কখনো আপনার এমন মনে হয়েছে যে আপনি যথেষ্ট কাজ করতে পারছেন না। তবে আমরা হয়তো আরো বেশি কাজ করতে পারি। কিন্তু আমদের কেউই নিশ্চয় কর্মাসক্ত হতে চান না।প্রচুর কাজ করার পাশাপাশি জীবন ও কাজের ভারসাম্য বজায় রাখাটাও জরুরি। কিন্তু কীভাবেআমরা সেটা করব?আন্তর্জাতিক বেস্টসেলার বই, “দ্য ফোর আওয়ার ওয়ার্কউইক” এর লেখক টিম ফেরিস ছয়টি পরামর্শ দিয়েছেন...১. মেজাজ-মর্জি ভালো রাখুনবেশিরভাগ উৎপাদন পদ্ধতি এমনভাবে আচরণ করে যেন আমরা রোবট। তারা অনুভূতির যে বিশাল ক্ষমতা রয়েছে তা ভুলে যায়। আপনি যদি শান্তির সাথে দিনটি শুরু করতে পারেন তাহলে সঠিক জিনিস করা এবং মনোযোগ ঠিক রাখাসহজ হয়। সকাল বেলাতেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়বেন না। গবেষণায় দেখা গেছে, সকাল বেলাটা কীভাবে শুরু করলেন তাতেই আপনার পুরো দিনটি কেমন যাবে তা নির্ধারিত হয়ে যায়।২. সকালে ইমেইল চেক করবেন নাঅনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই ইমেইল বা সামাজিক গণমাধ্যম সাইটে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু সফল লোকরা ইমেইলে বেশি সময় ব্যয় করেন না।সকালেই ইমেইল চেক করলে আপনি প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করায় লিপ্ত হবেন। ইমেইলে প্রবেশ করার মানে হলো আপনি নিজের জন্যব্যয় না করে বরং অন্য কারো জন্য সময় ব্যয় করছেন। নিজের জন্য দিনের পরিকল্পনা না করে বরং আপনি অন্যের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। গবেষণায় দেখা গেছে ইমেইল অবসাদ তৈরি করে। বিরক্তিকর করে তোলে। এর আসক্তি মদ এবং তামাকের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে। আর বেশি বেশিইমেইল চেক করলে আইকিউ ১০ পয়েন্টের নিচে নেমে যায়।৩. নিজেকে জিজ্ঞেস করাকোনো কাজ করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করেন আদৌ কাজটি করার দরকার আছে কিনা। সবকিছু সম্পন্ন করাটা এতো কঠিন কেন। উত্তরটা সহজ, আপনি অনেক বেশি জিনিস করছেন। সুতরাং কোনো কিছু নিখুঁতভাবে করার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন আদৌ সেই কাজটি করার দরকার আছে কিনা। এতে বেহুদা কাজে সময় নষ্ট হবেনা।৪. মনোযোগ হলো মনের বিক্ষিপ্ততা দুর করাহার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সাবেক অধ্যাপক এড হলওয়েল বলেন, আধুনিক কালে আমরা সাংস্কৃতিকভাবে উৎপাদিত নানা উপাদানের ফলে চিত্তের বিক্ষিপ্ততায় আক্রান্ত হই। তার মানে কি এই যে আধুনিক জীবন স্থায়ীভাবে আমাদের মনোযোগের ব্যাপ্তি ধ্বংস করেছে?তবে এটা সত্য যে এখন ২৪/৭ ঘন্টাএমন সব জিনিস হাতের কাছে পাওয়া যায় যা এর আগে মানব সভ্যতা আর কখনো দেখেনি। এখন সবকিছুই অনেক আশা জাগানিয়া এবং সহজে প্রবেশযোগ্য।আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, নিজেকে এমন কোথাও আবদ্ধ করে ফেলা যাতে সকল ঝলকানি, গুঁজন এবং চিত্তের বিক্ষিপ্ততা দূর হয়ে যায়।৫. ব্যক্তিগত একটি পদ্ধতি গড়েতুলুনক্ষ্যাপাটে ধরনের উৎপাদনশীল অনেক লোকেই বলেছেন, আমি জানিনাআমি কীকরে যেন সবকিছু সম্পন্ন করে ফেলি। আমি শুধু নিজের রুটিন মতো কাজ করে যাই এবং সেরাটা প্রত্যাশা করি।আপনার রুটিনটি হয়তো আনুষ্ঠানিক, বৈজ্ঞানিক বা ব্যক্তিগত এবং স্বকীয় হতে পারে। কিন্তু মূল কথাটি হলো, উৎপাদনশীল লোকদের একটি বিশেষ রুটিন থাকে।৬. আগের রাতেই নিজের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো নির্ধারিত করুনদিনের নানা ছদ্মবেশি জরুরতগুলো আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলা এবং ইনবক্সে নতুন নতুন আদেশ এসে চিৎকার চেচামেচি শুরু করার আগেই কী গুরুত্বপূর্ণ তা জেনে নিন ঘুম থেকে জাগার সঙ্গেই সঙ্গেই। রাতের খাবারের আগেই পরেরদিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বা দুটি কাজ নির্ধারণ করুন। বা আগের দিনের কাজ শেষেই তা করুন।প্রতিদিন কাজের শেষে পরের দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন। গবেষণায় দেখা গেছে, আপনি যদি সুনির্দিষ্ট হন এবং কাজের তালিকা লিখে ফেলেন তাহলে আপনি সহজে কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে পরের দিনের কাজ নিয়ে উদ্বেগও কমে আসে এবং সন্ধ্যাটিও উপভোগ করা যায়।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Sunday, April 8, 2018
সবচেয়ে উৎপাদনশীল লোকরা প্রতিদিন যে ছয় কাজ করেন
Tags
Fun amp; Lifestyle Menu#
Share This
About Raihanul Haque
Fun amp; Lifestyle Menu
Labels:
Fun amp; Lifestyle Menu
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----