপর দুই উইকেট নিয়েস্বস্তি এনে এ বাংলাদেশ অধিনায়ক।প্রথমে তিনি ফেরান নিশামকে,৬রানে। মাশরাফির পরের শিকারকলিন মোনরো। মাশরাফি তোপেমাত্র ১ রান করতে পেরেছেন মোনরো।শেষ পর্যন্ত ২৭০ রানে থামেনিউজিল্যান্ডের ইনিংস।বাংলাদেশের পক্ষে মাশরাফি,সাকিব, নাসির দুটি করে উইকেট নেন।মোস্তাফিজ ও রুবেল পান একটি করেউইকেট।সংক্ষিপ্ত স্কোরনিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭০/৮( নাথান ৮৪, রনচি ২, ব্রুম ৬৩,অ্যান্ডারসন ২৪, টেলর ৬০, নিশাম ৬,সান্টনার ০, মনেরো ১ ; মাশরাফি২/৫২ , মোস্তাফিজ ১/৪৬, সাকিব ২/৪১ ,নাসির ২/৪৭, রুবেল ১/৫৬)বাংলাদেশ ওভারে ৪৮.২ ওভারে২৭১ /৫ ( তামিম ৬৫, সৌম্য ০, সাব্বির৬৫, মোসাদ্দেক ১০, মুশফিক ৪৫*, সাকিব১৯, মাহমুদ উল্লাহ ৪৬* ; প্যাটেল ২/৫৫ )

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages