Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, April 8, 2018

সালমানের জামিনের কারণ তাহলে এই!

কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার দায়ে কান্না ভেজা চোখে জেলে গিয়েছিলেন বলিউডের ‘ভাইজান’। পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টা পার না হতেই এরইমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সালমান খান। শনিবার যখন জেল থেকে ছাড়া পেলেন, তখন চোখে-মুখে তৃপ্তির ছোঁয়া।তবে জামিনেও কি রয়ে গেল রাজনীতির সূক্ষ্ম ছোঁয়া? বেশকিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি এমনটাই। বলিউডের ‘ব্যাড বয়’ বললেই মনে আসেন দুই তারকা-সঞ্জয় দত্ত ও সালমান খান। তবে সঞ্জয় দত্তের সৌভাগ্য মোটেই সালমানের মতো নয়। বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলায় জেলে কাটাতে হয়েছে ছয়টা বছর।রাজনীতি সঞ্জয়কে আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল। বাবা সুনীল দত্ত ছিলেন কংগ্রেসের সংসদ সদস্য। বোন প্রিয়া দত্তও পার্লামেন্টের সদস্য। কংগ্রেসের ছোঁয়া এড়াতে পারেননি মুন্নাভাই। অন্যদিকে, সালমান খানের সাথে সচেতনভাবে কোনও রাজনৈতিক দলেরসংশ্রব ছিল না। অন্তত, তিনি রাজনীতিকে জড়িয়ে ধরেননি। তবে রাজনীতি সব সময়েই তাড়া করেছে।২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি ফিরে দেখা যাক। তখনও নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। সেদিন গুজরাটে গিয়েই ঘুড়ি উড়িয়েছিলেন সালমান। গুজরাট দাঙ্গায় অভিযুক্ত মোদি। তারইসাথে একই সূতায় হাত রেখে ঘুড়ি উড়ানোর পরেই সমালোচিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সালমানের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কও বেশ ভালো।মোদি-ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নাকি বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল সালমানকে। ২০১৫ সালে ৬ মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত পাঁচ বছরের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে ‘হিট অ্যান্ড রান’ কেসে। দু’দিন পরেই অবশ্য মুম্বাইয়ের হাইকোর্ট দায়রা আদালতের সেই রায় বাতিল করে দেয়।রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পূর্বতন কংগ্রেস সরকারই ভাইজানকে বিপাকে ফেলতে চেষ্টাকম করেনি। কারণ, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪-এ ধারায় ‘অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা’ করে তৎকালীন ইউপিএ সরকার।এবারে, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই নাকি মাত্র ৪৮ ঘণ্টার জেলবাসী হয়ে জামিনে মুক্তি। তাছাড়া নিম্ন আদালতেএবারে জেলযাত্রার কারণও নাকি ছিল রাজস্থানের স্থানীয় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের ক্ষোভকে প্রশমিত করার প্রয়াস। যোধপুর আদালতের বিচারপতি দেব কুমার ক্ষাত্রীরও আচমকা ট্রান্সফারে অন্য কিছুর গন্ধ পেয়েছেন অনেকে।হিট অ্যান্ড রান কেস, অনিচ্ছাকৃত হত্যা, বেআইনি অস্ত্র মামলা-প্রতিটি ক্ষেত্রেই সালমানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে রাজনীতি। ভাইজান মোটেই রাজনীতিতে জড়াননি, তবে রাজনীতি তাকে জড়িয়েছে চুম্বকের মতোই।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages