Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

Friday, November 17, 2017

মেয়েদের যৌনাঙ্গ চুলকায় মানি সোনা চুলকায় কখন এবং কেন ?

আমরা যারা মেয়ে, আমাদেরপ্রতিদিন কতই না সমস্যারমোকাবেলা করতে হয়। ঘর থেকে শুরুকরে শরীরের সব দিক থেকে অনেকঝাকেলায় পড়তে হয়। আজকে মেয়েদেরএকটি অতি পরিচিত এবং অতিবিব্রতকর একটি সমস্যা নিয়েআলোচনা করবো। আর তা হলোযৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি। এটিখুবই কমন একটি অসুখ।মেয়েরা ৫ বছর থেকে শুরু করে ৬০ বছরবয়সের যে কোন সময় এই সমস্যায় পড়তেপারেন। গবেষণায় প্রমানিত হয়েছেযে, প্রতি ৪ জন মহিলার মধ্যে ৩ জনেরইজীবনের কোন না কোন সময় একবারহলেও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাইএর গুরুত্বও কম নয়। চলুন আজ এই...অসুখটি সম্পর্কে জানি।ইচিং বা চুলকানি হওয়ার কারনঃকোন অসুখ প্রতিরোধ ও প্রতিকারেরআগে আমাদের জানতে হবে আসুখটারকারণ কি? কেনোনা কারণ জানলেমোকাবেলা সহজ হয়। যোনিতে অনেককারণে চুলকানি হতে পারে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ সমুহ হলো—১) ঈস্ট বা ছত্রাকের আক্রমনঃএটি যৌনাঙ্গের চুলকানি বা ইচিংহওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত CandidaAlbicans, এই ছত্রাকের কারণে যোনিতেচুলকানি হয়। এই ছত্রাক নরমালিমেয়েদের যৌনাঙ্গে পরজীবীহিসেবে থাকে। কিছুল্যাকলোব্যাসিলাস নামে ইয়পকারিব্যাকটেকিয়া এই ছত্রাকেরবংশবিস্তারকে নিয়ত্রনে রাখে।কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকখেলে,গর্ভাবস্থায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্থথাকলে, হরমোনাল ইমব্যালেন্সথাকলে ও খাদ্যাভাসের কারণে এইউপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। ফলেঈস্ট গুলো তাদের জন্মের জন্য অনুকুলপরিবেশ পায়। এর কারণে যোনিতেইনফেকশন হয়।উপসর্গঃযোনি পথ দিয়ে ঘন, সাদা তরলেরনির্গমন হয়।চুলকানি, ব্যাথা ও প্রদাহ হয়।যৌন মিলনের সময় ব্যাথা হয়।২) ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসেরসংক্রমণঃএটি ভ্যাজাইনা বা যোনিতে চুলকানিহওয়ার অন্যতম কারণ। যোনিতেনরমালি কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে।যখন কোন কারণ এই ব্যাকটেরিয়া গুলোরঅনেক বেশি বংশবিস্তার ঘটে তখনযোনিতে ইনফেকশন হয়।উপসর্গঃগন্ধযুক্ত ও মাছের আঁশটে গন্ধযুক্ত তরলনির্গত হয় যোনি দিয়ে।প্রচুর চুলকানি হয়।প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া।৩) ট্রাইকোমোনিয়াসিস এর আক্রমণঃএটি একটি প্যারাসাইট। এটির আক্রমণেযোনিতে চুলকানি হয়।উপসর্গঃহলুদ, সবুজ রঙের ও খুব তীব্র বাজেদুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়। তলপেটে ব্যাথাহয়। যোনিতে চুলকানি হয়।৪) এছাড়াও যৌনাঙ্গে উকুন,খোসপাঁচড়া ও মাইকোপ্লাজমাজেনেটালিয়াম এর সংক্রমণ হলেযোনিতে চুলকানি হয়।৫) কিছু সেক্সয়ালি ট্রান্সমিটেডডিজিজ যেমন – সিফিলিস, গনোরিয়া,এইডস ইত্যাদির কারণে যৌনাঙ্গেইচিং বা চুলকানি হয়।৬) বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ যেমন –বিভিন্ন ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল,সুগ্নধিযুক্ত সাবান,রঙ ওয়ালা টিসুপেপার, ফেমেনিন হাইজেনিক স্প্রে,ডুশ ব্যবহার করলে যোনিতে চুলকানিহতে পারে।৭) মেনোপোজের পর মহিলাদেরইস্ট্রোজেন নামক হরমোন কমে যায়।ফলে যোনি শুকিয়ে যায়। এর ফলেবিভন্ন পরজীবীর সংক্রমণ হয়। ফলেযোনিতে ইচিং হয়।৮) ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ,একজিমা ও রক্তে কোন রোগ থাকলে ওঅন্যান্য কোন রোগ থাকলেওযৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।৯) মাসিকের সময়, অস্বাস্থ্যকর প্যাড ওকাপড় ব্যবহার করলে।১০) যৌনকর্মীদের এই রোগ বেশি হয়।১১) যৌনাঙ্গ সবসময় গরম ও আদ্র রাখলে।১২) অপরিষ্কার থাকলে।

Post Top Ad

Your Ad Spot

Pages