Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Sunday, November 26, 2017

ডিভোর্স আইনজীবীর মতে, সফল দম্পতি হবার মূলমন্ত্র

এলিয়ট পোল্যান্ড,৫০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নিউ ইয়র্কের একজন বিবাহবিচ্ছেদ আইনজীবী। তাই দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে জানেন যে, কিভাবে সম্পর্ক এগিয়ে যায় কিংবা ভেঙে যায়।পোল্যান্ড কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজ পোর্টাল ইনসাইডারকে জানিয়েছিলেন, বিবাহিত দম্পতিরা বড় ধরনের তিনটি ভুল করেন, যারফলে সম্পর্কটি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না। এবার এই আইনজীবি তার অভিজ্ঞতার আলোকে জানিয়েছেন, দাম্পত্য সম্পর্ক অটুটু রাখার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সীমানা নির্দিষ্ট করাপোল্যান্ড বলেন, পরিবারের সদস্যদের অর্ন্তদৃষ্টি একজন ব্যক্তি সম্পর্কে কিছু বুঝতে উপযোগী হতে পারে, যা তার সঙ্গীর চোখে ধরা পড়ে না। তবে এখানে এটা নিশ্চিত করাটা গুরুত্বপূর্ণ যে, এটাকে যেন তার বেশি দূরে না নিয়ে যেতে পারে।তিনি বলেন, আমার কাছে এমন অনেক মক্কেল আসেন এবং তারা অভিযোগ করেন যে তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি তাদের বিবাহিত জীবনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দম্পতিকেই চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়যে, তাদের পরিবারের সদস্যদের সীমানা কতটুকু হওয়া উচিত।পোল্যান্ড আরো বলেন, ‘এক্ষেত্রে কোনো ম্যাজিক সূত্র আমার জানা নাই। কেননা প্রতিটি পরিস্থিতি আলাদা।’স্নেহময় শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখাএই বিষয়টি বিবাহিত দম্পতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, অবশ্যই শারীরিক সম্পর্ক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি প্রবীণ দম্পতির ক্ষেত্রে যেখানে এই বিষয়টি কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে, সেখানেও গাঢ় আলিঙ্গন সম্পর্ক অটুট রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।নিজের সম্পদের রেকর্ড রাখাব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ বছরের বেশি রেকর্ড সংরক্ষণ করে না। তাই তিনি বলেন, অনেক দম্পতি আছেন যারা পৃথক হয়ে যাবার পর খোরপোশ দাবি করেন। ডিভোর্স হবে যাবার পর প্রাক্তন যদি অর্থ বা সম্পদ দাবি করেন, তাই সম্পদের পুরাতন তথ্য, বিবরণ বা নথিগুলো সংরক্ষণ করে রাখা উচিত। নতুবা পরবর্তীতে প্রাক বৈবাহিক ক্ষেত্রে সম্পদ বণ্টনের ক্ষেত্রে বেশঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।এমন জীবনসঙ্গী বেছে নিন, যার সঙ্গে আপনার অনেক বেশি সাধারণ মিল রয়েছেপোল্যান্ড বলেন, যদিও বিপরীত লিঙ্গ আপনার প্রতি খুব আগ্রহী কিন্তু আমি মনে করি কিছু সাধারণ মিল থাকা প্রয়োজন,যা পরবর্তীতে সম্পর্ক বজায় রাখতে সাহায্য করবে।সাধারণ মিল বা সাদৃশ্যগুলো যদি না থাকে, তা হলে অমিলগুলো নিয়ে তর্ক বিতর্ক হবার সম্ভাবনা থাকে। অনেক সময় তা সম্পর্কে ইতি টানতে বাধ্য করে।দম্পতির আচার, ধরম, বিশ্বাস পালনের ক্ষেত্রে এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। আমার কাছে এক ইহুদী দম্পতি এসেছিলেন। তাদের মাঝে একজন ধর্মে বেশ গোঁড়া হয়ে যাওয়ায় তারা তাদের বিবাহিত সম্পর্কে ইতি ঘটান। যদিও তারা একই ধর্মানুসারী ছিল।আমার আরেকটি কেস ছিল এমন যে, তারা দুইজন দুই ধর্মের ছিলেন। সমস্যা দেখা যায় যখন তাদের সন্তানাদি হয়। তারা রীতিমতো দড়ি টানাটানি যুদ্ধ ঘোষণা করেন যে, তাদের সন্তান কোন ধর্ম পালন করবে।তাই এমন একজনকে জীবনসঙ্গী করুন যার সঙ্গে আপনার বিশ্বাস, মূল্যবোধ মিলে যায়। যা আপনার সম্পর্ককে একটি শক্ত ভিত্তি দিবে।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages