Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, April 8, 2018

ওজন কমাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩টি টিপস

বিশ্বের প্রতিটি সংস্কৃতিরই নিজেদের লোকদেরকে স্লিম রাখারজন্য অনন্য পদ্ধতি রয়েছে। এমনকি এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনিও ওজন কমাতে পারেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমানোর বৈশ্বিক পদ্ধতিগুলো।১. চীন : পু এহ চাপু এহ চা এক ধরনের গেঁজানো চা, যা চীনের একটি প্রদেশে উৎপাদিত হয়। এটি এমন এক তরল ঔষধ যা ওজন কমানো এবং বাওয়েল মুভমেন্ট বা পেট পরিষ্কারে বেশ কার্যকর। চীনের মানুষরা প্রতিবেলা খাবারের এক ঘণ্টা পরই এই চা পান করেন।২. থাইল্যান্ড : ঝাল মরিচথাইল্যান্ডের মানুষদের স্লিম হওয়ার রহস্য লুকিয়ে রয়েছে ঝাল মরিচে। এই মরিচের দুটি উপকারিতা আছে। এটি আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে এবং খাওয়ার গতি কমিয়ে আনবে। এই দুটি বিষয়ই ওজন কমাতে সহায়ক।৩. ব্রাজিল : ভাত এবং বিনসব্রাজিলিয়রা প্রায় সবকিছুর সাথেই ভাত এবং বিনস খায়। এই দুটি খাবারই ওজন কমানোর ঝুঁকি ১৪% কমায়। এগুলোতে আছে প্রচুর আঁশ। আর এ দুটি খাবার আপনার রক্তের সুগারের মাত্রাওনিয়ন্ত্রণে রাখবে।৪. ইন্দোনেশিয়া : উপোস করাদেশটির বেশিরভাগ মানুষই মুসলিম। আর এ কারণেই তারা প্রায়ই রোজা রাখেন বা উপোস করেন। দেশটির আরেকটি ধর্মীয় আচার আছে ‘মুতিহ’ নামের। এটি এমন এক ধরনের রোজা যাতে পানি এবং সাদা ভাত খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। মাঝে-মধ্যে উপোস করলেই অতিভোজন এড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।৫. দক্ষিণ আফ্রিকা : রুবিওস চাএই চা এর আরেকটি নাম রেডবুশ চা। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জনপ্রিয় কুপ্পা। এতে আছে প্রাকৃতিক চিনি এবং এটি ক্ষুধার অনুভূতি কমাতেও সহায়ক।৬. মালয়েশিয়া : হলুদএই ভেষজটি ভারতীয় উপমহাদেশেইবেশি ব্যবহৃত হলেও মালয়েশিয়ায়ও এর বেশ ব্যবহার রয়েছে। এতে থাকা কারকিউমিন অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সহায়ক।৭. ফ্রান্স : খাবার খাওয়ার সময় কথা বলাআমাদের দেশে সাধারণত বলা হয়ে থাকে, খাবার খাওয়ার সময় কথা না বলতে। কিন্তু ফ্রান্সের মানুষরা খাবার খাওয়ার সময় কথা বলতে ভালোবাসেন। এর ফলে খাবার খাওয়ার গতি কমে আসে যারফলে খাবার হজম হয় ভালোভাবে। এবং খাবার খেয়ে তৃপ্তি পাওয়া যায় বেশি।৮. হাঙ্গেরি : আচারহাঙ্গেরিয়ানরা সবজির আচার পছন্দ করেন। এবং তারা প্রিজারভেটিভ হিসেবে ভিনেগার ব্যবহার করেন। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলতে বেশ কার্যকর।৯. জার্মানি : সকালের নাশতা নিয়মিতভাবে খাওয়াজার্মানির ৭৫% মানুষই কোনোদিন নাশতা খাওয়া বাদ দেন না। তার মানে এই নয় যে তাড়াহুড়ো করেই তারা নাশতা করেন। বরং বাসায় ঠাণ্ডা মাথায় টেবিলে বসে ফলমূল, শস্যএবং পূর্ণ শস্য জাতীয় খাদ্য থেকে তেরি ব্রেড খেয়ে নাশতা করেন তারা। বিজ্ঞান বলে আপনি যখন নিয়মিতভাবে সকালের নাশতাখাবেন তখন আর আপনার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা হবে না।১০. নেদারল্যান্ডস : সাইকেল চালানোনেদারল্যান্ডসের মানুষের চেয়ে বাইসাইকেলের সংখ্যা বেশি। আর এ থেকেই দেশটির ফিটনেস পরিস্থিতি কতটা উন্নত তা বুঝা যায়।১১. রাশিয়া : নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করারাশিয়ার মানুষেরা তাদের ছুটির সময়টুকু নিজেদের গ্রামের বাড়িতে কাটান। যেখানে তারা নিজেদের জন্য সবজি এবং ফলের চাষ করেন। আর এই অভ্যাস এর ফলে তারা তাদের খাদ্য থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি শোষণ করতে সক্ষম হন।১২. জাপান : দিবানিদ্রাগবেষণায় প্রমাণ পাওয়া গেছে, ঘুমের ঘাটতি হলে ওজন বেড়ে যায়। কেননা ঘুম কম হলে দেহের হরমোন নিঃসরণে গোলমাল দেখা দেয়। যার ফলে বেশি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হয়। সুতরাং দিনের বেলা একটু ঘুমিয়ে নিলে আর এই সমস্যা হবে না। এতে আপনার ঘুমের ঘাটতি কেটে গিয়ে শরীর ঝরঝরে হয়ে যাবে।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages