ইসলাম ধর্মে এই একটি জিনিসই ব্যদিক্রমযে, এই ধর্মে কোন মহিলা নবীর আগমন ঘটেনি। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’য়ালা ঠিক কি কারণে কোন মহিলাকে নবী হিসেবে প্রেরণ করেন নি? পিসটিভি বাংলায় একজন মহিলা এই প্রশ্নটি সরাসরি ডাক্তার জাকির নায়েকের কাছে করেন।উত্তরে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন, যদি নবী বলতে আপনি বোঝেন, এমন এক ব্যক্তি যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বাণী গ্রহণ করেন এবং যিনি মানবজাতির নেতা হিসেবে কাজ করেন; তাহলে সেই অর্থে নিশ্চিত করে বলতে পারি, ইসলামে কোনো নারী নবী আসেনি এবং এটাই সঠিক। কারণ একজন নারীকে যদি নবী হতে হয় তাহলে তাকে সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দিতে হবে।কিন্তু কুরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে পুরুষরা হলো পরিবারের প্রধান। সুতরাং পুরুষ যদি পরিবারের প্রধান হয়ে থাকে তবে কিভাবে নারী সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দেবে? এছাড়াও একজন নবীকে নামাজের ইমামতি করতে হয়। আর আপনারা জানেন, নামাজে বেশ কিছু অঙ্গভঙ্গি রয়েছে যেমন- কিয়াম, রুকু, সাজদাহ ইত্যাদি। যদি একজন নারী নবী নামাজের নেতৃত্ব দিত তবেজামাআতের পেছনে যে সকল পুরুষ সলাত আদায় করত এটা তাদের এবং ইমাম উভয়ের জন্যই বেশ বিব্রতকর হত।এখানে আরো অনেক ব্যাপার রয়েছে। যেমন- একজন নবীকে সাধারণ মানুষের সাথে সর্বদা দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়। কিন্তুএটা একজন মহিলা নবীর পক্ষে অসম্ভব। কারণ ইসলাম নারী-পুরুষ পরস্পরের মেলামেশার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপকরেছে। যদি মহিলা নবী হতো এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে যদি গর্ভবতী হতো, তবে তার পক্ষে কয়েক মাস নবুওয়াতের স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হতো না।অপরদিকে একজন পুরুষের পক্ষে পিতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা একজন মহিলার মাতৃত্ব এবং নবুওয়াতের দায়িত্ব পালন করা থেকে তুলনামূলক সহজ। কিন্তু আপনি যদি নবী বলতে শুধু বোঝেন, এমন একজন ব্যক্তি যিনি আল্লাহ পছন্দের এবং যিনি পবিত্র ও খাঁটি ব্যক্তি, তবে সেখানে কিছু নারীর উদাহরণ রয়েছে- আমি এখানে উত্তম উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করব মারইয়াম আ. এর নাম। তিনি ছিলেন মনোনীত এবং পরিশুদ্ধ। তিনি ছিলেন ঈসা আ. এর মা।সুরাহ আল ইমরানের ৪২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে- ‘যখন ফেরেশতারা বলেছিল, হে মারইয়াম! আল্লাহ আপনাকে মনোনীত করেছেন, পবিত্র করেছেন এবং নির্বাচিত করেছেন বিশ্বজগতের নারীদের ওপর।’এছাড়াও সুরাহ তাহরিম-এ ফেরাউনের স্ত্রী আছিয়ার কথা উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন- ‘আল্লাহ বিশ্বাসীদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর (আছিয়া) অবস্থা বর্ণনা করেছেন।’ফিরাউনের স্ত্রী আল্লাহর কাছে দু’আ করেছিলেন- ‘হে আমার রব! আমার জন্য বেহেশতের মধ্যে আপনার সন্নিকটে ঘর নির্মাণ করে দিন, আর আমাকে ফেরাউন থেকে এবং তার (কুফুরি) আচরণ থেকে রক্ষা করুন,আর আমাকে সমস্ত অত্যাচারী লোকজন থেকে হিফাজত করুন। আত-তাহরিম, আয়াত ১১একটু কল্পনা করুন, তিনি ছিলেন তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী সম্রাট ফারাও-এর স্ত্রী। অথচ তিনি আল্লাহর ভালবাসার জন্য নিজের আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা ত্যাগ করতে চেয়েছেন। সুতরাং আপনি যদি বুঝাতে চান আল্লাহর পছন্দের, পবিত্র ও খাঁটি তাহলে আপনি তাদের উদাহরণ হিসেবে নিতে পারেন।
Post Top Ad
Your Ad Spot
Tuesday, August 22, 2017
ইসলামে যে কারণে কোন মহিলা নবী নেই বিস্তারিত জেনে নিন…
Tags
Islamic Story amp; Hadis#
Share This
About Raihanul Haque
Islamic Story amp; Hadis
Labels:
Islamic Story amp; Hadis
Post Top Ad
Your Ad Spot
Author Details
----