Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Monday, April 9, 2018

সহবাস বা যৌন মিলনে অর্গ্যাজাম (Orgasm) যেভাবে ঘটে

অর্গ্যাজাম হলো দাম্পত্যসুখের স্বর্গীয় আনন্দময় এক অনুভুতি । একে আবার রাগমোচনও বলা হয় তবে খাটি বাংলায় বলতে গেলে একে 'প্রচণ্ড উত্তেজনার মাধ্যমে যৌন পরিতৃপ্তি' নামেও অবহিত করা যায় । সহবাসকালীন অর্গ্যাজাম হল একটি স্বতঃস্ফূর্ত এবং স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। ঐ সময় শ্রোণী অঞ্চলের মাংসপেশির ছন্দোময় সংকোচনের মাধ্যমে দেহে চরম যৌনসুখ অনুভূত হয়। নারী এবং পুরুষ উভয়েরই অর্গ্যাজাম ঘটে থাকে যৌন মিলনের সময়। অর্গ্যাজাম সম্পূর্ণ ভাবে স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।অর্গ্যাজামের সময় শরীরেবিবিধ ক্রিয়া ঘটে যেমন - আনন্দ-চঞ্চল সংবেদন, শরীরের কোন কোন অংশের বিদ্যুতের মতো অনুভব এবং মুখে নানান ধরনের শব্দের উৎপত্তি। অরগ্যাজামের পরবর্তি সময়টি একটি অবসাদময় নিস্তেজ পরিস্থিতি হয়। যার মূল কারন হল অক্সিটোসিন, প্রোল্যাক্টীন এবং এন্ডোরফিন্স নামক নিউরোহরমোনের নিঃসরণ। রাগমোচন বা অরগ্যাজাম যেকোন ধরনের শারীরিক যৌন উদ্দীপনার মাধ্যমে হতে পারে, যেমন পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ (এক্ষত্রে বীর্যপাতের ঘটে থাকে) এবং নারীর ক্ষেত্রে ভগাঙ্কুরের উদ্দীপনার মাধ্যমে। এই যৌন উত্তেজনা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে নিজে নিজে করা যেতে পারে বা কোন সঙ্গীর সাহায্য অন্য যেকোন যৌন ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে হতে পারে।অর্গ্যাজাম কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এতে আনন্দের সাথে মিশে থাকে দেহ ও মনেরএক ধরণের নিরুদ্বেগ শৈথিল্য। পুরুষের ক্ষেত্রে বীর্যস্খলনের সময়ই অর্গ্যাজাম লাভ হয়, এর পাশাপাশি পেশীর ক্রিয়ার কারণে তার লিঙ্গ কয়েকবার কেঁপে ওঠে এবং অণ্ডকোষ শক্ত হয়ে একটু উপরে উঠে আসে। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রেই অর্গ্যাজামের পরেই পুনর্বার মৈথুন করা সম্ভব না, কেননা বীর্যপাতের সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গের উত্থান রহিত হয়ে যায়।লিঙ্গের পুনরুত্থান বা পুনরায় সঙ্গমের জন্য কিছুটা সময় লাগে। নারীদের ক্ষেত্রে ইউটেরিন ও যোনির দেয়ালের পেশীগুলোর মুহুর্মুহু সংকোচনের মাধ্যমে অর্গ্যাজাম ঘটে।এটা ক্ষেত্রবিশেষে একসাথে কয়েকবার হতে পারে আবার সামান্য সময়ের ব্যবধানে হতে পারে। অনেক নারীদের ক্ষেত্রে পুরো দেহব্যাপীঅনেকক্ষণের জন্য অর্গ্যাজাম ঘটতে পারে। পুরুষের চেয়ে নারীর অর্গ্যাজাম অনেক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages